এলেন কেই ( ১৮৪৯—১৯২৬ ) এলেন কেই আর ইহজগতে নাই । ইউরোপীয় নারীপ্রচেষ্টার এক অধ্যায় আজ শেষ হইল। এলেন কেবলমাত্র নারী অধিকারবাদী ছিলেন না, তাত র চেয়ে অনেক বড় ছিলেন। তিনি ছিলেন মহীয়সী নারী ; ইতিহাসে বহু পুরুষকে যে অর্থে ‘মহাপুরুষ’ বলা হয়, তাহ অপেক্ষ প্রত্নততর অর্থে তিনি মহীয়সী ছিলেন । তিনি র্তার উদার কৰ্ম্মজীবনের কীৰ্ত্তির সাহায্যে নারা জাতির অধিকারের বিরুদ্ধ যুক্তিগুলি নিৰ্ম্ম লে খণ্ডন করিতে সক্ষম এলেন কেই *? য়াছেন, এবং স্ত্রীশক্তি যে সমাজকে পবিত্র ও উচ্চতর তুলিয়া দিতে পারে আপনার জীবন দি তাহা প্রমাণ করিয়া সেই নারী-শক্তির মহত্তম প্রক - দেখাইয়াছেন । ਛੇ マ স্তরে 立i愛fア পাইয়াছিলাম এবং আল্ভান্থায় ( স্বইডেন ) আশ্রমে আতিথ্য উপভোগ করিয়া ধন্য হইয়াছিলাম বলি: তfহার পবিত্র স্মৃতির উদ্দেশে আমার সামান্য ভ'লউপহাররূপে র্তাহারই একটি চিত্র নিবেদন কব। আমার কর্তব্য মনে করিতেছি । ১৯২৩ খৃষ্টাব্দের মার্চ মাস। ক্রিশ্চিয়ানিয়ার প্রাচ’সংসদ ( ডা: ষ্টেন কোনোর নেতৃত্বে ) এবং ট্রগুনে (নরওয়ের ) ছাত্ৰ-মহাসভায় বক্ততা দিবার জন্য নিম ৷ হইয়াছিলাম। রলা মহোদয় তাহার শিষ্য ও বন্ধুবর্গের স্বাস্থ্যের জন্য সৰ্ব্বদাই উদ্বিগ্ন ; তিনি সেই দারুণ শৰে আমার এ নিমন্ত্রণ-গ্রহণে আপত্তি করিতে লাগিলেন ; কিন্তু মধ্য রজনীর রবি-কিরণে উদ্ভাসিত সেই মায়ালোকের প্রতি র্তাহার তরুণ ভারতীয় বন্ধুর অদম্য আকর্ষণ দেখ্যি তাহাকে অবশেষে মত দিতে হইল। কিন্তু স্কাণ্ডিনেfভমঃ মাত্রার উপযোগী পোষাক পরিচ্ছদ ঘাহাতে আমি সঙ্গে লইয়া যাই সে-বিষয়ে তিনি খুব কড় হুকুম দিলেন এব র্তাহার ভারতীয় বন্ধুটিকে পরিচিত করিয়া দিবার জ: এলেন কেইকে একটি চিঠি লিথিয় দিলেন । এলেন কেইকে দেখিব ! আমার আশ উধাও হই য় ছুটিল । আমি তাড়াতাড়ি আমার প্যারিসের “ঠাকুম' মাদাম ক্রপির (সিনেটর ক্রুপির পত্নী) নিকট দৌড়িলাম তাহার রচিত “সুইডেনের লেখিকা” পুস্তকে মি: এলেন কেই সম্বন্ধে বিশেষভাবে আলোচনা করিয়াঠেন: কারণ র্তাহাকে তিনি গভীর শ্রদ্ধা করিতেন। সে বইখানি আগাগোড় পড়িয়া আমি এলেন কেই সঙ্গ ধ নানা তথ্য সংগ্ৰহ করিয়াছিলাম। মাদাম ক্রুপির নিক 彦
