পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তখন এসব যুক্তির সার অর্থ ন বুঝলেও পরের জীবনে রম্যর এসব বেশ স’য়ে গিয়েছে বরং এখন সে উপদেশ দেবারও দাবী রাখে । কেদার ও-ঘর থেকে ডাকূলে—“জয়, একবার এদিকে আসতে বল ত ?” ” প্রবাসী-আষাঢ়, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড S AAAAAS AAAAA AAAA AAAA AAAA SAAA AAAAMS SSSSSS AAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAAMAAAS ‘কাকে সে কথাটা উহ থাকলেও বুঝতে কারু একটুও ভুল হ’ল না । প্রিয় তাড়াতাড়ি উঠে—“একটু বোলে৷ দিদি এখ খুনি আসছি” এই কথাটি ব’লে মুখের স্নান ছায়। হাসির আভায় উজ্জল ক’রে নিয়ে কেদারের কাছে চ’লে (히 || ক্রমশঃ কাব্যকথা শ্ৰীসত্যসুন্দর দাস • প্রতিভা ও কবি-কল্পনা (১) কবি ও কাব্য সম্বন্ধে যেটুকু আলোচনা এ পর্য্যন্ত করিয়াছি তাহ ঠিক তত্ত্বালোচনা নয় ; যদি tেহ সে ধারণা করিয়া থাকেন তবে নিরাশ হইতে হইবে। কাব্য যেমন কোনও তত্ত্বকথা নয়, তেমনি কাব্যপরিচয় ঠিক তত্ত্বানুসন্ধানের মত হইলে, কাব্যবস্থ উহা হইয়া যাইবে । রসিক পাঠকের মনে, কাব্যপাঠ কালে, কবি ও কাব্যকলা সম্বন্ধে ধে কতকগুলি ধারণ আপন হইতে গড়িয়৷ উঠে, অথচ খুব স্পষ্ট করিয়া তুলিবার আবশ্বক বা সুবিধা হয়না, সেই ধারণাগুলিকেই একটু সাজাইয়া গুছাইয়া দেওয়া আমার অভিপ্রায়, তার বেশী কিছু করিবার অভিমান বা সাধ্য আমার নই। আমার আলোচনায় যদি কোনও থিয়রী থাকে, তাহা কোনও তত্ত্বসিদ্ধান্ত নয়,— iাহাদের ওইরূপ কোনও সিদ্ধান্ত আছে, তাহাদের সেই সিদ্ধাস্তকে পাকা করিয়া তুলিবার জন্য গৌণভাবে সাহায্য করিলেই আমার আলোচনা সার্থক হইবে। আমার কোনও নিজ মত প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন নাই । কাবা পাঠ করিয়া কবি ও কবি। সম্বন্ধে যে একটি প্রত্যক্ষ ধারণ অনিবাৰ্য্য, তাহার যতটুকু— গণ্ডিত নয়— রসিক সমাজে আলোচনার যোগ্য, তাহাই বিবৃত করা আমার অভিপ্রায় । তাই বার বার বলিয়া রাখিতে চাই যে, আমার লক্ষ্য কাব্য-মীমাংসা নয়, কাব্য পরিচয় । বৰ্ত্তমান প্রবন্ধের বিযয় কবি-কল্পনা । বিষয়টির নামোল্লেখ মাত্রেই এ কট। কিছু ধারণ সকলের মনে জাগিয়৷ উঠা সম্ভব। দেখা যাক, এই ধারণ কাৰ্য্যতঃ কতখানি ও কিরূপ । ইংরেজীতে Imagination বলিতে যাহা বুঝায় কল্পনা অর্থে আমরা শেষ পর্য্যন্ত তাহাই বুঝিব। ইংরেজী শব্দটির ক্রমশ: যে ব্যাপক অর্থ দাড়াইয়াuছ, সে অর্থে কোনও দেশী শব্দ পূৰ্ব্বে প্রচলিত ছিল কিনা সন্দেহ, কারণ কবিপ্রতিভার ঠিক এই শক্তির আবশ্বকত। দেশীয় কাব্য-বিচারে কায্যত: কখনও স্বীকৃত হয় নাই । ‘কল্পনা’ শব্দটির অর্থ –‘রচনা’ বা ‘আরোপ'–পূৰ্ব্বাপর প্রচলিত আছে, ইহার অধিক কোনও অর্থ এই শব্দটির মধ্যে ছিল না। কবিকৰ্ম্মের যে দিকটি লক্ষ্য করিয়া অধুন এই শব্দের প্রয়োগ-বাহুল্য দেখা যাইতেছে সেই দিকটির যেমন বিশেষ আলোচনা এ পর্য্যস্ত হয় নাই, তেমনি ‘কল্পনা’ কথাটির অর্থও মুনিরূপিত হয় নাই । কাব্যবিচারে কবিকৰ্ম্মের ধারণা, কাব্যের ধারণা হইতেই জন্মে। তথাপি কবি কর্মের ধারণ আগে, ও কাব্যের ধারণ তদন্থযায়ী হওয়ায় স্বাভাবিক। উৎকৃষ্ট কাব্যগুলি না পড়িলে কবিপ্রতিভার কোনও ধারণা হইতে পারে না । প্রশ্ন উঠিবে-উংকৃষ্ট কাব্য কি ? ইহার উত্তরে, জগতের কাব্যসাহিত্যে যেগুলি সৰ্ব্বকালের ও সৰ্ব্বদেশের রসিক সমাজে উৎকৃষ্ট বলিয়া নিৰ্দ্ধারিত হইয়াছে—সেই