৪র্থ সংখ্যা ] “হ্যা দাদু, ডাকৃছি। নীচে দুধ সন্দেশ খাবে চল । কাল আর ত থাম্ম ডাক্বে না ।” থোকা রাগিয়া ক্ষুদ্র মুষ্টি দিয়া ঠাকুমাকে এক কিল বসাইয়া দিল । ঠাকুমার নিৰ্ম্মমতায় তাহার আপত্তিটা সে অন্য কোনো প্রকারে জানাইতে পারিল না । তরঙ্গিণী হাসিয়া চোখের জল মুছিলেন, লাবণ্যও চোখের জল সামূলাইতে না পারিয়া ঝর ঝর করিয়া কাদিয়া ফেলিল । অপরাধী খোকা মনে করিল বুঝি তাহারই অতিরিক্ত শাসনে ঠাকুম ও মার আশ্র প্রবাহ দেখা দিয়াছে ; সে অপ্রস্তুত হইয়া ঠাকুমার গলা দুই হাতে জড়াইয়া বুকে মুখ গুজিয়া ফুপিয়া ফুপিয়া কাদিয়া উঠিল । তরঙ্গিণী “দা আমার, ধন আমার, আঁধার ঘরের মাণিক আমার” করিয়া তাহাকে ভুলাইতে বসিলেন । নিজের উপর তাহার নিজেরই রাগ হইতেছিল। “বুড়ে মাগী, সকালবেল উঠে আমার সোনাকে কাদাতে বসলাম । এমন আক্কেল ন৷ হ’লে তার এমন কপাল হবে কেন ?” - লাবণ্য কথাটা ঘুরাইবার জন্য বলিল, “ম, আজকেই কি তবে আসতে যাবে ?” তরঙ্গিণী তাহার চিবুক ধরিয়া চুম্বন করিয়া বলিলেন, “হঁ্যা মা, তোমার শ্বশুরের জেদ আজই যেতে হবে ? মা লক্ষ্মী অামার, ঘর আলো করে’ থেকে ; তোমারই হাতে মা আমার বাছাদের সব সাপে দিয়ে যাচ্ছি। ওরা বড় অভিমানী, বাপ মা এমন করে ফেলে চলে গেলে মুখ ফুটে ত কাউকে কিছু বলবে না। তুমি মা কচি মেয়ে, তবু তুমি মায়ের জাত, তোমাকেই তাদের বুকের কথা টেনে বের করতে হবে ; এই লক্ষ্মীর হাতে তাদের সব অভাব দূর করতে হবে । তারা যেন ভুলে থাকে যে, তাদের অলক্ষ্মী মাট তাদের মুখের দিকে না তাকিয়েই দুরে চলে গেছে।” লাবণ্য সঙ্কুচিত হইয়া বলিল, “মা, অমন করে’ বোলো না। এই ত ক’দিন পরেই আবার ঘুরে আসবে। আমি ঘর-সংসারের কি জানি যে, তোমার মত সবাইকার মন জুগিয়ে চলব ? এখনও কতকাল আমায় তোমারই পায়ের কাছে বসে শিখতে হবে।” জীবনদোলা 器 A S SAAAS AAAAAS AAAAASJSMAAA AAAS S AAAA S «ፃ¢ AS AMAAA AAAA S S S MSMAMAeMS SSSS - - - ح م. م تی حتی میانه تاج - مخ তরঙ্গিণী বলিলেন, “না বাছ, মন ত কই বলছে না যে, সহজে আবার ফিরে এসে তোদের হাসিমুখগুলি দেখব। শিবুকে বোলে মা, যেন বুড়ো বাপের উপর কোনো রাগ না রাখে। বড় ব্যথা পেয়েই ঘরে টিকৃতে পারছে না। মেয়ে মেয়ে করে মাথার আর কিছু ঠিক নেই। শিবু কি তা বুঝবে না ? ওর ত আপনার মায়ের পেটের বোন ; আর দেবুর বৌটকে মা, যেমন করে’ হোকু আনিয়ে রেখো। ডাগর হয়েছে, এই ত ঘর করবার সাধ-আহলাদ করবার বয়স । আমার ঘরখানাতেই থাকুবে অখন । দুটিতে মার পেটের বোনের মত থেকে । খুড়শাশুড়ীদের মান্তি করে চলতে শিখিও, ওদের কুনজরে ছেলেমানুষ যেন ন; পড়ে। আমি অভাগী কত দিনে যে তার চাদমুখখানি দেখব তা ত জানি না।” লাবণ্য ভয় পাইয়। বলিল, “ম! আমি কি ওসব পারি ? তুমি ফিরে এসে সব করবে। তরঙ্গিণী তাহার ভয় দেখিয় দুঃখের ভিতরও হাসি । বলিলেন, “ওরে পাগলী, অত ভয় পাচ্ছিস কেন ? এই ময়নার বিয়ে আসছে ; শিবুকে বলবি, ঠাকুরপোর নাম করে’। আনতে পাঠিয়ে দেবে ; সঙ্গে একটু দই মিষ্টি দিয়ে দিলেই হবে ।” - হঠাৎ কথন গেীরী আসিয়া পিছনে দাড়াইয়াছিল । কালকার অপমানের কথা আজ আর তাহার মনে ছিল না। ময়নার বিবাহ হইবে শুনিয়া সে উৎফুল্প হইয়া নাচিয়া উঠিয়া বলিল, “হঁ্যা মা, তোমরা কোথায় যাবে মা ? আমি কিন্তু বাড়ীতে বৌদির কাছেই থাকুব । ময়নার বিয়েতে সবাই মজা করবে আর তোমরা বোকার মত বেড়াতে চল্লে! কি বুদ্ধি !” ম। বলিলেন, “বোঁদি তোমার মত ধিঙ্গী মেয়েকে রাখবে কি না ? কখন কি বোকামি করে’ বসবে আর ও বেচারীর প্রাণ বেরোবে।” গৌরী মাথাটা নাড়িয়া ঠোঁট ফুলাইয়া বলিল, “হ্যা, রাখবে না বৈ কি ? বড় আহলাদ ! তা হ’লে আমি ছোট কাকীর কাছে থাকুব ।” “ছোট কাকী, ও ছোট কাকী” করিয়া দুতলা হইতেই চীৎকার করিতে করিতে গৌরী চলিল ।