পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] আলোচনা—“বক্তব্যে’র বিজ্ঞপ্তি - -همتایی با سیم مس -مم-سس- تمامد

ت--م۔ مہ۔۔۔۔م۔مس۔--ممبہم ص

রজকিনী ও সহজির মত ও নান্নরের চণ্ডীদাস সম্বন্ধে জনশ্রুতি, সব কি পোতহীন ভিত্তি ? বাঁকুড়া-ছাতনার জনশ্রুতি আকাশে ভর করিয়া স্নাড়াইয় আছে ?” আমি কটকে “সংশয়” লিখিয়ছিলাম। পরিষৎপত্রিকায় প্রকাশের মাস কয়েক পরে বাঁকুড়ায় আসি। প্রত্নজিজ্ঞাহ দুইজন শিক্ষিত লোকের নিকট ছাতনার জনশ্রতি শনিতে যাই। " লোকে বলে, কিন্তু প্রমাণ পাওয়া যায় না।” একদিন “বাঁকুড়াদর্পণ” নামক সাপ্তাহিক সংবাদ-পত্রে দেখি, ছাতনীর এক পত্র-প্রেরক লিপিয়াছেন, চণ্ডীদাস ছাতনায় থাকিতেন, বাসলী মন্দিরের ইটে শক লেখা আছে, ইত্যাদি । তিনি থেদও করিয়াছিলেন, সমুদায় প্রমাণ কেহ অন্বেষণ করিতেছেন না, কালে বতর্মান চিহ্নগুলিও লুপ্ত হইবে । তিনি খ্ৰীষ্টান মিশনী ইস্কুলের এক শিক্ষক এবং নিজে খ্ৰীষ্টান। তাহার দেশপ্রতি দেখিয়া উহাকে বাঁকুড়াদর্পণে প্রমাণগুলি প্রকাশ করিতে লিখি। তিনি স্বীকৃত হইয়াও কিন্তু, লেপেন নাই। " আমি তথন বকুড়ায় প্রবাসী, স্থির হইয়। বসিতে পারি নাই । ১৩২৯ সালের চৈত্র মাসে একদিন অপরাহ্লে, সত্যকিঙ্কর-বাবুর সহিত কথায় কখায় ছাতনীয় চণ্ডীদাস সম্বন্ধে কথা উঠে। দেখি, তিনি নানা বিষয়-কৰ্ম্মে নিযুক্ত থাকিলেও যৌবনে আরন্ধ সাহিত্যচর্চা ছাড়েন নাই এবং আমি যে-পথের প্রতীক্ষায় বসিয়া আছি, তিনি সেপথে অনেক দূর গিয়াছেন, ছাতনায় বহুবার গিয়াছেন, সেখানে বহু জনের নিকট জনশ্রুতি শনিয়ছেন। পরদিনই উহাকে পাণ্ড করিয়া ছাতন যাই । সেখানে বাদলী, মন্দির ও ইট দেখিলাম, শ্ৰীজীবনচন্দ্র দেঘরিয়া ও রাজা-সাহেবকে পাইলাম, কিন্তু বাঁকুড়াদর্পণের সেই পত্র-প্রেরককে পাইলাম না, রাজবংশের ইতিহাসজ্ঞ রামকিঙ্কর-বাবুকেও পাইলাম না । তখন তাষ্ঠীর স্থানান্তরে ছিলেন । ছাতনার টোলের অধ্যাপক শহরগোবিন্দ স্মৃতিরত্ন পরে আtসিয়| জুটিলেন। দেঘরিয়া ও অধ্যাপক মহাশয়কে চণ্ডীদাস সম্বন্ধে প্রশ্ন করি, "চণ্ডীদাস কোথা হ’তে এসেছিলেন?” “ত জানিন ৷” “কখনও কিছু শোনেন নি ?” অধ্যাপক মহাশয় নিৰ্ব্বাক্। দেঘরিয়া মহাশয় বলিলেন, “ছাপা বইতে যেন কি লেথা আছে।” “ছাপা কথা শুনতে চাই না, সে অমূর জানি।” “কেউ কেউ বলে মামুরিকা গ্রমে উার জন্ম । বীরভূম অঞ্চলে না কোথায় তা” স্মরণ হচ্ছে না।” পাঁচশত বৎসর পুবের কথা, যাহীর সহিত বৰ্তমান জীবনযাত্রার সম্বন্ধ নাই, সে কথা কে বা স্মরণ করিয়া রাখে ? আমিও গ্রামের নামটি স্মরণের যোগ্য মনে করি নাই । দেঘরিয়ার মনের অবস্থানটি স্মরণ করিয়া রাখিলাম। তিন বৎসর পূবে দেখা ও শোন-কে আধার করিয়া বৈশাখের প্রবাসীতে মন্তব্য লিখিয়াছি। আজ ১৩৩৩ সাল ১২ই জ্যৈষ্ঠ ছাতনা আবার যাই । আমাদের বক্তার “বক্তব্য’ উত্তমৰূপে পড়িয়া গিয়াছিলাম, দেঘরিয়৷ মহাশয়কে চণ্ডীদাসের জন্মস্থান জিজ্ঞাসা করিলাম, উত্তর পাইলাম “কিছুই জানি না।” “আপনি যে মামুরিকা, এই নাম করেছিলেন?” “এমন কথা কেমন কর্যে বলব।” অর্থাৎ আমার ভাবনাই ঠিক। তিনি প্রথমবার কোথা হইতে মামুরিক ও বীরভূম পাইয়াছিলেন, তাহাও বুঝিতেছি। তাছার মনে ছাপা বই জাগিতেছিল, তাহ অগ্রাহা করিতে যলিলে, তিনি বাক্যে অগ্রাহা করিলেন বটে, কিন্তু মনে পারিলেন না। ছাপা বইর নান্নর, তাহার বিষ্কৃত নান্নর, কথায় মামূরিকারূপ পাইয়াছিল, “লোকে বলে বীরভূম” ও আসিয়াছিল। আর একবার এইজন বলিয়াছিল, মীর্জাপুর । এইরূপ, সত্যকিঙ্কর বাবুও শুনিয়া থাকিবেন, শালতোড়া। এট। ত নগণ্য কথা। ১৭ বৎসর পুবে বসন্তরঞ্জনবাবু ছাতনায় “কবির মাতামহকুলের ভদ্রাসন সংস্থিতি” দেখিয়া আসিয়াছিলেন। তিনি “ইচ্ছা করিয়৷ সত্যগোপন করেন নাই” সকল গ্রামবাসী পুরাতন ভিটাও দেখায় নাই। অত কথায় কাজ কি, আমাদের বক্তা” যিনি আমাদের দুজনকে বকিতে কসুর করেন নাই, তিনিই লিখিয়ছেন, সত্যকিঙ্কর বাবু ‘ ইচ্ছা করিয়া সত্যগোপন করিয়াছেন”, আমি "তাহার পক্ষে ওকালতী” করিয়াছি, “যে জনশ্রুতির উপর নির্ভর করিয়া সত্যবাবু লিখিলেন” “শালতোড়ার নিকট চণ্ডীদাসের বাসস্থান” “সেই জনশ্রুতি শুনিয়াই” আমি লিখিয়াছি, “কোথাকার কে” ; ইত্যাদি । গোপন একটা কৰ্ম্ম ; প্রযত্ন ব্যতীত কৰ্ম্ম অসস্তব, আর ইচ্ছা ব্যতীত প্রযত্ন অসম্ভব। অমুক অগত্য লিখিয়াছেন ইহা বলিবার পূৰ্ব্বে দেখিতে হইবে বাস্তবিক সত্য কি । তারপর দেখিতে হইবে জানিয়া সত্যগোপন, কি না-জালিয়। গোপন । মনোব্যাকরণের ভাষায় প্রথমস্থলে ইচ্ছা “জ্ঞাত", দ্বিতীয় স্থলে "অজ্ঞত” । “বক্তা”র অসত্য লিখন ইচ্ছা ব্যতীত হইতে পারে নাই, যদিও সে ইচ্ছ। তাছার অঙ্গীত। তgার মনের ভিতরে এরপ ইচ্ছ। কেন হইল তাহাও অনুমান করা কঠিন নহে। সত্য বস্তটা এত সুলভ নহে যে, যার ইচ্ছ। তারই প্রাপ্তি ঘটে। প্রত্যক্ষ ঘটনার কত সাক্ষী আদালতে নিত্য নিত্য হাজির হইতেছে, ধমভীর সত্যবাদী হইয়াও মিথ্যা বলিয়া আদিয়েছে। বৃথাভিমানী উকীল মনে করেন তাঙ্গার জেরার জেরে সত্যটা মিথ্যা হইয় পড়ে, দুই সাক্ষীর উক্তিতে বিরোধ প্রদর্শন এক অসামান্ত নৈপুণ্য । কিন্তু, প্রকৃতপক্ষে, কয়জন দেখিতে জানে, শনিতে জানে, দেখা ও শোনা যথাযথ বলিতে ও লিখিতে পারে। যখন প্রত্যক্ষ ঘটনাতেই মিথ্যার জাল জড়াইতে দেখি, তখন জনশুতি বা লোকের কথায় ভুরি ভূরি মিথ্য ও বিরোধ থাকা আশ্চর্য্যের বিষয় নয়। বক্ত কে, শ্রেত কে ; জ্ঞাতব্যের সহিত বক্তা ও শ্রোতার সম্পর্ক কি ; কতজন বক্ত, কতজন শ্রোতা, মাত্র একবার শোন, না বহু বীর শোন ; একজন না বহু জনের নিকট শোনা ; ইত্যাদি না জানিলে সত্যমিথ্যার তেল করিতে পারা যায় না , জনশ্নতির মূলে হয় সত্য থাকে, না হয় নামসাদৃষ্ঠ থাকে, কিংবা উপাথ্যানের অংশবিশেষের সাদৃষ্ঠ থাকে। ছাতনায় বাদলী আছেন, চণ্ডীদাস বাসলীর ভক্ত ছিলেন, এখন নয় বহুকাল পুবে: অমণি কথাটা রটিল ছাতনায় চণ্ডীদাস পাকিতেন ; এই দেখ বাসলীর মন্দির, এই দেখ ধোবাপুকুর । চণ্ডীদাস নান্ন,রে থাকিতেন, বীরভূমে নাল্পর নামে গ্রাম আছে অতএব চণ্ডীদাস দেপানে থাকিতেন। এই দেখ বাসলীর মন্দির, ধোবাপুকুর। দৃঢ় প্রমাণ “বীরভূম ছাড়া বাঙ্গলীর কোথাও এই নামের গ্রাম নাই ।” বসন্তরঞ্জন-বাবু ছাতনায় গিয়া "নিঃসংশয়” হইতে পারেন নাই। তিনি মন্নরে গিয়া “নিঃসংশয়” হইয়া ছিলেন কি না লেখেন নাই। কিন্তু, লিপিয়াছেন, নিত্যীসহচরী বাস্থলী চণ্ডীদাসকে নান্নরে দেখিয়াছিলেন। নান্ন, বীরভূম জেলার অন্তর্গত নান্নর (পূবনাম সাকুলপুর) থানার অদূরে * * । ইহা হইতে মন্তব্যে আমীর সন্দেহের উৎপত্তি । এখন বুঝিতেছি থানার পূরনাম দীকূলীপুর ছিল পরে নারীর রাখা হইয়াছে। এই তথ্য আমার যুক্তির বাহ ছিল । তথাপি এই প্রসঙ্গে চণ্ডীদাসলুন্ধদিগকে বিশ্বস্ত প্রবণ মনে করা আমার অন্তায় হইয়াছে। কারণ পরে পরে আরও উদাহরণ তুলিয়া দিবীর স্থান ছিল না, এবং আমার বক্রোক্তি বস্তাকে "আঘাত করিয়াছে’, কাহাকেও আঘাত করা অামার অভিপ্রায় ছিল না । আমি ইহার জন্য দুঃপিত হইলাম । এখন সংক্ষেপে আমার সংশয়ের পরিণাম বলিয়। যাই । সালের আশ্বিন মাসে আমি কলিকাত যাই । সেখানে মাস চারি ছিলাম। এই সময়ে হরেকৃষ্ণবাবু দয়া করিয়| আমীর সহিত দেখা করিতে দুইদিন আসেন । আমি শ্ৰীকৃষ্ণকীৰ্ত্তনে “সংশয়ী” । কথায় বুঝিলাম, এই গ্রন্থ যে চণ্ডীদাসের নয় এই বিশ্বাসে তিনি প্রমাণ פסלי צ