পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6 & 8 প্রবাসী-আষাঢ়, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড সংবাদপত্রের মামলা— কলিকাতার প্রধান প্রেসিডেন্সী ম্যাজিষ্ট্রেট সংবাদপত্রের মাসল সম্পর্কে যে রায় প্রকাশ করিয়াছেন তাহ নিয়ে দেওয়া হইল । (১) "ছোলতান”—ফিনমস আশ্রম কারাদণ্ড । (২) "খ"—একমাস আশ্রম কারাদণ্ড এবং দুইশত টাকা অর্থদণ্ড। টীকা না দিতে পারিলে আরও দুই মাস অশ্রম কারাদণ্ড হইবে। (৩) “ইসলাম জগৎ"—সম্পাদকের প্রতি অর্থদণ্ড এবং তাহ। পরিশোধ করিঙ্গে ম পধিলে দুই মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ হইয়াছে। মুদ্রাকরকে ২• • < টাকা জামিন মুচলিক দিতে বাধ্য করা হইয়াছে। ৪ । "হানাফী জমায়েৎ"এর সম্পাদকের এবং মুদ্রীকরের এক মাস করিয়া বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১•• এ টাকা করির অর্থদণ্ডের আদেশ হইয়াছে। ঐ-টাক না দিতে পারিলে প্রত্যেকের দুইমাস করিয়া বিনাশ্রম, কারাদণ্ড ভোগ করিতে হুইবে । ৫ । "ভারত-মিত্র” সম্পাদককে এক বৎসর কাল ভালভাবে থাকিবার জন্য ২৫০ এ টাকার একটি জামিন মুচলিক এবং ২৫০ এ টাকার আর একটি সিকিউরিটি দিতে হইবে। এতদ্ভিন্ন মুদ্রাকরকে ঐসময়ের জগু ১ • • < টাকার মুচলিকায় আবদ্ধ করা হইয়াছে। ৬। “মাতোয়াল|”-সম্পাদক, মুদ্রাকর ও প্রকাশক মিঃ মঙ্গদেও প্রসাদ শেঠ মহাশয়কে দোমী সাব্যস্ত করিয়া চারি মাস কাল বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করিয়াছেন। ৭ । “বসুমতী”-সম্পাদক ও মুদ্রাকরকে প্রথম অপরাধ বলিয়া ভবিষ্যতের জগু সাবধান হইতে আদেশ দিয়া বিচারক তাহাদিগকে এযাত্রা অব্যাহতি দিয়াছেন । ৮। “মোহাম্মদী”র-সম্পাদক ও মুদ্রাকর মৌলবী ফজলল হককে ৫• • টাকার জামিন মুচলিক এবং অপর ৫• • < টাকার সিকিউরিটি দিতে হুইবে । ইহ! দিতে ন পারিলে তাহীকে এক বৎসর কাল বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করিতে হইবে। ৯। “ফরওয়ার্ড" সম্পাদককে নিজের ব্যক্তিগত দায়িত্বে ৬•• টাকার দলিল লিথিয় দেওয়ার জঙ্ক আদেশ হইয়াছে। মুদ্রাকর বেকত্বর খালাস পাইয়াছেন । ১• । “অমৃতবাজার পত্রিকা”—সম্পাদক এবং মুদ্রাকর দোষ স্বীকার করিয়া খালাস পাইয়াছেন। দণ্ডের বিরুদ্ধে কেহ কেহ আপীল করিয়াছেন। পরলোকগত সাহিত্য-সেবী কেদারনাথ মজুমদার— ময়মনসিংহ জেলার কিশোরগঞ্জ উপবিভাগে কাপাসাটিয়া গ্রামে ১২৭৭ সালের ২৬শে জ্যৈষ্ঠ কেদারনাথ জন্মগ্রহণ করেন। উহার পৈতৃক বাসভূমি গচিহাটা গ্রাম। এনট্রান্স ক্লাস পর্য্যস্ত পড়িয়াই তিনি সাহিত্য-চর্চায় মনোনিযেশ করিলেন । ১২৯৪ সালে তিনি "কুমার" পত্রিকার প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৩০৬ সালে “বাসনা’ বাহির করিয়া নিজেই তাহার সম্পাদকতা করিয়াছিলেন। তাহার সম্পাদকত্বে পরিচালিত ‘আরতির’র প্রতিষ্ঠা হইয়াছিল ১৩০৭ সনে। ইহার কয়েক বৎসর পরেই তিনি বাতরোগে পঙ্গু হইয় পড়েন। বাতব্যাধিfক্লষ্ট দেহেও তিনি সাহিত্য-চর্চায় রিত হন নাই । ১৩১৯ সালের কাৰ্ত্তিক মাসে তিনি “সৌরভে”র প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। “সৌরভ” চতুর্দশ বর্ষে পদার্পণ করিয়াছে। ময়মনসিংহের বিবরণ, ময়মনসিংহের ইতিহাস, ঢাকার বিবরণ, বঙ্গল সাময়িক সাহিত্য, শুভদৃষ্টি, স্রোতের ফুল, সমস্ত, চিত্র, প্রভৃতি বইগ্ৰন্থ তিনি লিখিয় গিয়াছেন। এতদ্ব্যতীত তিনি অনেক পাঠ্যপুস্তকও লিথিয়াছেন। “রামায়ণের সমাজ” নামে প্রত্নতত্ত্বমূলক একখানি বিরাট্রগ্রন্থ তিনি লিথিয় রাখিয়া গিয়াছেন, কিন্তু ইহার মুদ্ৰণ-কাৰ্য্য এখনও অসম্পূর্ণ রহিয়াছে। এই পুস্তকের প্রফ দেখিতে-দেখিতেই তিনি সহসা পীড়িত হইয় পড়েন। মাত্র সপ্তাহকাল জ্বরে ভুগিয়! তিনি বিগত ৬ই জ্যৈষ্ঠ পরলোকে চলিয়। গিয়াছেন । ඈ লীলা এত যে দিতেছ মোরে দিনে দিনে এ তুচ্ছ জীবন ভরে ভরে’, কতটুকু ফিরে পাবে তার ? তবু বারম্বার কতই দারিদ্র্য তৃষ্ণ দুভিক্ষের মাঝে অযাচিত অতর্কিত প্লাবনের সাজে চকিতে এসেছ নেমে ; গেছে থেমে সব দtহ সব দুঃখরাশি । স্বাক্ট-ছাড়া এ তোমার প্রেমে সাগরে শৈবাল সম ভাসি— শুধু ওঠা পড়া ছোট—শুধু বেয়ে যাওয়া স্রোতে স্রোতে উৰ্ম্মির নৰ্ত্তনে ; কতু কূলে কহু বা অতল তলে পাওয়া কত জন্ম-মৃত্যু-আবর্তনে! কার দেওয়া কার পাওয়া পারি না বুঝিতে, আছ তুমি আছি আমি আছে এ অনন্ত লীলা— এই শুধু হেরি মুগ্ধ চিতে ॥ দীপঙ্কর