পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] মছলিপত্তন-প্রবাসী শিল্পাচাৰ্য্য শ্ৰীযুক্ত প্রমোদকুমার চট্টোপাধ্যায় ৫৯৯ , litre in Andhradesa which should express the individuality and the distinguishing genius and : Fadilions of the Andhras.” তাৎপৰ্য্য—“র্তাহার এই কিঞ্চিদধিক এক বৎসর কাল মাত্র বাসের ভিতরেই তিনি কয়েকটি অন্ধ যুবককে ললিতকলার সেবায় অনুপ্রাণিত করিয়া তুলিতে পারিয়াছেন। উপদেশ ও স্বীয় দৃষ্টান্তের সাহায্যে যুবকদের স্বকীয় প্রতিভা ফুটাইয়। তুলিবার উহার আশ্চৰ্য্য ক্ষমতা আছে। আন্ধ ইতিহাস ও প্রতিভার বিশেষত্ব প্রকাশ করিতে পারে অন্ধ দেশে এমন একটি স্বাধীন শিল্পকেন্দ্র স্বষ্টির সূচনায় সাহায্য করাই উহার মুখ্য 芭可勃 ” প্রমোদবাবুর উদ্দেশ্য যে সিদ্ধ হইয়াছে তাহা আর বলিতে হইবে না। কলিকাতার প্রাচ্য চিত্র-প্রদর্শনীতে ৭ষ্ট কলাশাল হইতে প্রথম বৎসরে ১৯পানি এবং দ্বিতীয় পুংসরে ৩৬থানি চিত্র প্রদশিত হয় । সেই সকল চিত্র সম্বন্ধে অবনীন্দ্রনাথ, গগনেন্দ্রনাথ এবং সমরেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমুখ আচার্য্য এবং বিশেষজ্ঞ শিল্পীম গুলী প্রশংসাপূর্ণ যে মন্তব্য প্রকাশ করিয়াছিলেন, তাহ অব্দের .示 কারী সংখ্যা Modern Review এবং ১৩৩০ সালের ফঃস্বনের প্রবাসীর পাঠকগণের অবিদিত নাই। গত বৎসর ছু গণের কয়েকখানি ছবি প্রদর্শনীর সূৰ্ব্বাপেক্ষ উৎক্লষ্ট লিপ্ত বিবেচিত হইয়াছিল। প্রবেদবাবুর যে কয়জন ছাত্র উপযুক্ত হইয়াছেন, ংরা সকলেই অন্ধ দেশীয়। র্তাহীদের মধ্যে প্রধান ১। আডিভি বাপীরাজু, (২) এ, ভি, সুধারাও, (৩) গুর {#iয়া, (৪) কাওতা আন্দনমোহন শাস্ত্রী, (৫) রামমোহন পি, (৬) টি, সুন্দরমূৰ্ত্তি, (৭) ভি, রামমূৰ্ত্তি, (৮) চালাপতি ৫ এবং আরও আট জন আছেন । র্তাহাদের অনেকেই শেষতঃ প্রথম ছয় জন আন্ধ দেশে প্রসিদ্ধিলাভ করিয়াহন । গুরা মাল্লায়া “কোকনাভা ফাইন আর্ট” প্রদর্শনী *তে সুবর্ণ-পদক ও উচ্চপ্রশংসাপত্র এবং আনন্দমোহন :গ লক্ষ্মেী হইতে গত বৎসর রৌপ্য-পদক পাইয়াছেন। সালোর, মৈম্বর, মান্দ্রাজ, বোম্বাই, লক্ষ্মেী ও কলিকাতার ‘শনীতে এই ছাত্রগণের অনেকেই বিশেষভাবে প্রশংসিত ছেন এবং প্রথমোক্তদের মধ্যে কয়েকজনের ছবি প্রতি যুরোপে পাঠান হইয়াছে। র্তাহাদের চিত্র ত্যক প্রদর্শনীতেই বিক্রয় হইতেছে। প্রমোদবাবুর সকল ছাত্র অদূর ভবিষ্যতে দক্ষিণ ভারতের ভিন্ন ভিন্ন * গ্ৰ শিক্ষকের কাজ করিবার জন্য প্রস্তুত হইতেছিলেন। S సె ఫి 8 তিনটি ছাত্র কলা শালা হইতে বাহির হইয়। স্বাধীনভাবে ব্যবসায় আরম্ভ করিয়াছেন। চট্টোপাধ্যায়-মহাশয়ের অন্যতম ছাত্র আডিভি বাপীরাজু গ্রাজুয়েট এবং গুণধাম । কলা শালার দ্যায় একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনার উপযোগী সে-সকল গুণ থাকা আবশ্যক তাহা তাহার জন্মিয়াছে। ১৯২৩ সাল হইতে র্তাহারা ও তাহার সতীর্থদের কাজ কলিকাতার অভিজ্ঞ সমাজে বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়াছে। stofze zife As?ist “Englishıuan”, “Statesman” প্রভৃতি পত্রে তাহীদের ছবি সমালোচিত হইতেছে । এইরূপে আন্ধ জাতীয় কলাশালার অনেকগুলি ছাত্রকে শিক্ষক ও করিবার মত তৈয়ার করিয়া দিয়া, আন্ধ দেশে বঙ্গীয় কলাশৈলীর প্রতি রুচি জন্ম।ইয়। এবং দক্ষিণ ভারতে নবীন রূপকলার স্থপ্রতিষ্ঠা করিয়া প্রমোদকুমার চট্টোপাধ্যায়-মহাশয় গৃহে ফিরিয়াছেন । কলাশালার কর্তৃপক্ষগণ র্তাহার নিকট এরূপ প্রতিশ্রুতি লইয়াছেন, যে, বৎসরে অন্ততঃ এস (র করিয়াও আসিয়া তিনি তথাকার কাজ-কৰ্ম্ম পরিদর্শন করিয়া যাইবেন। রবিবার ২ এ এপ্রেল ১৯২৬ বিরাট সভা করিয়া তাহারা তাহাকে বিদায় দান করিয়াছেন । বিদায়-সম্ভাষণে র্তাহারা যাহা বলিয়াছেন এবং প্রমোদবাপু তাহার যে উত্তর দিয়াছেন সমস্তই অতি সদ্য এবং বাঙ্গালীর গৌরবের কারণ। অন্ধ, সাহিত্যের অধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত বিশ্বনাথ সত্যনারায়ণ গারু ইংরেজী ও ত্রৈলঙ্গতে দুইটি কবিতা, ছাত্ৰগণ গুরু দক্ষিণ দ্বারা কলাশালার প্রস্তুত একখানি মূল্যবান কার্পেট, এবং ভাইস প্রিন্সিপ্যাল বাবু রামকোটশ্বর রাও গারু মৈম্বরে প্রস্তুত উৎক্লষ্ট চন্দন কাচে নিৰ্ম্মিত শ্রীকৃষ্ণের “গোপাল মন্তি’ র্তাহীদের বাঙ্গালী শিল্পাচার্য্যকে উপহার দেন। প্রমোদবাপুও ৰ্তাহার কয়েকখানি ভাল ভাল ছবি স্মারক-স্বরূপ কলtশালার গ্যালারীতে ৪ উপযুক্ত বন্ধুগণকে প্রদান করেন। বিদায়-ব্যাপার এইরূপে আনন্দোৎসবে পরিণত হইলে পর ছাত্রগণের সহিত তাহার আলোক-চিত্র গৃহীত হয়। বিদায় অভিভাষণের উত্তরে চট্টোপাধ্যায়-মহাশয় যাহা পরামর্শচ্ছলে বলিয়াছিলেন, সভ। তাহার প্রত্যেক কথাই গ্রহণ করিয়াছেন । অন্ধ দেশের লব্ধপ্রতিষ্ঠ সাহিত্যিক শ্ৰীযুক্ত মুটকুরী কৃষ্ণরাও গারু সাধারণের পক্ষ যাক ।