পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওয় সংখ্যা ] জিনিষ মাত্র আমাদের দৃষ্টি অনুভব করিতে সক্ষম হয় । কারণ পাঠক যদি অক্ষরে ঢাকা বইর এক পাতার উপর দৃষ্ট দেন, তবে সেই মুহূৰ্ত্তে জানিতে পারিবেন পাতাটি অক্ষরে ভরা, কিন্তু বুঝিতে পরিবেন না, সে-সমস্ত অক্ষর কি ? এবং তার অর্থ কি ? কাজেই সে-সমস্ত অক্ষর কি বলিতে চায়, যদি জানিতে চান, তবে শব্দের পর শব্দ এবং পংক্তির পর পংক্তি পড়িতে হইবে উচ্চ আটালিকার উপর আরোহণ করিতে হইলে, ধাপের পুর ধাপ অতিক্রম করিয়া যাইতে হইবে, নচিলে শেষ সীমায় গিয়া পৌছান যাইবে না।’ আমি তাই বলি যে, প্রকৃতি এইরূপেই আটের দিকে চালনা করিয়া লয় । বস্তুর আকৃতি জানিতে হইলে, তার বিশিষ্টতাসকল প্রথম জানিতে হইবে। প্রথমটা ভাল না বুঝিয়া এবং আয়ত্ত না করিয়া দ্বিতীয়টাতে যাওয়া উচিত নয় । এই রকম না করিলে অযথা সময় নষ্ট হইবে এবং অমুশীলন করিবার কাল দীর্ঘ হইয়া যাইবে । মনে রাখিতে হইবে বস্তুর স্বকীয় রূপের যথার্থ জ্ঞান প্রয়োজনীয় প্রথম, পরে কাজে নিপুণত ।...নিঃসন্দেহ অঙ্কনরীতির জ্ঞান চিত্রবিদ্যার অপরিহার্য্য উপায়। চিত্রবিদ্যায় বিশেষ ভাবে মৌলিক উপাদান অঙ্কন-রীতি । অতএব ইহাকে অবহেলা করিলে মুস্কিলে পড়িতে হইবে, অন্ধগলিতে পড়িতে হইবে ; তাহা হইতে মুক্তি পাওয়া যায় না। সেই কারণেই ‘প্রথম উচিত এক মূল-নীতি অবিচলিত ভাবে অমুসরণ করা।” একবার দখল হইয়া গেলে, ইহাকে ভুলিবার জন্ত ইহার উপর প্রভুত্ব করিতে হইবে গুণীর যথার্থ নিপুণতা এই কথার ভিতর রহিয়াছে, “অঙ্কনে কোনো পদ্ধতি না থাক খারাপ, কিন্তু একমাত্র নিয়ম-পদ্ধতির উপর নির্ভর করা আরও খারাপ ।” “কোনো সম্প্রদায় বা শিক্ষালয়ের পদ্ধভিতে শিক্ষা পাইলে আর্ট চির-প্রথাগত ধারা অহসারে নিজীব হইয় পড়ে ; তাহাতে জীবনের অনুপ্রেরণা থাকে না।” * s

  • Encylopedia de la Peinture Chinoise.

ংলার নূতন চিত্রকলা সম্বন্ধে কয়েকটি কথা 8 -్మలి লাওটুসের এবং পাটরুসির উক্তিসকল ভাল করে’ অতুধাবন করে দেথা প্রয়োজন । বলতে সাহস হয় না, আমাদের নবীন শিল্পীদের ভিতরে জীবনের ধারা যেন বন্ধ হ’য়ে গেছে ; কাজ ug:Rit: stereotyped : Mannerisms *¡¡JzfřRE &Ç¥Ç5 | ç«Ø«ØÍ permutation and combination চলেছে । ভারতীয় চিত্রকলার প্রবর্তন অবনীন্দ্রনাথ ২৫/৩০ বৎসর পূৰ্ব্বে করেছেন । স্বরেন্দ্রনাথ স্বগীয় ), নন্দলাল, অসিতকুকার প্রভৃতি কয়েক জন বিখ্যাত শিল্পীকে তিনি দান করেছেন। নবীনদের ভিতরে শ্ৰীযুক্ত অৰ্দ্ধেন্দুপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্ৰীযুক্ত রমেন্দ্রনাথ চক্রবত্তী ও শ্ৰীযুক্ত ধীরেন্দ্রকৃষ্ণ দেব বৰ্ম্মার নাম করা যেতে পারে। তারা যথেষ্ট কতিত্ব অর্জন করেছেন। অৰ্দ্ধেন্দুবাবু বৰ্ত্তমানে এডেয়ারে থিয়ুসফিক্যাল সোসাইটির পরিচালিত জাতীয় বিদ্যালয়ে ভারতীয় চিত্রকলার অধ্যাপক। এদের কাজে mannerisinএর ছাপ নেই, আর বাজারের সস্ত| sentinentalism ও এদের কাজে নেই। এদের রঙে ঔজ্জল্য আছে, রেখায় জোর আছে। বাংলার গ্রাম্য জীবনের চিত্র এদের তুলিকায় সুন্দর হয়ে উঠেছে। ইংরেজীতে যাকে বলে local colour তাই এদের কাজে দেখতে পাই । প্রতিবৎসর যে চিত্রকলার প্রদর্শনী হচ্ছে তা, যেন একঘেয়ে রকমের হ’য়ে যাচ্ছে । বৎসর বৎসর কাজের উন্নতি হচ্ছে বলে মনে হয় না। শিশুদের উপর আইন-কানুন প্রয়োগ করা উচিত নয়। তাকে স্বাধীনভাবে বাড়তে দিতে হয়। কিন্তু তার বয়সবুদ্ধির সঙ্গে-সঙ্গে শাসন করার প্রয়োজন হয়। ভারতীয় চিত্রকলা যখন প্রথম প্রবর্তিত হয় তখন অবনীন্দ্রনাথকে সব্যসাচীর মতন এই শিশুতরুকে বিরুদ্ধ সমালোচনা থেকে রক্ষা করতে হয়েছিল, চিত্রকর এবং সমালোচক দুয়ের কাজই তার করতে হয়েছিল । এখন এপদ্ধতি দৃঢ়ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত, এবং বাল্য অতিক্রম করে যৌবনে পড়েছে। এখন বোধ হয় একটু সমালোচনার প্রয়োজন আছে