পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

to ১ম ংিখ্যা ] আধুনিকে ও প্রাচীনে বৈষম্য হইতেছে প্রকারগত। প্রাচীন শিল্পের ভাবে ও ছন্দে রহিয়াছে যে শাস্তি তাঁহারই কল্যাণে ছোট হউক আর বড় হউক, বাহিরের দৃপ্ত বা ঘটনা হউক আর অস্তরের অনুভব হউক প্রাচীনের সকল রকম স্বষ্টিতে ফুটিয়া উঠিয়াছে একটা গরিমার, মহত্ত্বের, বুহৰেই আভা । শাস্তির মধ্যেই গাঢ় হইয়া জমিয় উঠে একটা আত্মস্থ সমর্থ। প্রাচীনের ধ্যানী বুদ্ধমূৰ্ত্তি এই শাস্তির চরম ব্যঞ্জন, পরাকাষ্ঠী গোচৰ করিয়া ধরিয়াছে। আধুনিক জগতের কোনো দেশের কোনো শিল্পে ইহার তুলনা নাই। প্রাচীন, শাস্তিকে স্থিতিকে প্রতিষ্ঠা করিয়া লইয়াছেন, তাই বলিয়া গতির, বেগের, শক্তির ছন্দকে প্রকাশ করিতে যে কম দক্ষ এমন নহে । নটরাজের অঙ্গে অঙ্গে যে গতির আবেগের তোড় দুলিয় ঢুলিয় যেন গৰ্জ্জিয় গঞ্জিয় উঠিয়াছে, জানি না, আর কোন শিল্পী বিশ্বশক্তির তাণ্ডব এমনভাবে প্রকট করিয়া ধরিতে পারিয়াছেন । তবে কথা এই গতির পরীকাঠ ঠাচার দেপাইয়াছেন কিন্তু স্থিতির উপর তাহাকে প্রতিষ্ঠা করিয়৷ ৷ অপেক্ষাতু ? ইদানীন্তন কালেও এই দুইটি আপাতবিরোধী ধৰ্ম্মের সামঞ্জস্ত শিল্পীদের মধ্যে কখনও কোথায় যে, আদৌ সাক্ষাৎ পাওয়া যায় ন। তাহা নহে। নীটশ অবশ্ব এই দুইটি ধার হিসাবে দুই শ্রেণীর সাহিত্যের কথা বলিয়াছেন—এক যে-সাহিত্যে মুর্ত বিপুল গতি, আর যেসাঙ্গিতো মৃৰ্ত্ত বিশাল শাস্তি। প্রথমটির উদাহরণ তিনি দিয়াছেন সেক্স পীয়র ক্ষীণ দ্বিতীয়টির গোটে । গোটে অপেক্ষা ওয়ার্ডসওয়ার্থের স্বষ্টির মধ্যে বেiধ চয় ধর। দিয়াছে আরও নিথর নিৰ্ব্বিকার শাস্তি—কারণ, গোটের শাস্তি প্রধানতঃ স্থির বুদ্ধিকে, উদার নেধকে অtশ্রয় করিয়া প্রকাশ পাইয়াছে আর ওয়ার্ডসওয়ার্থের শাস্তি আসিয়াছে চিত্তের স্থৈৰ্য্য, প্রাণের সংসমকে ধরিয়া । লেক্সপীয়র বা মেলিয়ের তাহীদের সৃষ্টিতে গতির ছদটাই সম্মুথে প্রকট করিয়া ধরিয়াছেন ; কিন্তু সেখানেও তবু প্রাণীবেগের কৰ্ম্মপ্রেরণার যে বিপুল_ জটিল সংঘাত তাহারও পশ্চাতে অনুভব করি না কি দ্রষ্ট৷ পুরুষের চিল শাস্তি, একট প্রসন্ন গভীরতা অক্ষুণ্ণ রহিয়াছে ? লাতিনসাহিত্যের*ঙ্গভঙ্গে নিথর প্রশাস্তি, স্থাণুর সমাহিত সান্দ্রভাব সৰ্ব্বজনবিদিত। গ্রীক ও সংস্কৃত পরম শাস্তি ও পরম গঠির অপরূপ সামঞ্জস্ত দপাইয়াছে –হোমরের হেক্সামিটারে (যটমাত্র), কালিদাসের মন্দাক্রান্তীয় একটা ধীর টান৷ গতি কেমন স্তব্ধত আনির দিঠেছে প্লগ্রগতির মোড়ে মোড়ে। - ভারতের শিল্প-জগতে ধ্যানের একতনতা, সমাধির নিরূপম শাস্তি । ভারতের চিত্র, বিশেষতঃ ভারতের ভাস্কথা. শিল্পের এই উত্তম সুহুস্তকে কষ্টিপাথর—জাতি-বিজ্ঞান Gł > উঠিয়াছে—এই যুগের শিল্পী হইতেছেন মিলতন, কণেই, তাস্সে, সোফোকলা (Sophocles), কালিদাস। এই যুগের অবনতির সঙ্গে-সঙ্গে অর্থাৎ ধীশক্তির পরিবর্তে যখন দেখা দিল কেবল বিচার-বিতর্ক, তখন মস্তিষ্কের আবরণ গাঢ়তর হইয়া উপরের আলোর অবতরণের পথ রুদ্ধ করিয়া দিল। তপন আসিল Didartie Poetryর যুগ : শিল্পের উদ্দেঙ্গ হইল কেবল শিক্ষাদান, প্রচার-কাৰ্য্য। তখনই আসিলেন ইংলণ্ডে পোপ, ফরাসীতে বেয়ালে । ইউরোপে অষ্টাদশ শতাব্দীতে তখন দেখা দিল জিজ্ঞাসা, অনুসন্ধিৎসা. তর্ক-বিতর্ক, বাদ-বিসম্বাদ, আলোচনা-সমালোচনাল তুমুল কোলাহল, মস্তিষ্কের মধ্যে একটা বিপুল চাঞ্চল্য ! এই যুগষ্ট রোমাণ্টিক যুগ-নামে বিখ্যাত। এই যুগ হইতেই অশাস্তির ধৰ্ম্মকে শিল্প যেন স্বধৰ্ম্মরূপে গ্রহণ করিতে শুরু করিয়াছে। রুসো বোধ হয় ইউরোপে এই ধারার প্রবণ্ঠক । ভারতে সংস্কৃত সাহিত্যে ভবভূতির মধ্যে এই ধর্মের ছায় কথঞ্চিং দেপিঠে পাইয়াছিলাম। চিত্তের উত্তেজন|--ইমেসনই হইয়| উঠিয়াছে এই যুগের শিল্পশ্বষ্টির উৎস ও নিয়ামক। বায়রন বলুন, শেলীই বলুন, এমন-কি হিউগোই বলুন— সকলেই অশাস্তিব অবতার। তার পরে আসিল কলিযুগ–হৃদয় বা চিত্তের আসন ছাড়িয়া শিল্পপুরুষ যপন নামিয় পড়িয়ছেন আরও নীচে, প্রাণময় ক্ষেত্রে। ইহাই বৰ্ত্তমান যুগ। এই যুগের বিশেষ একটা নাম নাই—কারণ শিল্প রচনার কোনো একটা বিশেষ রীতি বা পদ্ধতি গড়িয় উঠতেছে না, যাহার যেমন অভিরুচি, প্রণেব যেমন খেয়াল সে সেই পথেই চলিয়াছে। প্রাণের আবিল চঞ্চলে আধুনিক শিল্পী অভিভূত। আধুনিক শিল্পীর সত্ত যেন দ্বিধ খণ্ডিত হইয়া গিয়াছে, তাহার অন্তরীষ্মার সহিত প্রাণের আর কোনো সংযোগ নাই । আধুনিকের অধীর গতিতে সফরীর চঞ্চল তচ্ছন্দ মূৰ্ত্তিমান, কিন্তু প্রাচীনে যাহা কপ পাইয়াছে তাহ হইতেছে সমাহিত অন্তঃস্তন্ধ মহাসাগরেব বিপুল দৌল। প্রাচীনের ছন্দ যেন বেতার তড়িতের দূর-প্রসারিত তরঙ্গ (Hertzian waves) ; আর আধুনিকের ছন্দ ক্ষুদ্র, সঙ্কীর্ণ “রন্ট গেল” রশ্মির ঢেউ। আধুনিকে আছে : ঔৎসুক্য, গবেষণা, নুতন তথ্য আবিষ্কারের ক্ষমতা, বহুমুখীত্ব, বৈচিত্রা, আছে বোধ হয় কৌশল, চমৎকারিত্ব---কিন্তু নাই সৌষ্ঠব, নিটোল সৌন্দৰ্য্য, চিত্তে যাহা আনিয় দেয় শান্তি, প্রীতি, তৃপ্তি। আধুনিক যুগে শিল্পের এই যে পরিণতি, হয় ত ইহার একটা গভীর অর্থ ও উদ্দেগু আছে। বৰ্ত্তমানের বিশৃঙ্খলতা ও বিপুল চাঞ্চল্যের মধ্যেই এখানে-ওখানে দুই-একটি শিল্পীর মধ্যে এই ভবিষ্যতের পূর্বাভাস যে পাই না তাহীও নয় । আধুনিকের স্বক্ষত চাই, কিন্তু তাহt: প্রতিষ্ঠায় চাই প্রাচীনের BBBBB BBB BB BBB BBBYS BBB BBB BBBBSS BBBS L BBBB S BBBBBB BBgBB BBS BB BB BBB BBB কৰ্ম্মীবৰ্ত্তও ভারতের শিল্পী যেখানে দেখাইয়াছেন সেখানেও ঠাহীর প্রধান লক্ষ্য যেন ছিল কি রকমে স্থিতির শাস্তিকে তন্ময়তাকে অটুট রাখা যায়। এই মহান শাস্তিমন্ত্র আধুনিকেরা যে হীরাইয়। বসিয়াছেন তাহার হেতু কি, তাহার উৎপত্তি কোথা হইতে ? জড়-জগতে I){gradation of Energy বলিয়া বৈজ্ঞানিকের একটি তথ্য আবিষ্কার করিয়াছেন, শিল্পকলার ধারাতেও দেখি এইরকমই একটা ক্ৰম-অবনতি চলিয়া আপিয়াছে। শিল্পকৃষ্টিতে অশান্তির অধীরতার হাবেগ প্রথম ফুটিয় উঠে বোধ হয় “রোমাণ্টিক” আন্দোলন হইতে। শিল্পের র্যাহার প্রথম স্রষ্ঠ, একটা বৃহৎ চেতনার অটল শাস্তি উহাদের শিল্পরচনার ছিল নৈসর্গিক ভিত্তি। সেক্স পায়র, মেলিয়ের, দান্তে, হোমর, বাল্মীকি-প্রাচীনতম যে বৈদিক ঋষিগণ—ইহায়াই ছিলেন এই যুগধর্মের বিগ্রহ। তার পরে ত্রেতাযুগে, শিল্পী এক ধাপ নীচে নামিয়া আসিয়াছেন । অন্তরাত্মার শাস্ত বৃহৎ সাক্ষাৎদৃষ্টির পরিবর্তে তখন বুদ্ধির চিন্তা-শক্তির প্রভাব প্রখর হইয়৷ প্রাচীনের অঙ্গসৌষ্ঠব ; আধুনিকের পিচিত্র গতিও বরণীয়, কিন্তু সৰ্ব্বোপণি চাই প্রাচীনের গভীর শাস্তি । * (উত্তর, মণি ১৩৩১) শ্ৰী নলিনীকান্ত গুপ্ত . জাতি-বিজ্ঞান দশ হাজার বৎসর পূৰ্ব্বেও ইজিপ্ট ও মেসোপেটেমিয়ায় প্রাচীন সভ্যতার পরিচয় পাওয়া যায়। নবপ্রস্তর যুগকাল প্রায় সত্তর হাজার বৎসর বলিরা গণনা করা হইয়া থাকে। এক স্থানে যখন নবপ্রস্তুরযুগ, আর একস্থানে তখন প্রত্নপ্রস্তরযুগ থাকিবার প্রমাণ পাওয়া গিয়াছে। পৃথিবীর সকল অঞ্চলের মানুষকে একই সময়ে এবং একই ভাবে উন্নত হইতে দেখা যায় না। যে-সময়ে দরদেীন ( Doidogne -