পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] এখন আমি হাবৃগ্রিবস মহাশয়ের চরকা সম্বন্ধে যাহা জুনি তাহ লিখিয়াই প্রবন্ধ শেষ করিব । এই চরকার টেকোগুলি মাটির সঙ্গে লম্বভাবে সংযোজিত হইয়াছিল। আজকাল স্থতার কলে টেকোগুলি যে-ভাবে শ্রেণীবদ্ধ ভাবে ঘুরিতে থাকে, হাবৃগ্রিব স্ মহাশয়ই তাহার আবিষ্কৰ্ত্তা, তাহারই অনুকরণে মিলের টেকো গুলি মাটির সঙ্গে লম্বমান । আমাদের পুরাতন চরকার পাজটি যে-রূপ বাম হস্তে পূfরয়! একবার হয়ত সম্প্রসারণ, আর একবার টেকোতে জড়াইবার জন্য হাত চরকার দিকে আকুঞ্চন করিতে হয়, হাবৃগ্রিব স মহাশয়ের চরকার পাজ গুলিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি caseএর ভিন্ন ভিন্ন খোপে সংযোজিত হইয়া সেইরূপে নির্দিষ্ট পরিমাণ দূরে সরিয়া যাইত, আবার জু ডাইবার জন্ত হঠাৎ চরকার ধারে সরিয়া আসিত । ক্রার কারাসীর অৰ্দ্ধস্বয়ংক্রিয় চরকার পাজের গাকুঞ্চন-সম্প্রসারণ গতি কতকটা এইরূপ ছিল । কম্বু আমাদের দেশে আর যত স্বয়ংক্রিয় চরক উদ্ধাবল হইয়াছিল—তাহাতে পাজটিকে স্থির হস্তে ধরিয়া থাকার ঝোকটাই যেন বেশী দেখা গেল। ইহাতে স্থত। সাইকেলে কাশ্মীর ও আর্য্যাবর্ত ४७¢ অসমান হয়, পাজ হইতে স্থত বাহির হইয়া আসিতে কষ্ট হয় । বস্তুতঃ পাজ হইতে স্থতা বাহির হইয় আসা, তাহাতে পাক হওয়া, আর তাহা নলিতে জড়াইয়া যাওয়া—এই ত্রিবিধ কাজ যতই এক কেন্দ্রীভূত করিতে চেষ্টা করা যায়, পাজটি ততই সৰ্ব্বত্র সমান হওয়া এবং অত্যুৎকৃষ্ট হওয়া দরকার হইয়া পড়ে । স্থতার কলে এই ত্ৰিবিধ কাজ যুগপৎ হয় বটে, কিন্তু মিলগুলি তুলাকে পিজিবার জন্য কি আয়োজন করিয়৷ থাকে তাহ বঙ্গলক্ষ্মীর সুতার কল দেখিলেই বুঝিতে পারিবেন । মিলের পিজিবার যন্ত্রগুলি দেখিলে চক্ষু স্থির হইয়া যায় । আবিষ্কারকগণকে ধন্য ধন্ত করিতে হয়। হাবুগ্ৰীবস মহাশয়ের পিজিবার কল অবশুই এত উন্নত ছিল না, তাই তিনি স্থতাকাটার প্রক্রিয়া তিনটিকে যথাসম্ভব ভিন্ন ভিন্ন করিয়া রাখিয়াই স্থতাকাটা যন্ত্রের উদ্ভাবন করেন—সুতরাং আবার বলিতেছি —চরকা আবিষ্কারের পূৰ্ব্বে পিঞ্জনযন্ত্রের আবিষ্কার করুন । ইহা ছাড়া চরকা আবিষ্কার এক পদও অগ্রসর হইতে পরিবে না। সাইকেলে কাশ্মীর ও আর্য্যাবর্ত আয়োজন ( কলিকাতা হইতে কুলটি ) > রিখটা ঠিক মনে নেই, জুলাই মাসের একটা সন্ধ্যায় “রক বন্ধু মিলে আমাদের ক্লাবে (Gay Wheelers Club) ব’সে এবার পূজায় কোথায় যাওয়া যাবে তারই খালোচনা হচ্ছিল। সেদিন বৃষ্টিট। যেমন এলোমেলে৷ গুবি পড়ছিল, সেইরকম আমাদের গন্তব্য সম্বন্ধে জল্পনাশরনাটাও কোনো একটা স্থির সিদ্ধান্তে উপস্থিত হ’তে "ছিল না। অনেক আলোচনার পর পেশোয়ার যাওয়াই যখন কতকটা ঠিক হ’য়ে এল তখন আনন্দ বললে, “আকর্ষণবিহীন পেশোয়ার অপেক্ষা ভূস্বৰ্গ কাশ্মীর যাওয়াই কি আনন্দদায়ক ও একটু বেশী adventurous ব’লে মনে হয় না?” কথাটা সকলেরই মনে লাগল। কাশ্মীর পৃথিবীর মধ্যে একটি দেখবার মতো জায়গা। আর সাইকেলে যাওয়া দুঃসাহসিকতা ও নূতনত্বের বিষয় ব’লেই বোধ হয় আর কোন প্রতিবাদ উঠল না । কাশ্মীর যাওয়া যখন স্থির হ’ল তখন কেউ কেউ এটা 'আগাগোড়।