পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] অন্যদলের কোন সভ্যও এবিষয়ে কোন একটা প্রশ্ন জিজ্ঞাসাও ত কোনদিন করেন নাই । স্বরাজ্যদলের সভ্যদের দোষ অবশ্য বেশী ; কারণ র্তাহারা সকলে ইচ্ছা করিলে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় নারীনির্য্যাতনের প্রতিকার-কল্পে যে-কোন প্রস্তাব ধায্য করিতে পারিতেন ;—তাহার পর তদনুসারে কাজ না করিলে দোষ হইত গবন্মেন্টের । কিন্তু তাহারা মন্ত্রীদের বেতন নামধুর করিয়া দ্বৈরাজ্য ভাঙ্গাটাই প্রধান ও বেশী পৌরুষের কাজ মনে করিয়াছেন ; নারীদের সতীত্ব ও মানসস্ত্রম রক্ষণ র্তাহাদের মতে এতই তুচ্ছ ব্যাপা , যে, তাহাতে মন দেওয়া তাহারা দরকার মনে করেন নাই । তাহার নারীনির্য্যাতন বিষয়ে ব্যবস্থাপক সভায় ব৷ অন্যত্র কোন উচ্চবাচ্য না করায় লোকের মনে একট| সন্দেহ জন্মিয়াছে, যে, মুসলমান স্বরাজ্য-সভ্যদিগকে চটাইতে চান না বলিয়াই তাহীরা এই বিষয়ে মেীন অবলম্বন করিয়া আছেন । এইরূপ সন্দেহ দ্বারা মুসলমান সভ্যদিগের প্রতি সম্ভবতঃ অবিচার করা হইতেছে । সেইজুথ নারীনিম্যাতনের প্রতিকারকল্পে ব্যবস্থাপক সভায় যদি কোন প্রস্তাব আসিত, তাহা হইলে তৎসম্বন্ধে মুসলমান সভ্যদের বক্তৃত। ও তথ্য ব্যবহার দ্বারা তাহাদের মনের গতি কটা ঠিক্‌ বুঝা দাইতে পরিত, এবং ঠাইদের প্রতি অমূলক সন্দেহ নিরসনের ও উপায় ইত । আমরা আগেই বলিয়াছি, এবিষয়ে সমগ্র মুসলমান সম্প্রদায়কে বা মুসলমান মাত্রকেই মৌনী অনুমোদক মনে করা অন্যায়ু ও ভিত্তিহীন । দুশ্চরিত্র হিন্দুও অনেক আছে, এবং তাহীদের কাহারও কাহার ও পদমৰ্য্যদা ও আছে । এই জন্য একটা কষ্টিপাথর-রূপ প্রস্তাব হইলে ভাল হইত। হিন্দু ও মুসলমান সভ্যদের মধ্যে ক{হার কিরূপ ভাব, তাহা হইলে তাহ জান ঘাইত । কষ্টিপাথর না বলিয়া ‘āfēsoid qis’ ( Ithuriel's spear ) assizzi আরও ভাল হয়। মহাকবি মিণ্টনের প্যারাডাইজ লষ্ট মহাকাব্যে আছে, যে, অন্যতম স্বর্গদূত ইথিউরিয়েল শয়তানকে মানবজাতির আদিমাত ঈভের কানের কাছে কাঠ ব্যাঙের আকারে উপবিষ্ট দেখিয় তাহাকে নিজের বধা দিয়া স্পর্শ করেন। তাহাতে শয়তান নিজমূৰ্ব ধারণ করিতে বাধ্য হয় । আমরা স্বেরূপ প্রস্তাবের কথা বলিয়াছি, তাহার স্পশে কেহ কেহ নিজমূৰ্ত্তি ধারণ করিতে বাধ্য হইলে মন্দ হইত না । যাহার। পাশবিক বল প্রয়োগ দ্বার। নারীর সূৰ্ব্বনাশ করে, তাহাদিগকে পশু, পিশাচ প্রভূতি বলিলে অন্যায় হয় না। কিন্তু যে-সব ভদ্রবেশধারী ব্যক্তি অন্য উপায়ে নারীর সৰ্ব্বনাশ করিয়াও সমাজে মাদ্য গণ্য হইয়৷ বেড়ায়, r F== : S বিবিধ প্রসঙ্গ—নারী-নিৰ্য্যাতন সম্বন্ধে হিন্দু মহাসভার কর্তব্য VSసి তাহারাও উক্ত নরপশুদেরই দলভুক্ত। লোকমত উভয় দলের বিরুদ্ধে সমভাবে প্রযুক্ত হইলে সামাজিক শাসন ন্যায়সঙ্গত ও সম্যক ফলদায়ক হয় । নারী-নিৰ্য্যাতন সম্বন্ধে হিন্দু মহাসভার কর্তব্য নারী-নিৰ্য্যাতনের প্রতিকারকল্পে হিন্দু মহাসভার অনেক কৰ্ত্তব্য আছে । তাহার সবগুলি হয়ত নির্দেশ করিতে পারিব না। কিছু করিতেছি । মহাসভার কৰ্ম্মী ও সভ্যের। তাহ বিবেচনা করিয়া দেখিলে বাধিত হইব । বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলায় মহাসভার জেলা-শাখা থাক বাঞ্ছনীয় । সেইরূপ প্রত্যেক মহকুমায়, সহরে ও গ্রামে উপশাখা স্থাপন করা কৰ্ত্তব্য । তাহা করিতে হইলে, বহু কৰ্ম্মীর প্রয়োজন । কৰ্ম্মাদিগকে র্তাহীদের গ্রাসাচ্ছাদনাদির ব্যয় দেওয়া আবখ্যক । তাহাতে মহাসভার ব্যয় বৃদ্ধি অবশ্বাস্তাবী । সুতরাং তাহার সভ্য-সংখ্যা বাড়াইতে হইবে, এবং প্রত্যেক সভ্যকে যথাসাধ্য বেশী চাদ দিতে হুইবে । মহাসভার প্রত্যেক সভ্যকে প্রতিজ্ঞা করিতে হইবে, যে, তাহারা তাহীদের জ্ঞাতসারে হিন্দু অহিন্দু ধে কোন নারীর উপর অত্যাচার হইবে, বা অত্যাচারের সম্ভাবনা হইবে, তাতার প্রতিকারের চেষ্টা করিবেন। কেহ এরূপ সফল চেষ্টা করিলে, তাহা মহাসভা অন্য সভ্যদের গোচর করিবেন । প্রতিজ্ঞ করিলেই তাহা পালিত হয় না, জানি । অনেক যুবক বিবাহের পূর্বের্ণ প্রতিজ্ঞ করেন, যে, পণ লইবেন না ; কি স্তু পরে, মা আত্মহত্যা করিবেন বলিয়াছেন বা ত দ্রুপ অদ্য কোন কারণে পণ লইয়। থাকেন । তথাপি, প্রতিজ্ঞ দ্বার বা অখ্য কোন উৎকৃষ্টতর উপায়ে হিন্দু মহাসভার প্রতোক সভেfর ইহা হৃদয়ঙ্গম করিয়া দেওয়া উচিত, যে, নারীর সম্মান ও ধৰ্ম্ম রক্ষা প্রত্যেক সভ্যের একটি প্রধান কর্তব্য । মূল হিন্দু মহাসভার এব তাহার প্রত্যেক শাখার এই একটি নিয়ম পাকা উচিত, বে, কোনও কুমারী, সধবা বা বিধবা নারী কোন প্রকারে অত্যাচরিত হইলে পরিবারচ্যুত বা সমাজচ্যুত হইবেন না, এবং তাহার আত্মীয়-স্বজনের ও সমাজচ্যুত হইবেন না। মানুষের মাথা একট, তাহার আত্মসম্মানও একটা অখণ্ড জিনিষ । ধাহীর মথি সামাজিক ব্যবস্থায় ষ্টেট হইয় থাকে, যে সামাজিক হীনতা স্বীকার করিতে অভ্যস্ত, তাহাকে রাজনৈতিক ব্যাপারে মামুষের মত সোজ৷ হইয়। মাথ উচু করিয়া দাড়াইতে ও মানুষের মত সাহসের কাজ করিতে, নিজের অধিকার ও সম্মান দাবী করিতে,