পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্য। ] পরিণয় ঘটিলে যে কোনো কণ্ঠসঙ্গীত বা বাদ্যসঙ্গীতই নবজীবন লাভ করিতে বাধ্য । যে-কোনো ভারতীয় নরনারী যে-কোনো স্বরে গান । গাহিতে থাকুন, সঙ্গে যদি কোনো “পশ্চিমা’ হাৰ্ম্মণিবিৎ সঙ্গীতজ্ঞ থাকেন তিনি তৎক্ষণাৎ টকাটক আমাদের প্রত্যেক “মেলডি’র অনুরূপ যথোচিত স্বর জুড়িয়া দিতে সমর্থ হইবেন। কোন স্বরের সঙ্গে কোন স্বরের “মেল” চলে তাহ “গণিতের” “সঙ্গীতের মাপ-জোকা”র এলাকার অ আ ক খ । এই কথাটা ভারতবাসীর কানে পশিলে ভারতীয় বৈঠকে বৈঠকে হাৰ্ম্মণি সম্বন্ধে কিন্তুতকিমাকার মত প্রচারিত হইবে না । ( ১০ ) আদিজে উপত্যকার সুবিস্তৃত সমতল ভুইয়ে সাদা সরু অাক-বাক পাপুরে পথ খেলিতেছে না। মন্দির-চুড়া এখানে আর লহরায়িত নয়। নদী ছুটিয়া চলিতেছে খড় দক্ষিণ । সাদা ধবধবে জলের স্রোত শুইয়া শুইয়া গড়াইতেছে। দুই পাশে যতদূর নজর যায় দেখিতেছি কেবল আঙুরের ক্ষেত—কোথায়ও কোথায়ও তামাকের চাষ চলিতেছে । যেন এক সুবিশাল ময়দান চারদিকে যার আকাশপশী দেওয়ালে ঘেরা। পূবে পশ্চিমে পাহাড়ী দেওয়ালশ্রেণী একদম প্রায় সোজা উঠিয়াছে। উত্তর দক্ষিণেও পাহাড়গুলা যেন বা পরিপ্রেক্ষিকের নিয়মেই একত্র খাসিয়া মিশিয়াছে । এই ধরণের পর্বত-বেষ্টিত বিরাট চতুষ্কোণের পর স্কোণ নজরে পড়িতেছে। কোনো চতুষ্কোণের ৮ ওয়ালগুলায় প্রস্তর-স্তর ধরতিলের সঙ্গে সমান্তরালশবে সাজানে। পরবর্তী চতুষ্কোণে স্তরসমূহ ভূমির পর সোজা দণ্ডায়মান । চতুষ্কোণের আওতা ছাড়াইয়া পশ্চিম দিকে গেলেই নান উপত্যকার পাথরের হুড়াহুড়ি দৃষ্টিগোচর হয়। হেস্তিনো প্রদেশের এই অঞ্চলের নাম-ডাক টুরিষ্ট-মহলে :র বেশী। প্রত্যেক পল্লীই প্রসিদ্ধ। “দোলোমিতি” “লমালার কাম্পিনিয়ো এবং ব্রেস্তা-শ্রেণী পশ্চিম ক্রেস্তিনোয় পাহাড় দেখা @b"● ত্ৰেন্তিনোর পর্বত-গৌরব। এই মুল্লুকের শিখরগুলা প্রায়ই নয় হাজার ফিট উচু। తా: মেন্দোলা পাহাড়ের গড়ানো রেল এঞ্জিনিয়ার লালুসিভার বলিতেছিলেন —“আগামী সপ্তাহে একটার ঘাড় মটুকাইতে যাইব । ইচ্ছা হয় কি ?” বলিলাম :-"এ যাত্রায় শুনিয়া রাখা গেল।” বার হাজার ফিট উচু পাহাড় ইয়োরোপের পক্ষে উচ্চতম শ্রেণীরই সামিল । সেই জাতীয় পৰ্ব্বতমালাও ক্রেস্তিনোয় রহিয়াছে । টিরোল আর ত্রেস্তিনোর সীমাস্ত প্রদেশে অৰ্টলার পাহাড় এই গৌরবের অধিকারী। ব্রেস্ত আর অটলারের সম্পদ ত্রেস্তিনোকে সৌন্দর্য্যান্বেষীদের নিকট চিরবাঞ্ছিত করিয়া রাখিয়াছে। এই সৌন্দর্য্য অবশু দুদান্ত প্রস্তরাত্মার অবাধ তাণ্ডব। দূর হইতেই কিছু কিছু সেলাম করা গেল। ছবি দেখিয়া “স্ত্রাণেন অৰ্দ্ধাভোজনমূ” চলিতেছে ।