পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

' శ్రీst প্রবাসী-শ্রাবণ, ১৩ee [ २७च छांभ, ३अ थ७ - সেট চাদে কলঙ্ক মাত্র । অবস্ত যারা কোনোরকম কুঅভ্যেসের বালাই গায়ে মাখেন না তার ত খুবই মহৎ । কিন্তু র্যাদের এসব দোষ আছে তাদেরও সেটা কিছু এমন গুরুতর দোষ নয়, যার জন্যে তাদের চরণের দাসী স্ত্রী পৰ্য্যন্ত শাসন ক’রে দু’কথা বলবে ।” কথাগুলো প্রিয়র কানে একটুও ভাল না লাগলেও সে যেন একটু বিদ্রুপের হাসি হেসে বললে,—“তার জন্যেই ভাই, তুমি মতিবাবুকে কিছু বল না বুঝি । আর কৰ্ত্তাটিও তোমার এক শ্রীরাধার মান রেগে আবার সহস্ৰ গোপিনীর প্রতিও খুব সদয়।” 够 রমা একটু উত্তেজিত কণ্ঠে জবাব দিলে,—“দ্যাখ প্রিয়, পুরাণ বোধ হয় বিশ্বাস কর । অনস্বয়ার গল্প পড়েছ ত, তার স্বামী কুষ্ঠরোগী হ’য়েও সাধবী সতী অমন রূপবর্তী স্ত্রীর কত ভক্তির পাত্র ছিল ; আর স্বামী তার একটা পতিত স্ত্রীলোককে ভালবাসত ব'লে অক্ষম স্বামীকে সে নিজের কাধে ক’রে সেই নীচ মেয়েমানুষের কাছে বয়ে নিয়ে গিয়েছিল। সেই সতীনারীর সতীত্বের তেজে স্বৰ্য্য পৰ্য্যন্ত স্তম্ভিত হ’য়ে গিয়েছিলেন। নিজের সেই অপূৰ্ব্ব সতীত্বের প্রভাবে অনস্বয়া শেষে অমন কুণ্ঠব্যাধিগ্রস্ত স্বামীকে রোগমুক্ত পরম স্বন্দর পুরুষ ক’রে তুলতে পেরেছিলেন। এসব কাহিনী নেহাৎ অবিশ্বাসের বা তুচ্ছ অবহেলার বিষয় নয় বোন। আমরা যদি বিশ্বাস করতে পারি, তা হ’লে এইসব চরিত্র-মাহাত্ম্য শুনে কত উপদেশই ন মাভ করতে পারি। জীবনযৌবন কিছুই চিরস্থায়ী নয়, স্বামী আমার যেমনি ছুক্ষরিত্র হোন, আমি যদি ভগবানের নাম ক’রে সেই স্বামীর পথ চেয়ে দিনের পর দিন ব’সে থাকি, তা হ’লে একদিন-ন একদিন সেই স্বামী আমার ভালবাসার ফাসে ধরা দেবেনই ।” ব্লমা মনে করেছিল তার এত বড় নিঃস্বার্থ প্রেমের আদর্শ নিশ্চয়ই প্রিয়কে অন্ততঃ খানিকক্ষণের জন্ত অভিভূত ক’রে ফেলবে। সে কিন্তু সে-রকম লক্ষ্মণ না দেখিয়ে শাস্ত অথচ দৃঢ়কণ্ঠে বললে—“তোমার বিশ্বাস খুব উচু, দরের ; আর স্ত্রীর আদর্শটা খুব ভাল তা স্বীকার করলেও সংসারের পক্ষে যে সেটা বড় কাজের কথা নয় এ বলতে ভাই, আমি কুষ্ঠিত নই। ব্যভিচার, অসংযম প্রভৃতি মেয়েমানুষের পক্ষেও যেমন দোষের, পুরুষের পক্ষেও তাই। পুরুষরা এইসকল অনাচারের ফলে অনেক সময় নিজেদের হতভাগ্য ছেলে মেয়েদের উত্তরাধিকারসূত্রে এমন সব রোগ দিয়ে যায় যাতে নিষ্পাপ শিশুরা অনর্থক আজন্ম কষ্ট পেয়ে মরে । এই ত তোমার সঙ্গে সেদিন যতীনবাবু উকীলের বাড়ী বেড়াতে গিয়ে দেখলাম, তার দুটি ছোট ছেলে মেয়ে চোখেব অসুখে কি কষ্টই পাচ্ছে ! কোলের ছেলেটিরও গায়ে একরকম ঘা হয়েছে, কিছুতেই সাৰ্বছে না। ডাক্তার কাকে এসব রোগের জন্য দায়ী করেছে জান ত ! শুনে কি রকম মনে কষ্ট হ’ল বল দেখি ভাই ! “আহ। এইসব নিরপরাধ কচি প্রাণগুলি—” প্রিয় কথাট। আর শেষ করলে না, চুপ ক’রে গেল। রমার মনটা হঠাৎ খারাপ হ’য়ে গেল, তার একটি ছেলে, হ’য়ে পর্য্যন্ত এইরকম একট। অমুখে ভুগছে—তারও কি তবে এইরকম কিছু কারণ আছে ? হবেও বা । রমাকে চুপ ক’রে থাকতে দেখে প্রিয় এ অপ্রিয় প্রসঙ্গটিকে চাপা দেবার জন্ত্রে বলে উঠল—“স্থা ভাই, তুমি যে সেদিন বলেছিলে আমায় তোমাদের এদেশেব আলকাটা ঝাপের গান শোনাবে তা শোনালে কই ?” প্রতিশ্রুতিটি মনে পড়াতেই রমা ব’লে উঠল—“ওম, সে কথা যে আর মনেই নেই, তুমিও ত আর মনে করনি, ভাই । কে একজন এদেশের কোন গায়ের লোক একরকম মেঠোস্করে সব যত অভূত-অদ্ভুত গান বের করেছে, এদেশের ছোট লোকের রাতদিন সেই স্বরে গান করে। দাড়াও তোমায় এখনি শুনিয়ে দিচ্ছি। চল, আমার টেকিশালে ধান ভান্‌ছে যারা তারা ত যখন তখন গায়।” প্রিয় তখনি রমার সঙ্গে গান শুনতে উঠল। সত্যই তখন টেকিতে পাড় দিতে-দিতে স্ত্রীলোক দু’জন গান ধরেছে— “খোকার বাবা কড়, ফিরোছে - ভুলকো তারা— পাচল পার হ’ল হে প্ৰাণ ভুলকে তারা” । । আর-একজন যে টেকির গড়ে ধান নেড়ে দিচ্ছে সেও সঙ্গে স্থর দিয়ে চলেছে। অভিমানী স্বামীকে সম্বোধন ক’রে স্ত্রীর উক্তি। রাত শেষ হয়ে এল, শুকতারা ডুবুডুবু,