পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] keport of the Varendra Research Society for 1925_t; এর অন্তর্গত আমার লিখিত যাদুঘরের “বার্ষিক সংগ্রহ তালিকার’ পৃষ্ঠায় মুদ্রিত হইয়াছে। ‘প্রবাসীতে প্রকাশিত শিবমূৰ্ত্তির চিত্র দধিয়া মনে হয়, হরগোপাল-বাবুর বর্ণিত মূৰ্ত্তিই সম্ভবতঃ রাজসাহীতে xানীত হইয়াছে । এই মূৰ্ত্তি যে সদাশিবের তাহাতে কোন সন্দেহ নাই | সদাশিবের একটি ধ্যান গোপনার্থীরাও লিখিত Elements of Ifindu loonography গ্রস্থের দ্বিতীয় খণ্ডের দ্বিতীয় ভাগের পরিশিষ্টে (পৃ ১৮৭ ) উদ্ধত আছে। তদনুসারে দেখিতে পাওয়া স্বায় সদাশিবের পঞ্চ মুখ, (১) এবং তিনি পদ্মাসনে উপবিষ্ট ও দশভূজ-সমন্বিত । দক্ষিণের হস্তপঞ্চকে যথাক্রমে অভয় মুদা, প্রসাদ মৃস্থা, শক্তি, ত্রিশুল ও খটাঙ্গ এবং বামভাগের করপঞ্চকে যথাক্রমে ভূজঙ্গ, অক্ষমাল, ডমর", নীলোৎপল ও বীজপুর ধারণ করিয়া থাকেন । এই বর্ণনার সহিত বাঙ্গালাদেশে প্রাপ্ত এক-শ্রেণীর শিবমন্তির অনেকাংশে একা দেখিতে পাওয়া যায় এবং এই-প্রকার মুপ্তি সেনরাজগণের কতিপয় এামফলকে সংলগ্ন মুদ্রীয় উৎকীর্ণ আছে । কোন-কোন তাম্রশাসনে এই মূদ্র “সদাশিব-মুদ্র বলিয়া উল্লিখিত হইয়ছে। সদাশিবের ১ এই পাঁচটি মুখের মধ্যে শিল্পে তিনটি বা চারিটি মাত্র প্রদর্শিত হ চয় থাকে । আলো-ছায়া Q>° প্রস্তরমূৰ্ত্তি বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতির যাদুঘরে এবং কলিকাতা সাহিত্যপরিষদে রক্ষিত হইতেছে। সদাশিব তন্ত্রোক্ত ফট শিবের অন্যতম । ইহার পুজা-পদ্ধতি রুদ্রথমল প্রভৃতি তন্ত্রগ্রস্থে প্রদত্ত হইয়াছে । মৎস্তাবতারের মূৰ্ছিটি দুভাগ্যক্রমে আমরা সংগ্ৰহ করিতে পারি নাই, তবে আমাদের বার্ষিক কাৰ্য্যবিবরণী মধ্যে শ্ৰীযুত কুমার শরৎকুমার রায় মহাশয়ের বরেন্দ্ৰ-ভ্রমণ বিবরণের ৫ পৃষ্ঠায় উহার উল্লেখ করা হইয়াছে। হরগোপাল-বাবু এই সুন্দর মূৰ্ত্তির চিত্র প্রকাশ করিয়া মূৰ্ত্তিতত্ত্ব-চর্চার বিশেষ সহায়তা করিয়াছেন। এই চিত্রে অবস্ত । মূৰ্ত্তির সকল অংশ পরিস্ফুট হয় নাই। তবে দেবতার দক্ষিণ হস্তদ্বয়ে শঙ্খ ও গদ এবং বাম ভাগের একটি হস্তে চক্র, নিঃসন্দেহরূপে রহিয়াছে দেখা যায় । বাম ভাগের দ্বিতীয় হস্ত কটিদেশ স্পর্শ করিয়া সম্ভবতঃ একটি সনাল পদ্মের মূল ধারণ করিয়া আছে । মুক্তির দক্ষিণে চামর-ধারিণী লক্ষ্মী ও বীমে বীণ!-হস্তে সরস্বতী । বিষ্ণুর নিম্নাৰ্দ্ধ মৎস্ত পুচ্ছাকুতি এবং তিনি পদ্মপীঠের উপর দণ্ডায়মান অবস্থায় স্থাপিত। পদ্মপীঠের নিম্নস্থ কারুকার্যাগুলি অস্পষ্ট বলিয়া তাহার স্বরূপ নির্ণয় কর সস্তব মহে । বিষ্ণু-মুক্টির মাথার উপরে, মধ্য স্থলে কীৰ্ত্তিমুখ ও ঠাহীর উভয় পাশ্বের দুইটি মালাধরী মূৰ্ত্তি ক্ষোদিত আছে । শ্রী ননীগোপাল মজুমদার আলো-ছায়া শ্ৰী পরেশনাথ চৌধুরী আজিকে বাদলের বেলাশেষে গোধূলি মান হাসি গেল হেলে। সজল যুথিকার পরিমলে আঁধার ঘিরে আলে বনতলে । উতল বহে বায়ু চারিভিতে ঘনায়ে আসে স্মৃতি মোর চিতে । আজিকে বরষার তমসারে বিজলা গেল হেনে বারে বারে । ૨ আজিকে মনে পড়ে পাশাপাশি দুজনে চলেছিকু কোথা ভাসি’ । সেদিন জোছনায় বিভােবরী জোয়ারে কূলে কুলে ছিল ভরি’ । সেদিনে ফুলে ফুলে ভরা নিশি স্বপনে জাগরণে গেছে মিশি’ । আজিকে মনে পড়ে মেঘ হেরি’ কেন যে সব কথা সেদিনেfর । অকলে ভেসে গেল মূত্ৰ আশ। মিলায়ে গেল বৃত কাদা হাসা, কেন ধে ফিরে আসে ঠাখিভরা করুণ রূপে হায় মনোহর! ! হৃদয়ে শেল হানি’ গেল যেব! ধেয়ানে তারো আজ করি সেবা । সাতারে ছেড়েছিল্প আঘাতিয়া তারে ও চেয়ে তাজ কুঁাদে হিয়া । 8 আজিকে সুনিবিড় বরষায় ভরেছে নীপ-বল স্যময় । মেঘের ছায়া ভবা নদীজল আজিকে জাপি মম ছলছল । আজিকে মেঘে বাপ দুটি তীর মিশেছে হাসি আর আঁখি-নীর । চেয়েছে বাদলের বেলাশেম রোদন সাথে আজি গীতরেশ ।