পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Se প্রবাসী-আষাঢ়, ১৩e৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড একটা ভয়ানক টান পড়িতেছে। এই টানের বল যখন ভূপৃষ্ঠস্থ স্তরসমূহের সংস্থতি-বলকে অতিক্রম করে তখন কোনো স্থানে স্তরগুলি ছিড়িয়া দুই ভাগ হইয়া যায় এবং একভাগ উত্তর দিকে যেমন সজোরে সরিয়া পড়ে অপর ভাগ বিপরীত দিকে সেই পরিমাণ জোরেই সরিয়া আসে এবং Inertiaর বলে কয়েক বার এদিক ওদিক দুলিয়া স্থির হয় ; এই দোলনই ভূমিকম্প । ভূমিকম্পের প্রথম কারণ যাহা বলা হইয়াছে এই মতের সহিত তাহার কোনো পার্থক্য নাই বলিলেই চলে, কারণ ভূপৃষ্ঠের ঢাল ( curvature ) যেখানে বেশী সেপানেই ভূস্তরের উভয়মুখী মন্থরগতির প্রভাবে বেশী টান পড়িবার কথা । জাপানের ১৮৯১ সালের ভূমিকম্পের ফলে বিদীর্ণ ভূমিখণ্ড এবং সেখানেই ভূস্তর চিড়িয়া ভূমিকম্প উৎপন্ন করিতে পারে এবং fault ও হষ্টি করিতে পfরে। তবে পূৰ্ব্বোক্ত প্রথম প্রকারের ভূমিকম্পই এই ভাবে উৎপন্ন হইতে পারে বলিয়া মনে হয় । কারণ, এই প্রকার নৈসর্গিক ব্যাপারেই ভূস্তরের অগ্রপশ্চাং নড়াচড়া করিবার কারণ দেখা যায়। ডাঃ লোসন বলেন যে, তিনি যন্ত্রদ্বার কোথায় কোনো সময় ভূমিকম্প ঘটিতে পারে, তাহ বলিয়া দিতে পারিবেন। ভূমিকম্প-সম্বন্ধে এইসব গবেষণাদির ফলে ভূমিকম্প প্ৰপীড়িত দেশে গৃহাদি নিৰ্ম্মাণ-বিষয়ে অনেক রীতি পদ্ধতির পরিবর্তন ঘটিয়াছে। ভূমিকম্পনের গতির প্রক্লত পরিমাণ লিপিবদ্ধ হওয়ায় তাহার সংহারিণী শক্তির পরিমাণও নির্ণীত হইয়াছে। এবং কি ভাবে গৃহাদি নিৰ্ম্মিত হইলে কম্পনবেগে ভূমিসাৎ হইবে না তাহা গণিতশাস্ত্রসাহায্যে স্থিরীকৃত হইয়াছে। জাপানে ইঞ্জিনিয়ারিং

কলেজে এই বিষয়ে শিক্ষাদান করিবার বিশেষ ব্যবস্থ আছে । ১৮৯৭ খৃষ্টাব্দে ভূমিকম্পবিধ্বস্ত গৃহাদি পুনৰ্নিৰ্ম্মণকালে সরকারী পূৰ্ব-বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারগণও উদ্ভব বঙ্গে ও আসামে লৌহ দণ্ড-পাত প্রভৃতি ইষ্টক নিৰ্ম্মিত দেওয়ালের ভিতরে পূরিয়া ভূমিকম্পের ধ্বংসকারী ক্ষমতার বেগ সহনোপযোগী করিয়াছেন বলিয়া প্রচার করিয়াছেন। সেইরূপ ভূমিকম্প পুনরায় না ঘটিলে র্তাহীদের এই ধারণার সত্যতা প্রমাণিত হইবে না ; তবে এই প্রকার দেওয়াল থে শুধু ইষ্টক-নিৰ্ম্মিত দেওয়াল অপেক্ষ অধিক সহনক্ষম হইবে তাহাতে সন্দেহ নাই। জাপানে সম্প্রতি যে ভূমিকম্প হইয়াছে তাহাতে steel frmeযুক্ত আধুনিক বাড়ী একটিও ভাঙ্গে নাই । ভারতের প্রাচীন মনীষীগণ ভূমিকম্পের কারণ সম্বন্ধে গবেষণা করিয়াছেন বলিয়। সবিশেষ প্রমাণ পাওয়া ধ{ না। পাতাল খণ্ড নামক বৈজ্ঞানিক গ্রন্থের নামোল্লেখ অনেক স্থানে পাওয়া যায়, ‘কন্তু গ্ৰন্থখানি এখনও উদ্ধার হয় নাই, সম্ভবতঃ এই গ্রন্থ ভূতত্ত্ববিষয়ে লিখি 5 হইয়াছিল। ভূমিকম্পের কারণাদি সেই গ্রন্থে মীমাংসিত হইয়াছিল বলিয়। আশা করা যায় । বুইং সংহিত{ বিভিন্নমুখীন বায়ুর সংঘর্ষেই ভূমিকম্পের প্রধান কারণ বলিয়া বর্ণিত হইয়াছে, ভূমিকম্পের ফলাফল সম্বন্ধে অনেক কথা ঐ গ্রন্থে বর্ণিত আছে। কোন লগ্ন ভূমিকম্প হইলে কোন কোন দেশের শুভাশুভ ও কোন কোন পী? বিস্তার লাভ করিবে প্রভৃতির উল্লেখ আছে । পুরাণে বৈজ্ঞানিক বিষয়ে রূপকের সাহায্য নেওয়াং যে একটি রীতি দেখা যায় এবিষয়েও তাহার অভাব হয় নাই । পুরাণে কথিত আছে যে, পৃথিবী বাস্থৰাং সহস্রফণার উপর অবস্থিত । কোন-একটি ফণা ক্লাস্থ হইয়া বিশ্রামের জন্য অবনত হইলে তাহার উপরিস্থ প্রদেশে ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। এই গল্পের প্রকৃত ভাব উদ্ধার করা সংস্কৃতজ্ঞ গবেষণা-প্রবণ মনীষীগণের চেষ্টাং বিষয়। ধুষ্টত। জ্ঞানে আমি এই বিষয়ে কোনরূপ হস্তক্ষেপ করিতে সাহসী হই নাই।* - 守化&

  • সাহিত্য পরিষদেয় কুমিল্লা শাখায় পঠিত ।