পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গান o সে যে মনের মানুষ কেন তীরে বসিয়ে রাথিস্ নয়ন-দ্বারে । ডার্ন রে তোর বুকের ভিতর, নয়ন ভীমক নয়ন-ধারে ॥ নিব বে আলো, আসূবে রাতি, তখন রাথিস্ আসন পাতি", আসূবে সে যে সঙ্গোপনে বিচ্ছেদেরি অন্ধকাণে ॥ আসা-যাওয়ার গোপন পথে যায় আসে তা’র আপিন মতে । বাধবে বলে যেই করে পণ Lস থাকে না, থাকে বঁধন, সেই বঁtধনে মনে মনে ধধিস কেবল আপেলারে ॥ ૨ કે લૌજનાબ ઠાકૂર્વ ত{’র ত’রে (উত্তর, মধ ১৩৩৯) আর্টের অর্থ भानई তাহার প্রাচুয্যের প্রভাবেই আপনাকে অভিব্যক্ত করে ; যেটুকু নিজের পক্ষে অত্যাবস্তক, সেটুকুতে মানবের আস্থা তৃপ্ত থাকিতে পারে না। স্বষ্টির ভিতরে আপনাকে অভিবাহু করিয়াই ব্ৰহ্ম আনন্দ লাভ করিয়া থাকেন, অথচ সে-হষ্টির আবিষ্ঠকত ত{হার পক্ষে কিছুই নাই। হতরাং এই স্বষ্টি তাহার প্রাচুৰ্য্য প্রকট করিতেছে। মানুষও তেমণি স্বষ্টিতেই আনন্দ উপভোগ করে—এস্থষ্টি তাহীর আতিশয্য বা অমিতব্যয়িতার প্রমাণ—-কাপণ্যের নহে–দৈস্যের নহে। মানব পূর্ণস্বরূপে আপনাকে মিলিত করিতে চায়, সেই মিলনে যে অপুৰ্ব্ব স্বাধীনতার আনন্দ আছে, সে তাঁহারই সন্ধানে ফিরিতেছে ; আটি মানবের জীবনের* সম্পদকেই অভিব্যক্ত করে। আটের এই যে সাধন, এই সাধন নিজেই ফলরূপা, এই সাধনার ভিতরেই সিদ্ধির আনন্দ রহিয়ছে । এই যে জগৎ, কোথা হইতে ইহার উদ্ভব ? অামাদের উপনিষদে এসম্বন্ধে দুইটি পরস্পরবিরোধী উক্তি আছে। উপনিষদের এক স্থানে বলা হইয়াছে,--“আনন্দান্ধোব খদ্বিমানি ভূতানি জায়স্তে ; আনন্দেন যাতানি জীবস্তি ।” আনন্দ হইতেই এই বিশ্বের উদ্ভব হুইয়াছে। আবার অস্ত্যত্র আছে— "ব্রহ্ম তপস্যায় নিরত হন ; সেই তপস্যা হইতে যে তাপ সঞ্চর হয়, তাহার প্রভাবেই তিনি এই বিশ্ব সৃষ্টি করিয়াছিলেন।” স্বাধীনতার আনন্দ এবং তপস্যার সংযম, সৃষ্টির ভিতর দিয়া ত্রহ্মের অক্সাভিবিকাশের স্থলে দুইটিই সত্য। এই জগৎ আর্টেরই মত সেই পরমপুরুষের লীলা বা খেলা, তাহারই বহুধা বিকাশ । আপনার বলিতে পারেন, ইহা মায় এবং মায়া বলিয়া তাহাকে

করা যায় না । تحصne۔مه ** - w অবিশ্বাসও করিতে পারেন, কিন্তু মায়াবীর তাহতে কিছুই আসিয। যায় না । আর্ট মায়াই বটে, তাহ ছাড়া উহার অন্ত কোনো ব্যাথা। মানবের জীবন স্বাধীনতার পথে বিরামবিহীন অভিযান- স্বাধীনতাই মানবের বৃত্তি, তাহার উপঞ্জীবিকা। মৃত্যুকে আশ্রয় করিয়া সে এই উপজীবিক পূতন করিয়া পাইতেছে। জীবনের নির্ধারণ দুঃখ-কষ্টকে সাধারণভাবে দপিলে কখনই সুন্দর বল যাইতে পারে না, কিন্তু আটের ভিতর দিয়া যখন সেগুলি ফুটিয়া উঠে, তপন সেইগুলিই বাস্তবস্বরূপে আমাদিগকে গীনন্দ দান করিয়া থাকে । ইহ হইতে শুধু ইহাই প্রমাণিত হয় যে, যে সব জিনিষ আমাদের মনের উপর তাহার সত্ত্বকে স্বপ্রতিষ্ঠিত করিতে পারে, তাহাই সুন্দর। সংস্কৃত ভাষায় তাহাকেই বলা হয়—মনোহর | জ্ঞাত এবং জোয় এই দুইয়ের VII II5 1 এই লিখে অসংখ্য বিষয় রহিয়াছে, কিন্তু সেগুলির মধ্যে মাত্র কতকগুলি আমাদের অtল্পীর আলোকে পড়ে । আমাদের কাছে তত্ত্ব বস্তুর আকার ধারণ করে ; অপরোক্ষ জ্ঞানের আয়ত্ত হয় কেবল সেইগুলি সেগুলি আমাদের মনে হষ্টির অtণ-পূ জাগাইতে সক্ষম হয় । অটের DYS BBBBB BBBB BB BB BBBS BBBBS BBB BBBS দুঠিয়ছে, সেইগুলিরই ভাবময় অষ্টিব্যক্তি : কাজেই ফোটেtগ্রাফের ক্যামেরার উপর আলো ও ছায় গে-ভাবে পড়ে, সে হুবহু তেমন ভাবেই উহ। গ্রহণ করে । আট তেমন ফোটের ক্যামেরার মত নয় । বিজ্ঞান কোনো পক্ষপাতিত্ব বুঝে না ; যাহ। সত্য, অপরিসীম আগ্রহের সহিত তাহাঙ্গ গ্রহণ করে---বাছাই কল্পে না । শিল্পী কিন্তু বাছাই-ই বড়, বুঝে । এই বাছাইয়ের বেদী তাহার অভূত পেয়ালের পরিচয় পাওয়া যায় । আটে সঙ্গীতকে আমি কিরূপ স্থান প্রদান করি—এই প্রশ্নটি একবার আমাকে করা হইয়াছিল। বিজ্ঞানে গণিতের যে-স্থান, আর্টে সঙ্গীতের সেই স্থান, ইঙ্গ সম্পূর্ণ বস্তুনিরপেক্ষ । অভিব্যক্তির যেটুকু সর, তাহাই সঙ্গীত। সঙ্গীতের যে ঋঙ্কার তাহ মুক্ত-অবাধ ; বস্তুবিচারের ধাধন, চিস্তার বাধন সঙ্গীতকে বধিতে পারে না । সঙ্গীত যেন আমাদিগকে সকল জিণিয়ের আয়ার ভিতরে লইয়া যায়। স্বষ্টির মুলে যে আনন্দ-ধারা, সেই আনন্সের পর্শে আমাদিগকে নাচাইয়৷ তোলে। কয়েক শতাব্দী আগে বাংলায় এমন একদিন আসিয়াছিল, যেদিন মানবের আয়ায় ভগবৎ প্রেমের যে চিরন্তন লীলা-নাট্য চলিতেছে, তাহ! জীবন্ত ভাবে অভিব্যক্ত হইয়াছিল--ভগবদুপলব্ধির আত্যস্তিক আনন্দধারী চারিদিকে বিকীর্ণ করিয়া । সেদিন ভাবের একটা আবৰ্ত্ত সমগ্র জাতির অন্তর আলোড়িত করিয়] ভুলিয়ছিল। বাংলায় সেই ভাবাব হইতে স্বষ্ট হইয়াছিল আমাদের বাঙ্গালীর কীৰ্ত্তন-গান । আমাদের জাতির ইতিহাসে এমন সময় অনেক বীর আসিয়াছে, যখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের তুচ্ছতার অতীত জিনিষের অনুভূতিতে সমগ্র জাতির অস্তর আলোকিত হুইয়। উঠিয়াছে । বুদ্ধের বাণী যেদিন ভৌতিক এবং নৈতিক নানা বাধা উপেক্ষ করিয়া ভারতের উপকূল হইতে দুরদেশে পৌঁছিয়ছিল, তখন আসিয়াছিল তেমন দিন। মানব-জীবনের সেই স্বমহান অভিজ্ঞতার