পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

الأرضية నెs *鯊翌上 AyIN S BB DD SggDDD BBB DDDD BBDD D DDBBD BBD DDDBB BBBB BBBB DD D DDD DDD BBBD BB BB BBBB BBBS DDBBS BBB BBB BK K DDD DDDDS DDBBBS BBB BD DDBBBSBBBSB gB BkD DDDDD DDB BBDD BBBBBBB BBBB B BBBB BSBB BDDDD DDDS “ছাতনায় চণ্ডীদাস”— প্রতিবাদ গত বৈশাখ মাসের “প্রবাসী’তে “ছাতনীয় চণ্ডীদাস’ শীর্ষক প্রবন্ধে ঐযুক্ত সত্যকিঙ্কর সাহান মহাশয় মল্লভূমে “মনসা মঙ্গল” গান, “মনসার 4াপান” এবং মনসাদেবীর পুজার জন্ত মল্লরাজগণ কর্তৃক মনসার পৃথকদিগকে নিষ্কর ভূমি দানের উল্লেখ করিয়া বলিয়াছেন যে, বিষ্ণুপুরে বৈষ্ণবধৰ্ম্ম প্রবর্তিত হইবার পূৰ্ব্বে বীর-হাম্বির ও তৎপূর্ববৰ্ত্তী মল্লরাজগণ মনসাদেবীর উপাসক ছিলেন । কিন্তু আমাদের মনে হয় যে, বীরহাম্বিরের গৌড়ীয় বৈষ্ণবধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইবার পূর্বেও বীরহাম্বির বা তৎপূর্ববৰ্ত্তী মল্লরাজাদিগকে মনসাদেবীর উপাসক অপেক্ষী বিষ্ণু বা শ্ৰীকৃষ্ণের উপাসক বলিয়৷ অনুমান করা অধিকতর যুক্তিযুক্ত । কেন না, মল্লরাজার, শুধু মনসাদেবী কেন, শিব বিষ্ণু বা শক্তির উপাসনার জন্যও অনেক নিষ্কর দেবত্র দtণ করিয়া গিয়াছেন, এমন-কি মুসলমানদিগকে পীরত্ব দান করিতেও ৩tহার দ্বিধ বোধ করেন নাই বলিয় বোধ হয় । রামযাত্রী, কুলঘাত্র এবং পরিযাত্রীও কিছুদিন পূর্ব পর্য্যন্ত মনসার ঝাপানের মতই প্রচলিত ছিল এবং এখনও কোন-কোন স্থানে আছে । স্বতরাং কোন স্থানের প্রচলিত লৌকিক উৎসব হইতে বা কোন বিশেব দেবতার পূজার জন্য নিষ্কর ভূমি দীন হইতে সেই স্থানের রাজাদিগকে সেই দেবতার উপাসক অনুমান করা কতদূর ঠিক্‌ ? ইংরাজ রাজত্বে [ইন্দু ও মুসলমানদের অনেক প্রকার উৎসব প্রচলিত রহিয়াছে—এখনও হিন্দুরা দেবত্র ব্ৰহ্মত্র এবং মুসলমানরা পীরত্ব ভোগ করিতেছে—তাই দেখিয় কেহ যদি অনুমান করেন যে, ইংরাজর হিন্দু বা মুসলমান ছিলেন তাহ হইলে সেই অনুমান কতদূর ঠিক হইবে ? এতদ্ব্যতীত মল্লভূমে মল্লরাজাদের এবং উচ্চ শ্রেণীর হিন্দুদের প্রতিষ্ঠিত যত উল্লেখ যোগ্য বিষ্ণুমন্দির আছে, মনসাদেবীর সে-প্রকার মন্দির কয়টি আছে ? মনসাদেবীর পূজা হিন্দু মাত্রেই করিলেও নিম্ন শ্রেণীর মধ্যে ইহার যত ঘটা দেখা যায়, উচ্চ শ্রেণীর মধ্যে তত নয় । বীরহাম্বির বা তৎপুৰ্ব্ববৰ্ত্তা রাজার যে বৈষ্ণব ছিলেন তাহ। বীরহাম্বিরের জীবিতাবস্থায় রচিত "প্রেম-বিলাস” ) و}: RN۹7 ه • ن د রচিত) গ্রন্থ হইতেও অনুমান করা যাইতে পারে। মল্লরাজধানী বিষ্ণুপুরের নামেও মল্লরাজাদের বৈষ্ণবত্ব সুচিত হইতেছে। বীরহাম্বির বৈষ্ণবধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়৷ যদি নিজের রাজধানীর গাধ বিষ্ণুপুর রাখিতেন তাহ হইলে (বৈষ্ণব মাহাত্ম্য বৃদ্ধি করিবার জন্ত ) বৈষ্ণব গ্রন্থকার “প্রেম-বিলাসে” সে-কথা নিশ্চয়ই উল্লেখ করিতেন । কিন্তু “প্রেম-বিলাসে” সে-কথার উল্লেখ না থাকায় যদি আমর অনুমান করি যে, বীরহাম্বিরের পূৰ্ব্বেও মল্লরাজধানীর নাম বিষ্ণুপুরই ছিল তাহা হইলে সে অনুমান কি অসঙ্গত হয় ? ( মল্লিখিত "বিষ্ণুপুরে’ বৃক্ষবন্ধ" শীর্ষক প্রবন্ধ সন ১৩২৩ সালের ১৪ই পৌষ তারিখে ‘নায়কে দ্রষ্টব্য )। শুনা যায় যে, বীরহাম্বিরের পূর্ববৰ্ত্তী রাজ শিবসিংমল্প বৈষ্ণব ছিলেন এবং তিনি পদাবলীও রচনা করিয়াছিলেন। চন্দ্ৰমল্ল নামক অপর এক —সম্পাদক । ] রাজার সময় নাকি শলদার শ্ৰীশ্ৰীগোকুল দেবের মন্দির নিৰ্ম্মিত ও প্রতিষ্ঠিত হয় । মল্লভূমির অন্তর্গত শালতোড়া গ্রামের নিত্যদেবীর সহচরী বাসলীদেবীর আদেশে বৈষ্ণব কবি চণ্ডীদাসের “রাধাকুম" মন্ত্রে দীক্ষার প্রবাদ হইতেও মল্লভূমে বৈষ্ণব ধৰ্ম্মের অস্তিত্ব অনুমান কর। যাইতে পারে। অপহৃত বৈষ্ণবগ্রস্থ অনুসন্ধান করিতে করিতে শ্ৰীনিবাস আচাৰ্য্য যখন বীরহাম্বিরের রাজসভায় উপস্থিত হন তখন তিনি তথায় শ্ৰীমদ্ভাগবতের রাসপঞ্চাধ্যায়ী অংশ পঠিত হইতে দেখেন । ( প্রেমবিলাসের ১৩শ বিলাস দ্রষ্টব্য। ) বীরহাথির যদি মনসাদেবীরই উপাসক হইতেন তাহ হইলে সেই সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্বের যুগে নিজ সভায় ভাগবত পাঠের ব্যবস্থা করিঙেন কি ? শ্ৰীনিবাস আচাৰ্য্য আনুমানিক খৃঃ অব্দ ১৫৮২তে বিষ্ণুপুরে গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধৰ্ম্ম প্রচার করিতে আরস্ত করেন। কিন্তু মল্লভূম-নিবাসী বাবা আউলিয়। মনোহর দাস ১৫৭৮ খৃঃ অব্দের পূর্বেই জাহ্নবী গোস্বামিনীর নিকট বৈষ্ণব ধৰ্ম্মে দীক্ষা গ্রহণ করিয়৷ নান তীর্থ ভ্রমণ করিয়াছিলেন, ইহা একপ্রকাের নিশ্চিত । ( গৌরপদতরঙ্গিণী-উপক্ৰমণিক পৃঃ ১৪১ ) এই আউলিয় মনোহর দুসি বীরহাম্বিরের ভক্তিগ্রন্থের ভাণ্ডারী ছিলেন। সুতরাং এইসকল বিবরণ হইতে আমাদের মনে হয় বীরই ম্বির ব| পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী অনেক মল্লরাজ মনসাদেবীর অপেক্ষ বিষ্ণু বা গ্রীকৃষ্ণের উপাসনায় অধিকতর মনোযোগী ছিলেন এবং মনসাদেবীর পূজা উচ্চ শ্রেণী অপেক্ষ নিম্ন শ্রেণীর প্রজীবর্গের মধ্যে অধিকতর প্রচলিত ছিল । আর মল্লরাজার প্রজাবর্গের ধৰ্ম্ম-বিষয়ক স্বাধীনতায় কোন প্রকার হস্তক্ষেপ করিতেন না ; বরং তাহাদিগকে উৎসাহ দিবার জন্য তাহদের দেবতার উৎসবে যোগ দিতেন এবং সেবার জন্য নিষ্কর ভূমিও দীন করিতেন । to: শ্রী গঙ্গাগোবিন্দ রায়

  • ছাতনায় চণ্ডীদাস’ সম্বন্ধে বক্তব্য

বৈশাখ সংথ্য প্রবাসীতে শীষেদ্ধত নাম দিয়া একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হইয়াছে। স্ত্রীযুক্ত সত্যকিঙ্কর সাহীম প্রবন্ধ লিখিয়ছেন এবং রায় বাহাদুর শ্ৰীযুক্ত যোগেশচন্দ্র বিদ্যানিধি, এম-এ, তাহার পক্ষে ওকালতী করিয়াছেন । প্রবন্ধের সম্বন্ধে কোনো কথা বলিবার পূৰ্ব্বে ইহ বলা আবশ্ব)ক মনে করিতেছি যে, সাহান মহাশয় ইচ্ছ। করিয়া যে সত্য গোপন করিয়াছেন এবং রায় বাহাদুর বীরভূমের প্রতি ইঙ্গিত করিয়া যে রসিকতার পরিচয় দিরাছেন, ইহা আমাদিগকে আঘাত করিয়াছে । আরো আশ্চয্যের বিষয় সাহানী মহাশয় ও রায় বাহাদুর পরস্পর পরস্পরকে এমন দুই একটি বিরুদ্ধ মতবাদের ক্ষেত্রে দাড় করাইয়া দিয়াছেন বাহ বালকেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করে। অথচ প্রবন্ধ পড়িয় যুঝা যায় দুই জনেই দুই জনের লেখা দেখিয়া-শুনিয়া তবে ছাপিতে পাঠাইয়াছেন । আমার “বক্তব্যে” এইসব প্রমাণিত হুইবে ।