পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তুই কেন মা কাদিস এত আমার দিকে চেয়ে ? অামায় দেখে শিউরে উঠিস চোখের জলে নেয়ে ? সকল কথা লুকাস কেন, ধরিস কেন ছল, কিসের ব্যথা বাজ ল বুকে বল না মাগো বল ? স্যামলী গায়ের বাছুর সেদিন গেছেই যদি মারা, তাইতে কি মা ঘরের কোণে কাদিস আমন ধারা ? পুষিটা হায় ! পালিয়ে গেছে, কাদিস বুঝি তাই ? সে বারে সে পালিয়ে ছিল, তুই ত কাদিস নাই ? দিদি ত মা শ্বশুর-বাড়ী সেদিন গেল চ’লে, এই মাসেরি শেষের দিকে আসবে গেছে ব’লে ; তবে কেন কঁাপিস মা তুই সত্যি ক’রে বল, দেখলে আমায়, চোখের কোণে আসছে ভ’রে জল ! আর কেন মা দিস না আমার সিদুর সিথির পরে ? লাল পেড়ে ওই নতুন সাড়ী রাখলি তুলে ঘরে ? শিশু-বিধবা স্ত্রী কৃষ্ণধন দে সেদিন মাগো দুপুর বেলায় দিলি না চুল বেঁধে', হাতের নোয়। খুললি আমার অমন ক’রে কেঁদে । কালকে মাগো, “বকুল ফুলের” বাসর-ঘরের কাছে, যেতেই মোরে দিলে নাক, ছয়েই ফেলি পাছে ! বললে সবাই মুখ থিচিয়ে “তুই এখানে কেন ?” হাত ধরে মোর তাড়িয়ে দিলে শেয়াল কুকুর যেন ! “বকুল ফুলের” বিয়ে, যে মা, “বকুল ফুলে”র বিয়ে, কেমন ক’রে শেষ হো’ল যে আগমণয় ফণকি দিয়ে । মুখ নেড়ে সব বললে আমায় “সর বিধবা মেয়ে— অলুক্ষণে হাসছে দেখ, স্বামীর মাথা খেয়ে—” আমার বিয়ে পড়ছে মনে স্বপন দেখার মত, সেই যে ধাগো বাজল সানাই, লোকেরি ভিড় কত । সেই ও-পাড়ার মুক্ত-দিদি সাজিয়ে দিলে মোরে, অনেক রাতে মালা-বদল ঘুমের ঘোরে ঘোরে :