পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ぐっ8 এ-প্রবন্ধে সংস্কৃত অলঙ্কারশাস্ত্র লইয়। এই দীর্ঘ আলোচনার প্রয়োজন ছিল না। এক্ষণে আমাদের ‘কল্পনা’ কথাটিতে ফিরিয়া আসা যাক । সাধাবণ তঃ বাংলায় ‘কল্পনা’ শব্দ বাস্তবের বিপরীত অর্থে ব্যবহার করা হয় । সাহা বাস্তব-বিরোধী বা মন-গড়, যাহার কোনও ঘটনা-প্রমাণ নাই, তাঙ্গকেই আমরা -‘কাল্পনিক’ বলি । কথার অর্থ ও তাই । সংস্কৃত ‘কল্পন’ড়ষ্ট', “কল্লিতোপমা’ প্রভৃতি নামকৰণে এই অর্থের আভাস আছে, কিন্তু কল্পনা-শব্দটি কবি প্রতিভাব লক্ষণ-নির্ণয়ে কুত্ৰাপি ব্যবহৃত হইতে দেখা যায় না। আমাদের মধুসূদন তাহার মহাকাব্যের মঙ্গলাচরণ করিতে গিয়া যখন কল্পনাকে বাকৃদেবীর সঙ্গে আবাহন করিলেন— তুমিও আইস, দেবি, তুমি মধুকরী কল্পনে । কবির চিত্ত-ফুলবন-মধু লয়ে রচ মধু ফ্ৰ গৌড়জন যাহে আনন্দে করিত্বে পাল স্বধ নিরবধি ।

      • fancyful as imaginary

অলঙ্কারের —তথন কবিশক্তিরূপিণী কল্পনার একটি বিশিষ্ট অর্থ স্বচিত হইল। এই ঘে মধুকরী বিশেষণটি এবং তৎসঙ্গে কল্পনার কার্য্যপ্রণালীর ইঙ্গিত—ইহা দ্বার। কল্পনার যে অর্থ বুঝায়, ইংরেজীতে তাহাকে Invention বলে । কৰি বলিতেছেন, কল্পনা তাহার চিত্তফুলবনের মধু সংগ্ৰহ করিয়া ( অথবা অপর কবিগণের কাব্য হইতে কিছু কিছু মধু আহরণ করি। ) একটি মধুচক্র রচনা করিবে, অর্থাং নানা ভবিরাজি আবশ্বক মত সাজাইয়া বা গহণ করিয়া একথানি নূতন কাব্যরচনা করিবে । সংস্কৃত অলঙ্কারশাস্ত্রে কবি প্রতিভাকে সে ‘অপূৰ্ব্ববস্বনিৰ্ম্মণক্ষম’ প্রজ্ঞা এবং ভাবয়িত্রী ও কারয়িত্ৰী দুই শক্তির আধার বলা হইয়াছে, তাহাতে কল্পনার এই ধারণা কতকটা স্বচিত হয় । ইহাই কবি-কৌশল । মেঘনাদবধ কাব্যথানিতে কল্পনা এই কাজ উত্তমরূপে সম্পন্ন করিয়াছে—পুরাতনকে নূতন করিয়া বলা এবং অনুকরণমূলক উদ্ভাবন-কৰ্ম্মের পরিচয় এই কাব্যে যথেষ্ট পরিমাণে আছে। মধুসুদন পাশ্চাত্যকাব্যের যে আদশ অনুসরণ করিয়া তাহার মহাকাব্য রচনা করিয়াছিলেন তাহার শাস্ত্র-সিদ্ধান্ত এই যে, আর্ট— #mitation <! *#f3 l g# Imitation #*IIfỡ vIIfsĩ প্রবাসা—আষাঢ়, ১৩৩৩ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড ইতিপূৰ্ব্বে (কবি গভীরতর অর্থে গ্রহণ করিয়াছি—ঠিক এই অর্থে নয়। এই অনুকরণ দ্বিবিধ ; প্রকৃতির অনুসরণ, ( যা স্থাকে সংস্কৃত অলঙ্কারে জাতি বা স্বভাবোক্তি নামে কোনওরূপে প্রশ্রয় দেওয়া হইয়াছে ) ; আর একরূপ অনুকরণ অপর কবির অনুকরণ, এই অনুকরণ নিরুষ্ট । সংস্কৃত অলঙ্কারশাস্ত্র এই অমুকৰণ স্বীকার করে, রীতিমত শিক্ষণীয় ব! আভ্যাসিক বলিয়| মনে করে, কারণ শব্দ ও অর্থেই কাব্যের আরম্ভ, এবং এই শব্দার্থের যত কিছু কারুকলাই কাব্যকলা কবিকৰ্ম্ম । এ অর্থে ইংরেজী Invention কথাটির অর্থ আরও সঙ্কীর্ণ হইয়া দাঁড়ায় । কিন্তু মজীব কথ। এই যে প্রকৃতির অনুকরণই পাশ্চাত্য কাব্যের আদর্শ হইলেও, এবং সেই আদর্শে অতি উৎকৃষ্ট কাব্যরচনা সম্ভব হইলেও, সেখানে সেকালে মুন্দর-বোধ বা রসের কোন ও সূক্ষ্ম সিদ্ধান্ত হয় নাই – সে দেশে Aesthetics একটা অতিশয় আধুনিক শাস্ত্র । কিন্তু যাহার প্রকৃতি বা স্বভাবের অনুকরণ না করিয়া, কাব্যকে খাটি সাহিত। অর্থাৎ সালঙ্কার শবদীর্থরচনা বলিয়াই মনে করিত, তাহার এই রসের সন্ধান বহুপূৰ্ব্বে পাইয়াছে, এবং ইহাকে কাজের শেষ প্রয়োজন বলিয়। স্থির করিয়াছে। পাশ্চাত্য ও ভারতীয় ভাবন তুলনায় সমালোচনা করিবার ইহা ও একটি দৃষ্টান্ত । ভারতীয় ভাবনা, কাব্যবিচারে—প্রকৃতি, কবিতার বিষয়, কবিমানস প্রভৃতিকে পাশ কাটাইয়া অলৌকিক রসবস্তুকে আশ্রয় করিয়াছে—সে ভাবনা বিশেষকে বাদ দিয়া নিৰ্ব্বিশেষের প্রয়াসী, তাহার নিকট বস্তুমাত্রই শূন্ত ও নস্তাং হইয়া যায় । এক্ষণে ইয়ুরোপীয় কাব্যসাহিত্যের ইতিহাসে এই‘কল্পনা’র প্রসার সম্বন্ধে একটু সংক্ষিপ্ত বিবরণ অপ্রাসঙ্গিক হইবে ন। এ সম্বন্ধে ইংরেজী 'রোমাটিক’ শব্দটির অর্থবিপর্য্যয়ের ইতিহাস লক্ষ্য করিলেই ব্যাপারটি বেশ স্পষ্ট হইয়া উঠিবে, তাই এ বিষয়ে একটি উংকৃষ্ট ইংরেজী প্রবন্ধ অবলম্বন করিয়া নিয়ে কয়েকটি কথা লিপিবদ্ধ করিলাম। *

  • Logan Pearsall Smith Fö Words and Idioms ato it's Four Romantic Words. *šo Hosé oxy I