পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] शृङ्का-मूठ 心8》 অনচুভূত আনন্দের তরঙ্গ বহিয়া গেল। সে অত্যন্ত আশ্চৰ্য্য হইয়া জর্জের দিকে চাহিয়া রহিল ; জজ তাহার এই ভাবান্তর লক্ষ্য করিল কি না বুঝিতে চেষ্টা করিল কিন্তু মৃত্যুযানের চালক নিশ্চল পাষাণের মত দাড়াইয়া রহিল। ডেভিড হলম্ মনে মনে দুঃখ করিতে লাগিল যে এই সুখকর সংবাদটি জীবন থাকিতে পাইলেই ভাল হইত ; ইয়ার-বন্ধুদের কাছে তাহা হইলে বুক ফুলাইয়া বেশ একটা প্রেমের গল্প বলিয়া জমান যাইত । এই অপ্রত্যাশিত আঘাতে যুবকটি মুহমান হইয়। পড়িল, তাহার চতুৰ্দ্দিকে দেওয়াল দরজা সমেত ঘরখানি শেন ঘুরিতে লাগিল। সে চেয়ারের একটা হাতল ধরিয়া কোনো রকমে সামলাইয়া লইয়া বলিল, “সিস্টার মেরী, আপনি এমন ক’রে কথা বলছেন কেন ? আপনি কি আমাকে বিশ্বাস করতে বলেন যে—” সিস্টার মেরী অসহ্য বেদনায় পীড়িত হইতে লাগিলেন মুঠার মধ্যে শক্ত করিয়া সিক্ত রুমালথানি চাপিয়া ধরিয়া তিনি আত্মসম্বরণ করিতে চেষ্টা পাইলেন তাহার মুখ হইতে বন্যার মত কথা বাহির হইতে লাগিল, যেন, লজ্জা আসিবার পূৰ্ব্বে তিনি এই ব্যথার ইতিহাস শেষ করিতে চান । “তার ভালবাসার পাত্র আর কে ছিল, বল ? গুস্তাভসন, আমরা দুজন এবং অন্যান্য ধারা তার পরিচিত ছিল প্রত্যেককেই সে প্রেমের দ্বারা জয় ক’রে তার পথে টেনে নিয়েছিল ; তার জীবনের শেষ মুহূৰ্ত্ত পর্য্যস্ত আমরা তার কোনো কাজে বাধা দিইনি, তাকে কখনো সামান্য উপহাস মাত্র করিনি, আমাদের জন্যে ব্যথিত বা অমৃতপ্ত হবার কারণও তার ঘটেনি এবং আজ যে ও ওই মৃত্যুশয্যায় পড়ে ছটফট করছে তার জন্যেও আমরা কেউ "ساسية FTim a উচ্ছ্বাসের মুখে এই কথাগুলি বলিয়া সিস্টার মেরী শাস্ত হইলেন, গুস্তাভসন আশ্বস্ত হইয়া বলিল, “আমি বুঝতে পারিনি, সিস্টার, যে আপনি পাপীদের প্রতি প্রেমের কথা বলছিলেন।” • “আমি ত শুধু সে প্রেমের কথা বলিনি, গুস্তাভসন,” এই আশ্বাস বাক্যে আগন্তুকদের মধ্যে একজনের হৃদয় অবর্ণনীয় আনন্দে ভরিয়া গেল। কিন্তু পাছে এই আনন্দের জন্যে তাহার ক্রোধ ও বিদ্রোহ ভাবের কিছুমাত্র উপশম হয় এই ভয়ে সে তাহার এই উচ্ছাস দমন করিতে চেষ্টা করিল। এখানকার কথাবাৰ্ত্ত তাহাকে হঠাৎ আশ্চৰ্য্য করিয়া দিয়াছে ; ইহার পূর্ব পর্য্যস্ত সে কেবল কল্পনা করিয়াছে যে তাহাকে শুধু ধৰ্ম্ম-বক্ত তা শুনাইবার জন্তই ডাকা হইয়াছিল । ভবিষ্যতে আর এমন ভুল করা হইবে না । সিস্টার মেরী তাহার উচ্ছাস দমন করিবার জন্ত দন্তে ওষ্ঠ চাপিয়া ধরিলেন, সমস্ত ঘটনাটি আহ্বপূৰ্ব্বক গুস্তাভসনকে বুঝাইতে হইবে। তিনি বলিতে লাগিলেন, “গুস্তাভসন, এই ব্যথিত প্রেমের ইতিহাস তোমাকে বলাটা আজ অন্যায় মনে কবৃছি না ; আজ সে বোধ হয় সবারই মায়া কাটিয়ে যাচ্ছে ; তুমি যদি মিনিট কয়েক অপেক্ষা কর, আগের কথা তোমায় বলতে পারি।” যুবকটি কোটটি খুলিয়া ফেলিয়। চেয়ারে উপবেশন করিয়া নিঃশব্দে সুন্দর শাস্ত চোখ দুটি সিস্টার মেরীর দিকে তুলিয় তাহার কথার অপেক্ষায় রহিল। সিস্টার মেরী বলিতে স্বরু করিলেন, “গুস্তাভসন, ' বিগত বৎসরের উৎসব-রাত্রি আমরা দুজনে কেমন ক’রে কাটিয়েছিলাম আমি গোড়াতেই সে কথা বলব । সে বৎসর শীতের আগে আমাদের বড় অফিসে এই সহরে একটা আতুরাশ্রম খোলার কথা হয়েছিল। আমাদের দুজনকে এই কাজের ভার দিয়ে এখানে পাঠান হয় ; আমাদের পরিশ্রমের অন্ত ছিল না ; স্থানীয় সহকৰ্ম্মীরাও আমাদের যথেষ্ট সাহায্য করেছিলেন। নতুন বছরের আগেই নতুন বাড়ীতে আমাদের গৃহ প্রবেশ হ’ল । রান্নাঘর ও বড় বড় শোবার ঘরগুলি তৈরী হ’য়ে গেছে। আমাদের ভরসা ছিল যে নতুন বছরের পর্বদিনেই আমরা এই আতুর-আশ্রম খুলতে পার্ব কিন্তু শেষ পৰ্য্যন্ত জীবাণুপ্রতিষেধক উনান ও ধোবাঘর তৈরী না হওয়াতে আমাদের ইচ্ছা পূর্ণ হ’লনা ।” প্রথমটা কাল্পায় সিসটার মেরীর চক্ষু ভরিয়া আসিতেছিল কিন্তু ধীরে ধীরে গল্প বলিবার সঙ্গে সঙ্গে তিনি বৰ্ত্তমানের