পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سbاس8b উপরে কিম্বা নাচেও সেইসব স্তরের পরিচয় পাওয়া যায় । এইসব স্তরের বক্রতার উপর অধিকাংশ ভূমিকম্প নির্ভর করে । অনেক ভীষণ ভূমিকম্পের সঙ্গে-সঙ্গে তাঙ্গার কেন্দ্রস্থলের নিকটবৰ্ত্তী ভূস্তর ফাটিয়া যায়,তখন দুই ধারের স্তরনিচয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য না থাকিয়া অনেক উচ্চ নাচ হইয়া যায়। ভূস্তরের . এইপ্রকার স্থানচ্যতিকে Fault বলে । অনেক ভূমিকম্পের কেন্দ্র আবার এই প্রকার Fault সমূহের এক সরল রেখা-ক্রমেই অবস্থিত দেখিতে পাওয়া शृोंध्र । পৃথিবীর আভ্যস্থরিক তাপ-বিকীরণ হেতু গলিত পদার্থ কঠিন আকার ধারণ করিবার সময় পরিমাণে সঙ্কোচিত হইয়া পড়ে, কারণ তাপ পদার্থের আকার বৃদ্ধি করে। সেই হেতু স্তরগুলি কখনও উচু কখনও নীচু হইয়া যায় এবং কখনও বা এপাশে গুপাশে সরিয়া যায়। স্তরের এই স্বাভাবিক গতি সময় সময় অত্যধিক হইয়া পড়িয়া ভূমিকম্প সংঘটিত করিয়া তুলিতে পারে। তরল আভ্যন্তরিক পদার্থ উত্তাপ-বিকীরণ হেতু কাঠিন্য লাভ করিয়া অনেক সময় সঙ্কোচনের জন্য পৃথিবীর অভ্যন্তরে স্ববৃহৎ গহবরের ( void ) স্বষ্টি করিয়া থাকে। এইসব গহবরের উপরের স্তর নীচে কোনরূপ ভর রাখিতে না পারিয়া উপর হইতে নামিয়া নীচে পড়িয়া গিয়াও অনেক সময় ভূমিকম্পের স্বষ্টি করিয়া দেয়। কারণ কোন ভারি দ্রব্য তাহার স্থায়ী অবস্থান হইতে পড়িয়া গেলে ঘেপরিমাণ মাধ্যাকর্ষণ-বলে নীচে আকুষ্ট হয় তাহার অবস্থানকেও সেই পরিমাণ বলের সহিত উপরে ঠেলিয়৷ দেয় । ভূমিকম্পে পুথিবীতে দুই প্রকারের কম্পন সংঘটিত হইতে দেখা যায়। ভূস্তরের আকস্মিক পরিবর্তনই ভূমিকম্পের কারণ হইলেও এই দুই রকমের কম্পন দেখিয়া মনে হয় যে, ভূমিকম্প-উৎপাদক ভূস্তরের পরিবর্তনও ঠিক একই ভাবে ঘটে না । একপ্রকার ভূমিকম্পে পৃথিবী কেবল অগ্রপশ্চাৎ নড়া চড়া করে মাত্র। অধিকাংশ ভূমিকম্পই এই জাতীয়। আর এক প্রকার ভূমিকম্পে এই নড় চড়া ছাড়াও ভূপৃষ্ঠে জলতরঙ্গের ন্যায় এক তরঙ্গ সৃষ্টি হইয়া বহু দূর প্রবাহিত হয় । বড় বড় প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ ১ম খণ্ড ভূমিকম্পগুলি এই শ্রেণীরই অন্তর্গত। কোনো নূতন Fault স্থষ্টি কিম্বা পুরাতন Faultএর পরিবর্তন ঘটিলেই সম্ভবতঃ প্রথমোক্ত ভূমিকম্পগুলি অনুভূত হইয়া থাকে। ইহাতে ভূস্তর কোথাও বিশেষ স্থানান্তরিত হয় না। এবং কাজেই এইসব ভূমিকম্পের বেগও সামান্তই হইয়া থাকে। ভূগর্ভস্থ ভূস্তরের স্ববৃহৎ অংশ ভাঙ্গিয়৷ স্থানান্তরিত হইয়া পড়িলেই দ্বিতীয় প্রকার ভূমিকম্প সংঘটিত হইয়া থাকে। আধুনিক পণ্ডিতগণ আবার পৃথিবীর আভ্যন্তরিক অবস্থা সম্বন্ধে ভিন্ন মত পোষণ করিতে আরম্ভ করিয়াছেন। ভিতরের উত্তপ্ত গলিত পদার্থ বাহিরের একটি নাতি-স্কুল কঠিন আবরণে আবৃত থাকায় পুরাতন মত আর তাহারা সমর্থন করেন না । ভস্জেস ও র্যাকফরেষ্ট পৰ্ব্বতের আভ্যন্তরীণ মৃত্তিকান্তরের মানচিত্র পৃথিবীর অভ্যন্তরে ছিদ্র করিলে ক্রমশঃই অধিক উত্তাপের প্রমাণ পাওয়া যায়, আবার উষ্ণ প্রস্রবণ ও আগ্নেয় গিরির অগ্ন্যংগ প্রভৃতি দেখিয়া পৃথিবীর অভ্যন্তরে অত্যুষ্ণ গলিত পদার্থের অবস্থিতির ধারণা পোষণ করিবার কারণ হইয়াছিল। কিন্তু আধুনিক পণ্ডিতগণ বলেন যে, পৃথিবীর অভ্যন্তরে পদার্থনিচয় যতই উত্তপ্ত হউক না কেন এত চাপে থাকিয়া কিছুতেই তরল অবস্থা প্রাপ্ত হইতে পারে না । উত্তাপে কঠিন পদার্থ গলিয়া তরল হইবার কালে উপরের বায়ুর চাপ যত বৃদ্ধি করা যায় তাপও তত বেশী আবশ্বক হয় । ইহা বিজ্ঞানের একটি সৰ্ব্ববাদিসম্মত মত । দার্জিলিং, শিমলা প্রভৃতি উচ্চ স্থানের বায়ুর তাপ নীচ সমতল ভূমি অপেক্ষ অনেক কম ; কাজেই এইসব স্থানে খোলামুখ পাত্রে জাল দিলে গোলআলু সিদ্ধ হয় না কারণ সেইসব স্থলে জল অপেক্ষাকৃত কম উত্তাপেই ফুটে এবং একবার ফুটিতে আরম্ভ করিলেই আর জলের উত্তাপ বৃদ্ধি হয় না এবং আলু সিদ্ধ হওয়ার মত উত্তাপ স্বাক্টই হয় না। পাত্রের মুখ ঢাকিয়া দিলে ভিতরের বায়ুর তাপ বৃদ্ধি হয় এবং সঙ্গে