পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Ꮌ8 नैप्ऊि मैंiएउ ?द् ?ढ़ নিদ্রামগ্ন । কাশীশ্বরীর অধীর জিজ্ঞাসার উত্তরে লক্ষ্মী বলিল,— ঐ ফাক দিয়ে কে হাত বাড়িয়ে মাটি হাতড়াচ্ছিল – বলিয়া সে কম্পিতহস্তে চৌকাঠ দেখাইয়া দিয়া মাগো’ বলিয়া বসিয়া পড়িল । কাশীশ্বরী জানিতেন ভয় তাড়াইবার উপায় তর্ক নয়। কাজেই বধূকে কিছু না বলিয়া তিনি ছেলেদের ঐ ঘরে ডাকিয় আনিলেন। র্তাহার। দু’ভাই আদি-অন্ত অবগত হইয়া একেবারেই হাসিয়া উঠিলেন। র্তাহারা যাহা বলিলেন তাহার সংক্ষিপ্ত সার এই—ন্ত্রীলোকের দুৰ্ব্বল মস্তিষ্কে সবই সম্ভব, বিভীষিকা দেখাও আশ্চৰ্য্য নয়। বাড়ীতে মৃত্যু ঘটিলে মামুষে ভয় পাইয়াছে এ কথা ইতিপূৰ্ব্বেও শোনা গেছে। তারপর তাহারা উপসংহারে বলিলেন—ও সেরে যাবে। সারিল বটে, কিন্তু সম্পূর্ণ অন্তভাবে। কাশীশ্বরী বা তার ছেলেরা বুঝিতেই পারেন নাই যে, আতঙ্ক লক্ষ্মীর প্রাণে সময় সময় দম্ক হাওয়ার মত ছুটিয়া আসিয়া বহিয়া যাইত নী—সেটি তার মস্তিষ্কের চারিপ্রান্ত জুড়িয়া অহরহ ঘূর্ণর স্বষ্টি করিতেছিল।..লক্ষ্মী দিবারাত্র বিভীষিক দেখিতেই লাগিল—শেষে অবস্থা এমন দাড়াইল যে, চোখ বুজিলেই তাহার মনে হইত কে যেন ঘরের সহস্র ছিদ্রপথে অসংখ্য অঙ্গুলি প্রবেশ করাইয়া কি যেন টানিয়া টানিয়া লইতেছে। ষষ্ঠ দিনে সকলেই লক্ষ্য করিল যে, শিশুর দেহ একরাত্রেই যেন কাঠির মত শুষ্ক হইয়া গেছে। প্রাণপণে চুযিয়া অভ্যন্তরের সমস্ত রস বাহির করিয়া করিয়া বাজিতেছে। শিশু প্রবাসী-আষাঢ়, ১৩৩৩ [ २७* छांनं, sञ थe লইলে রসাল ফলটির যেমন আকৃতি হয় শিশুর সৰ্ব্বাবয়বের আকৃতি,ঠিক্‌ সেইরূপ বিকৃত---মাথাটি ছাড়া সৰ্ব্বাঙ্গ যেন নীরস হইয়া চুপ সিয়া আয়তনে একেবারে অৰ্দ্ধেক হইয়া গেছে। কাশীশ্বরীও দেখিলেন, দেখিয়৷ তিনি মাথায় হাত দিয়া বসিয়া পড়িলেন ; শিশুর অস্বাভাবিক উজ্জ্বল বিশাল চক্ষুদুটির দিকে চাহিয়া কাশীশ্বরী ও লক্ষ্মীর বুকের ভিতর আগুন জলিয়া উঠিল --- এত বড় মৰ্ম্মান্তিত দুর্ঘটনা মানুষের জীবনে বুঝি দুটি ঘটিতে পারে না ; চোখের উপর শিশুহনন চলিতেছে — অথচ ত্রিভুবনের কুত্ৰাপি তার-প্রতিকারের কোনো উপায়ই মানুষের জানা নাই, বাধা দিবার সাধ্য নাই, সাম্বন নাই! হেতু যতই অনির্দেশ হোক ফল সম্বন্ধে কাহারও মনে তিলমাত্র সংশয় রহিল না এবং হেতুটাকেও সাধারণ রোগ বলিয়া এমন দিনে কিছুতেই মনে হইল না। তাই নিরুপায়ের অসহ যন্ত্রণায় কাশীশ্বরীর বুক ফাটিয়া, যাইতে লাগিল ; তিনি অবিরাম কঁাদিতে লাগিলেন। পুত্রটিকে বুকে করিয়া লক্ষ্মী নিৰ্ব্বাক্ স্তম্ভিত হইয়া রহিল। সে-রাত্রিতে কেহ কাহারও কাছছাড়া হইল না। স্তিমিত প্রদীপটিকে ঘিরিয়া বসিয়া একটি অজ্ঞাত ত্রাসে সবাই নিঃশব্দ—রাত্রি নীরব, মামুষের কণ্ঠ নীরব। লক্ষ্মীর আর্তনাদে সহসা সেই কঠিন নীরবতা বিদীর্ণ হইয়া মায়াজগৎ ধূলিসাৎ হইয়া গেল ; কাশীশ্বরী কাপিয়া উঠিয়া শিশুর বুকের উপর হাত রাখিলেন ; দেখিলেন নিঃশেষিততৈল শিশু-দীপটি নিভিয়া গেছে — লক্ষ্মী মূৰ্ছিত হইয়া পড়িল। যখন তাহার মূর্ছা ভাঙ্গিল তখন প্রকৃতির অপ্রাকৃতিক সমস্ত সংক্ষোভ শাস্তু হইয়া গেছে ।