পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

W68. প্রবাসী—শ্রোবণ yరిరిర్ళి [ ২৬শ ভাগ, ১মথ ও এখানে আমাদিগের বক্তব্য এই, যে, এই দ্বিতীয় মত প্রথম মত হইতে সম্পূর্ণ ভিন্ন। দ্বিতীয় মতে পিতার মৌলিকত্ব ; প্রথম মতে ঈশ্বরের মৌলিকত্ব এবং এই ঈশ্বরের মধ্যে পিতা, পুত্র ও পবিত্ৰায় । লেখক একাধিক স্থলে আমাদিগকে স্মরণ করাইরা দিয়াছেন, “কেল্লাহ যেন স্বপ্নেও না ভাবেন, যে, খৃষ্ঠানের প্রকৃত প্রস্তাবে তিন ঈশ্বরের অর্চন করে ।” বার বার এক কথা বলিলেই যে তাহা বিশ্বাস করিতে হইবে তাহ। নহে। কেহ যদি বারবার বলে “আমি এখন স্বযুগু”—আমরা কি তাহার কথায় বিশ্বাস স্থাপন করিব ? লেখক স্বীকার করিয়াছেন, "তিন জন মৌলিক পুরুষ” । মৌলিক পুরুষ যখন তিন জন, তখন ইহুদিগের চৈতন্তের কেন্দ্রও তিনটি। পুরুষ তিন জন, কেন্দ্র তিনটা অপচ খৃষ্টীয়ানগণ বলেন, এ তিনটি একই । ইহা অর্থশূন্ত এবং যুক্তিশূন্ত সিদ্ধান্ত । 暖 তিন যদি এক হইতে পারে, তবে ভারতের বহু এক হইতে পরিবে না কেন ? হিন্দু আচাৰ্য্যগণ কি চিরকালই এক্ট কথা বলিয়। আসিতেছেন না 7 বৈদিক যুগেও কি বহু'-কে ’এক’ বলা হয় নাই ? হিন্দুগণ কি বলিতে পারেন না, “আবার বলি, কেছ যেন স্বপ্নেও ভাবেন না যে হিন্দুর প্রকৃত প্রস্তাবে বহু ঈশ্বরের অর্চন করে" ? খৃষ্টিয়ানগণ তিন ঈশ্বর মানেন না, ইহা প্রমাণ করিবার জন্ত লেখক এই যুক্তি দিয়াছেন – “খুষ্ট-ধৰ্ম্ম প্রত্যক্ষভাবে ইহুদী ধৰ্ম্মজাত । ইহুদী ধৰ্ম্ম যে কিরূপ উৎকট একেশ্বরবাদী তাহ শিক্ষিত ব্যক্তিমাত্রেই অবগত আছেন । এখন প্রশ্ন এই যে, খৃষ্টধৰ্ম্ম কি তাহার মূল হইতে এতটা স্বতন্ত্র বা বিকৃত হইয়। পড়িাছে বে, ঈশ্বর একাধিক এরূপ বাতুলোচিত উক্তি এই ধৰ্ম্মে স্বীকৃত इंग्न r” আমাদিগের বক্তব্য এই –বাস্তব শিষ্যগণ যতদিন ইহুদী সম্প্রদায়ভুক্ত ছিল ততদিন খৃষ্টিয়ান সম্প্রদায় একেশ্বরবাদীই ছিল। কিন্তু যখন হইতে খৃষ্টিয়ানগণ ইহুদী সমাজ হইতে পৃথক হইতে আরম্ভ হইল এবং গ্রীক, সভ্যতার সংস্পর্শে আসিতে লাগিল তখন হইতেই ইহার একেশ্বরবাদ হারাইতে লাগিল । অপরদিকে যতই একেশ্বরবাদ হইতে দূরে গমন করিতে লাগিল ততই ইহুদী সমাজ ইহাদিগকে সম্যক্ পরিবর্জন করিল। তিন ঈশ্বরের মতের জঙ্ক ইহুদীগণ আর খৃষ্টিয়ান্ধৰ্ম্ম গ্রহণ করেন নাই । Harnack ( giấit: ) štātā a* ntw Mission and Expansion of Christianity, Vol. i.) এবিষয়ে আলোচনা করিয়া দেখাইয়াছেন Tertullian এবং Origonও খাটা একেশ্বরবাদী ছিলেন না (পৃ. ৩e ) । হার্ণ্যাকের আর-একটি বাক্য উদ্ধত করিতেছি – “Many philosophie Christians ( even in the second century ) did not share this severely monotheistic idea of God : in fact, as early as the first century we come across modifications of it.” : »« i অর্থাৎ প্রথম শতাব্দী এযং এমন কি দ্বিতীয় শতাব্দীতেও অনেক দার্শনিক খৃষ্টয়ান খাটি একেশ্বরবাদী ছিলেন না। খৃষ্টীয় ত্রিত্বৰাদের প্রধান উদ্দেগু—যীশুর ঈশ্বরত্ব স্থাপন। আমাদের cलएुग्न ७क कवि नििग्नप्झम-cभौम्न उनग्न झुन्जेि छभौ• इङ्ग, ঘোষের তনয় তবে দোষের ত নয় ।” যীশুকে যদি ঈশ্বর বলা হয় তাহ হইলে চৈতন্ত ও রামকৃষ্ণকে ঈশ্বর বলিবার যলবত্তর কারণ রছিয়াছে। আর খৃষ্টয়ান-সন্মত যুক্তি দ্বার প্রত্যেক মানবেরই ঈশ্বরত্ব স্থাপন করা যায় । খৃষ্টিয়ানগণ বলিতে চাহেন, যীশু পিতার উপাদানেগঠিত ; ভারতের একট। প্রধান মত প্রত্যেক মাসবই ঈশ্বরের উপাদানে গঠিত। ধীশু যে wian foot *fos oftf. al—“your father, the devil" { যেtছন ৮৪৪ গ্রঃ) । লেখক ত্রিত্ববাদকে সমর্থন করিবার জন্ত অনেক যুক্তি প্রশ্ন । করিয়াছেন । কিন্তু তিনি যে কৃতকাৰ্য্য হন নাই—তাহা তিনি নিয়েই | ৰুঝিয়াছেন। শেষে তাহাকে বলিতে হইয়াছে – | “আর-একটি কথা বলিয়া উপসংহার করিব । কথাটি এই সকল | সময় সকল মতের ঠিক্‌ যুক্তি দেওয়া যায় না। যুক্তি দ্বারা প্রতিপন্ন করিতে ন পারিলেই যে-কোন বস্তু অমুলক এরূপ মনে করা ধৃষ্টত।" | লেখক এস্থলে যুক্তি না মানিবার যুক্তি দিয়াছেন । কথায় দাড়াইতেছে এই— - যাহা যুক্তিযুক্ত নয়, তাহাও মানিতে হইযে—অবখ্য তাহ যদি ং । তত্ত্ব হয় ।” খৃষ্টয়ানগণই যে কেবল এই কথা বলেন তাহ; নহে । সমুপৰ । সম্প্রদায়েই এমন অনেক লোক আছেন যাহারা ঐ-প্রকারের কথা ! বলিয়াই সমুদায় কুসংস্কার সমর্থন করিয়া থাকেন। যুক্তি বর্জন করিব: \ যুক্তিকে যুক্তিযুক্ত বলিয়। মনে করিলে জগতে কিছুই বর্জনীয় থাকে ন; } পৌত্তলিকতার মধ্যে যাহা জঘন্যতম পৌত্তলিকতা, বামাচারের মংে যাহা জঘদ্যতম প্রবৃত্তিমাৰ্গ, তাহীও গ্রহণীয় ও উপাদেয় বলিয়। প্রমাণি ! হয় । i লেখক যুক্তি বর্জনের সমর্থন করিতে যাইয় বিজ্ঞানের অনুমানে । ( theoryর ) কথা তুলিয়াছেন । তিনি বলেন, বিনা প্রমা: | বিজ্ঞানে অনেক ‘অনুমান’ স্বীকার করির লওয়া হয় । l লেখক এস্থলে বিষম ভুল করিয়াছেন। জগতের প্রত্যক্ষ ঘটনাসমুহ কিপ্রকারে সম্ভব হইয়াছে ইহা ব্যাখ্যা করিবার জন্যই বৈজ্ঞানিকগণ একটা theory অর্থাৎ অনুমান স্বীকার করির লন । বিজ্ঞানে? ঘটনাসমূহ প্রত্যক্ষ কিন্তু ত্রিত্ববাদ কি এইপ্রকায় একটা প্রত্যক্ষ ঘটনা ? আর ত্রিত্ববাদকেই বদি একটা অনুমান বলির স্বীকার করা হয়, ত'ত। হইলে জিজ্ঞাসা করিব কোন প্রত্যক্ষ ঘটনা প্রমাণ করিবার জন্য ত্রিত্ববাদ রূপকল্পন! আবস্তক হইয়াছে ? যীশুর জীবনে কিংবা খৃষ্ট সমাজে এমন একটা ঘটনাও ঘটে নাই যাহাকে যুক্তিযুক্ত বলিয় প্রমাণ করিবং জন্য ত্রিত্ব-বাদ রূপ কল্পনার আবহুক হইতে পারে । বিজ্ঞানের ‘অনুমান বিষয়ে দ্বিতীয় বক্তব্য এই বে—বিজ্ঞান-জগতে এমন একটি অনুমানও নাই যাহা ত্রিত্ববাদের স্কার দোষ-দুষ্ট । তাহার পরে লেখক এই বলিয় পুস্তিক শেষ করিয়াছেন—“এই প্রণালীতে বিচার করিলে ত্রিত্ব-বাদ বে বর্জনীয় নহে, বিগত দুই সহস্ৰ বৎসরে খৃষ্টধৰ্ম্ম তাহ নান উপায়ে প্রতিপন্ন করিয়াছে।” কিন্তু খৃষ্ট দর্শন ও খৃষ্ট ধৰ্ম্মের ইতিহাস আলোচনা করিয়া আমর: ইহার বিপরীত সিদ্ধাস্তেই উপনীত হইয়াছি । লেখক নিজেই স্বীকাই করিয়াছেন যে “প্রথমে এই ত্রিত্ন-ৰাদ সাহিত্যে স্থান পায় নাই।” যীশু নিজে আপনাকে ঈশ্বর বলিয়া প্রচার করেন নাই এবং উহার শিষ্যগণও তাহাকে ঈশ্বর বলিয়া গ্রহণ করেন নাই । মার্ক লিখিত পুস্তকই যীশুর প্রাচীনতম জীবনচরিত। এই পুস্তকে দেখিতে পাই যে, শিব্যগণ তাহাকে ‘didas kalos' বলিয়া সম্বোধন করিতেন । ইংরেজী বাইবেলে এই শব্দের অনুবাদে তিনটি শব্দ যাযহত হইয়াছে (১} master w fis erg ; (s) teacher wefts f** av: () doctor অর্থাৎ পণ্ডিত । এই শব্দের প্রকৃত অর্থ শিক্ষৰ । অপর তিন शांना छौषन-कब्रिाउ didas kalos७ बादशङ हद्देब्रांप्इ ७}द९ अप्नक ॐ:* যীশুকে kurios অর্থাৎ প্রভু বলিয়াও সম্বোধন করা হইয়াছে । শিষ্যের শিষ্যগণ ইহাতেও সস্তুষ্ট হইলেন না-ৰ্তাহার যীশুকে আবণ্ড অর্থে ঈশ্বরের পুত্র, প্রত্যেক মানৰই সেই অর্থে ঈশ্বরের সন্তান। *: H | |