পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

WりQb প্রবাসী-শ্রিাবণ, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম ৰও বড় বড় কাচের জানাল দেওয়া মস্ত একখানা ঘর ; জানালী দিয়া সারাক্ষণ কালে হুদের তরঙ্গমালা দেখা যায় ; কয়েকটি ভূদৃশ্য এবং সেন্ট ফ্রান্সিস, সেক্ষপিয়র, গেটে, ক্রোপাটকিন প্রভৃতি ইউরোপের কয়েকজন মহাপুরুষদের চিত্ৰ দিয়া ঘরথানি সাজানো । সমস্তই তাহার উদাররুচি, এবং অধ্যাত্মদৃষ্টির প্রসারতার পরিচয় দেয়। আমি এখন বুঝিতে পারি কেন এলেন কেই নারীর অধিকারের জন্য তাহার সমস্ত ইতিহাসখ্যাত সংগ্রামে থাটি ধীশক্তির অস্ত্রই ব্যবহার করিয়াছিলেন, নারীত্বের বৰ্ম্মের আবরণ তিনি ঘৃণাভরে দূরে ফেলিয়া দিয়াছিলেন । তিনি যেমন নারী-অধিকার-বাদবিরোধী পুরুষদের যুক্তির বিরুদ্ধে তীক্ষ যুক্তি প্রয়োগ করিতেন, তেমনই স্ব জাতীয় প্রচণ্ড অধিকারবাদিনীদের উন্মত্ত কোলাহল এবং অসহিষ্ণুতারও বিরুদ্ধে দৃঢ় ভাবে দাড়াইয়াছিলেন । এই বীর জাতির কন্য। প্রকত বীরের মতই সমদশি তা ৭ সাহস দেখাইয়। বলিয়া ছিলেন, ‘মতামতের যুদ্ধে উভয় পক্ষের অবস্থা সমান হওয়া দরকার । ধীশক্তির যুদ্ধে কেবল ধীমাণের অস্ত্রই ব্যবহার করা উচিত ।" সেই নিস্তব্ধ ঘরখানিতে বসিয়। আমরা কত কথাই আলোচনা করিলাম। এলেন কেষ্টর কথোপকথন লিপি বদ্ধ করা সহজ নয় । আমি সে অসম্ভব প্রয়াস করিব ও না । সেই মহাপ্রাণ রমণীর সহজ উক্তিগুলি শুনিবাব অধিকার পাইয়াই আমি ধন্ত হইয়াছি ; চিন্ত ও কত হৃদয়াবেগের সংগ্রাম স্থল ! এলেন কেইর অধিকাংশ রচনা পড়িলে তাঙ্গাকে বিশুদ্ধ মনীষ{সম্পন্ন নারী বলিয়াই মনে হয় বটে, কিন্তু তাহার এই মনীষার অন্তরালে গভীর হৃদয়াবেগে পূর্ণ একটি বিরাটু জগং বিরাজিত । C歼 空sq 夺了 থাকিয়া থাকিয়া তিনি আত্মজীবন কথায়ু মাতিয়৷ যাইতেছিলেন ; আমি সেই স্থত্রে তাহার জীবননাট্য লীলার অঙ্ক গুলি দেখিয়া যাইতেছিলাম। ১৮৪৯ খৃষ্টাব্দে ডিসেম্বর মাসে অধ্যাপক এমিল কেই ও কাউণ্টেস সেফি পসের ক্রোড়ে জন্ম গ্রহণ করিয়া এলেন কেই পিতামাতার নানামুখী শিক্ষার উৎকর্ষ ও মার্জিতরুচি উত্তরাধিকারস্থত্রে প্রাপ্ত হন । কুড়ি বৎসর বয়সেই তিনি উদারনৈতিক দলকে সমর্থন করিয়া প্রবন্ধ লিখিতে আরম্ভ করেন , র্তাহার এই দলের অনুরাগী পৃষ্ঠপোষক ( পাণ্ডা ) ছিলেন। কোন-একটা অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়িয় তাহার পিতা সমস্ত সম্পত্তি হারাইয়া বসাতে ও তিনি কিছুমাত্র দমিয়া যান নাই । অভিজাতোচিত স্ব ভাব ও শিক্ষা হইলেও এলেন (১৮৮০ খৃষ্টাব্দে) ষ্টক্‌ষ্টলমের বিদ্যালয়ে তৎক্ষণাং সামান্য শিক্ষয়িত্রীর কাজ লষ্টয়; ফেলিলেন । সাধারণ লোকেদের সহিত এই ভাবে ঘনিষ্ঠ যোগে আসিয়া পড়াতে তাহাদের প্রতি র্তাহার সহাষ্ট্রভূতি জাগিম্‌! উঠিল ; তিনি শ্রমজীবীদের ভিতর তাহার মহং কাৰ্য্য আরম্ভ করিয়া দিলেন । শ্রমজীবীদের প্রতিষ্ঠানে বক্ত ত’ দিতে দিতে তিনি আপনার দুল্লভ বক্তৃতা-শক্তি আবিষ্কার করিয়া ফেলিলেন । ১৮৮৯ খৃষ্টাব্দে চল্লিশ বৎসর বয়সে আপনার প্রতিভার পূর্ণ বিকাশ অনুভব করিয়। তিনি চিন্থ ৪ কার্য্যক্ষেত্রে জনসাধারণের সেবায় নামিয়া পড়িলেন : সেই সময় মন্দগতি উদারনৈতিক দলের সঙ্গিত সম্পর্ক বিছিন্ন করিয়া তিনি প্রকাশ্যে সোসিয়লিষ্ট দলে যোগ দিলেন । পিত। তিনি চিন্ত{ক্ষেত্রে নেতৃত্বের জন্মগত অপি কবি লষ্টয়াই জন্মিয়াছিলেন, এবং সকল নেতার মতই তাছা মস্তকেও অজস্র সমালোচনা ও গালি বধিত হইতে লাগিল । কি স্থ তিনি তাহাতে ও পৰ্ব্বতের মত অচল রছিলেন এবং পরিশেষে এই সকলকে পরাভব করিয়া জয়যুক্ত এই সংগ্রামের ইতিহাস তাহার বক্তৃতাদির অসম্পূর্ণ বিবরণ এবং ব্যস্ত ভাবে লিখিত ‘প্রেম ও বিবাহ,” “নারীত্বের নীতি” “মাতৃত্বের নবযুগ” প্রভৃতি পুস্তকে কিছু কিছু লিপিবদ্ধ থাকিয়া গিয়াছে। ১৮৯৫ খৃষ্টকে প্রকাশিত তাহার “স্ত্রীশক্তির বাজে খরচ” নামক পুস্তক প্রচারের ফলে স্ত্রীজাতির সহিতই তাহার তীব্র সংগ্রাম বাধিয়া যায় ; * এবং ১৯১০ খৃষ্টাব্দে যখন তাহার স্বাভাবিক হইলেন ; সত্যাভিমুখিতার সহিত তিনি স্বীকার করেন যে, নার

  • নারী তার রাষ্ট্রীয় অধিকার লাভের সংগ্রামে যখন উন্মত্ত তথন এলেন কেই স্মরণ করাইয় দেন যে নারীর চরম সার্থকত আদর্শ মাতৃ : ;

. যত বড় তাদের অধিকার তত বড়ই নারীর দায়ীত্ব । এই মূল সঙ্গট ভুলিয়। জেদের বশে যে নারী সংঘ শুধু ভোট ও রাষ্ট্রীয় অধিকার লইয মাতিয়া উঠিতেছিল তাদের সঙ্গে সংগ্রামের ভিতর দিয়া সমন্বয় কণিষ্ঠ এলেন কই নারী-প্রতিষ্ঠার ইতিহাসে অমর কীৰ্ত্তি রাখিয় গিয়াছেন ;