পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওয় সংখ্যা ] বিবিধ প্রসঙ্গ-বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির অধিবেশন @@@ ১৯২৩ সালের, তাহ ১৯২৫ সালে মুদ্রিত ; অন্যটি ১৯২৪ সালের, তাহা ১৯২৬ সালে মুদ্রিত। ১৯২৩ সালের রিপোর্টটিও ১৯২৪ এর সঙ্গে এত বিলম্বে প্রেরণের কারণ বুঝিতে পারিলাম না। ১৯২৪ সালের রিপোট হইতে নীচের তালিকাটি গৃহীত হইল । ১৯২৪ সালের হাজারকরা সংখ্যা । প্রদেশ জন্মের হার মৃত্যুর হার শিশুমৃত্যুর হার মধ্য প্রদেশ ssર ৩২ ৬ ఫిరి3°సె পঞ্জাব 9 అ*: 8○"8 ২১ ২ ৩ বিহার-ওড়িষ ৩৫৭ ર૪° ૪ وق " مرا ) ج বোম্বাই \مي * به ج وان * ) لع S&S"? মান্দ্রাজ \రి8*సె 28"(敬 > f s"2 অী গ্রা অষোধ্যা ৩৪° ৭ ՉԵ Ց ) ని )*సె আসাম °C >"o २ १*७ ף "8-לצ রাংলা ఫిసె' ( ఫి (*సె Str8°3 ব্ৰহ্মদেশ ≤ ዓ “8 之ゞ"& אליף את צ উত্তরপশ্চিম সীমান্ত ২৭০ vర్ళి " ది మై "8 হাজারকরা স্বাভাবিক লোকসংখ্যা-বুদ্ধির হার নিম্নলিখিত রূপ —মধ্যপ্রদেশ ১১৬, মান্দ্রীজ ১০°৪, বোম্বাই ৮০, বিহার-ওড়িযt ৬'৬, আগ্ৰা-অযোধ্যা ৬৪, ব্রহ্মদেশ ৫৯, আসাম ৩৭, বাংলা ৩৬ । হ্রাস হইয়াছে পঞ্জাবে হাজার করা ৩-৪ এবং উত্তরপশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে ৪০ ৷ বিধবাবিবাহ-সহায়ক সভা লাহোরের বিধবাবিবাহ-সহায়ক সভার একাদশ বার্ষিক অর্থাং ১৯২৫ সালের রিপোটে দেখিলাম, ঐ সালে সভার চেষ্টায় মোট ২৬৬৩টি বিধবার বিবাহ হইয়াছে। এগার বৎসরের মোট সংখ্যা ৬৩৩৪। ইহা কতকটা উৎসাহজনক হইলেও, মনে রাখিতে হইবে, যে, ভারতবর্ষে ২৫ বৎসরের মৃনবয়স্ক হিন্দু বিধবার সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৩০ হাজার ৬৪৪ ৷ ১৯২৫ সালে বিধবা-বিবাহ হইয়াছে পঞ্চাবে ২০৯৮, আগ্রা-অযোধ্যায় ৩৫৬, বিহার ও ওড়িষায় ৬, বঙ্গ ও আসামে ১০৩, রাজপুতানায় ১৭, বোম্বাইয়ে ১২, মধ্যপ্রদেশে ১১ এবং মান্দ্রীজে ২৩টি । এই সভা হিন্দী, উর্দু, গুরুমুখী, ইংরেজী, বাংলা, মরাঠী, তেলুগু ও সিন্ধীতে পুস্তিকাদি প্রকাশ ও প্রচার করেন। তদ্ভিন্ন ইহার হিন্দী, উর্দু ও ইংরেজী মাসিক কাগজ তিনটি আছে । বঙ্গে এইরূপ কৰ্ম্মিষ্ঠ একটি সভা ও তাহার বাংলা মাসিক কাগজ থাকা উচিত । বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির অধিবেশন কৃষ্ণনগরের বঙ্গীয় প্রাদেশিক কনফারেন্স বিধিসঙ্গত হউক বা না-হউক, তাহাতে বুঝ। গিয়াছিল, যে, বঙ্গের অধিকাংশ প্রতিনিধি স্বরাজ্য-প্যাক্টের বিরোধী । কিন্তু কারণ ও কৌশল যাহাই হউক, বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির যে অধিবেশন ৩০শে জ্যৈষ্ঠ রবিবার কলিকাতায় হয়, তাহা হইতে বুঝা যাইতেছে, যে, কমিটির সভ্যদের অধিকাংশ, প্যাক্ট সম্বন্ধে বিবেচনাটা যেন হয়ই নাই, এই— রূপ ভাব প্রকাশ করিয়া তাহা এখন ধামাচাপা রাখিতে ব্যগ্র । উদ্দেশ্ট অবশ্য খুবই সহজবোধ্য। প্যাক্ট ষে কৃষ্ণনগরে নাকচ হইয়া গিয়াছে, তাহা মানিয়া লইলে, কিম্ব কমিটিতে তাহা বিবেচিত হইয়া নাকচ হইলে, স্বরাজ্য দল হইতে অনেক মুসলমান সভ্যের সরিয়া পড়িবার সম্ভাবনা আছে । ব্যবস্থাপক সভার আগামী নিৰ্ব্বাচন না হইয়া যাওয়া পৰ্য্যন্ত তাহা স্বরাজী কৰ্ত্তাদের মতে বাঞ্ছনীয় নহে। কমিটির মাটিঙে প্রথমেই শ্ৰীযুক্ত ললিতমোহন দাস প্রস্তাব করেন ও শ্ৰীযুক্ত উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যাপাধ্যায় ও খুলনার শ্রীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ সেন সমর্থন করেন, যে, কৃষ্ণনগবে শ্রীযুক্ত যোগেশচন্দ্র চৌধুরীর সভাপতিত্বে ষে সভার অধিবেশন হয়, তাহা বঙ্গীয় প্রাদেশিক কনফারেন্সের অধিবেশন কি না, এই প্রশ্নের আলোচনা করা কমিটি বাঞ্ছনীয় মনে করেন না । এই প্রস্তাব প্রথমে গৃহীত বলিয়া ঘোষিত হয় । তাহার পর উহার উপর আবার ভোট লওয়ায় উহা পরিত্যক্ত বলিয়া ঘোষিত হয়। দুইবার ভোট এই প্রকারে লওয়া ঠিক হইয়াছিল মনে হয় না। কৃষ্ণনগরে যোগেশ চৌধুরী মহাশয়ের সভাপতিত্বে যে সভার অধিবেশন হয়, তাহা বঙ্গীয় প্রাদেশিক কনফারেন্স নহে, এই প্রস্তাব অতঃপর অধিকাংশের মতে গৃহীত হয় । এই প্রস্তাবের উদেষ্ঠ স্পষ্টতঃ কৃষ্ণনগরের সভাকে অবৈধ ঘোযণা করিয়া প্যাক্ট সম্বন্ধে উহার সিদ্ধান্তকে বাতিল করা । এইজন্যই ললিত-বাবুর প্রস্তাবটি