পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবিধ প্রসঙ্গ-কলিকাতার ইসলামিয়া কলেজ ૧૦ ? লাশচন্দ্র বসু ৰ্তাহার আবিস্ক্রিয় তাহার উদ্ভাবিত kলর সাহায্যে বৈজ্ঞানিকদিগকে বুঝাইয়া দিয়া উচ্চ লাভ করিয়াছেন, ইহা সন্তোষের বিষয় । কিন্তু এবংসর প্যারিসের চিড়িয়াখানায় “ভারতীয় গ্রাম” নামক সে প্রদর্শনী বসিয়াছে, তাহাতে আমাদের সম্মান বাড়িবে না, এবং সন্তোষের বিষয় কিছু নাই । ইহাতে দেড় শতের উপর ভারতীয় এদেশের অনুন্নত গ্রাম্য জীবনযাত্রা প্রণালী ಧ್ಧಿ হাজার হাজার বিদেশীকে দেখাইতেছে। হাতী, à বtশ-বাজা “প গাড়ী, বাজীকর, নায়ার নাচওয়ালী, প্রভৃতির, তবধ কি চীজ, তাহ বিদেশদিগকে প্রত্যক্ষ ...ইতেছে । আমাদের গ্রাম্য-জীবনে অগৌরবের “স্ব অনেক আছে। কিন্তু ভালও কিছু আছে, যাহা চক্ষুগোচর করা যায় না । ভারতীয়ের তাহাদের শক্তি গ্রামের উন্নতিকল্পে প্রয়োগ না করিয়া তাহার zমত ও মন্দ দিকটা টাকা রোজগারের জন্য বিদেশী কৈ দেখাইলে তাহা বড় লজ্জার বিষয় হয় । কলিকাতার ইসলামিয়া কলেজ কলিকাতার ইসলামিয়া কলেজের সব ছাত্র ও অধ্যাপক মুসলমান হন, ইহা বাঙালী মুসলমানদের নেতার চাহিয়াছিলেন । কিন্তু সব বিষয়ে চলনসই রকমেও অধ্যাপন ৷ করিতে সমর্থ মুসলমান অধ্যাপক না পাওয়ায় ২১ জন হিন্দুকেও অস্থায়ীভাবে রাখিতে হইয়াছে । নিদিষ্টপরিমাণ বেতনে যোগ্যতম যে অধ্যাপক পাওয়া যায়, তাহাকে নিযুক্ত করাই ভাল । কিন্তু মুসলমানরা যদি অধ্যাপনার উৎকৰ্ষাপকর্ষের বিচার না করিয়া মুসলমানই চান, তাহা হইলে ক্ষতি তাহাদেরই হইবে । তাহার পর যদি ইসলামিয়া কলেজের ছাত্রের বেশী পরিমাণে ফেল হয়, তপন তাহদের সন্দেষ্ট হইতে, পারে, যে হিন্দু পরীক্ষকরা পক্ষপাতি ত্ব করিয়া ফেল করিয়াছে। ইঙ্গর ৪ অবশ্য একটা উপায় . মুসলমান নেতারা স্থির করিয়াছেন। তাহার। চান, একটি স্বতন্ত্র মুসলমানী বিশ্ববিদ্যালয়, যেমন আলীগড়ে আছে । ইতিমধ্যেই আলীগড়ের খুব খুস্নাম হইয়াছে । আগ্ৰা-অযোধ্যার এক সরকারী মন্তব্যে লিখিত ইইয়ছে, যে, ঐ প্রদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরীক্ষার মাপকাঠি সমান না হওয়ায় এবং কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়, সম্ভবতঃ বেশী ছাত্র পাইবার প্রতিযোগিতায়, নিজেদের আদশ খাট করায়, তথায় শিক্ষার অবনতি ঘটিতেছে । . তা গ্ৰা-অযোধ্যায় আজকাল উচ্চ শিক্ষার অবস্থা কিরূপ, তাহ বিশেয অবগত না থাকায় আমরা এই মস্তব্যের সত্যত সম্বন্ধে কিছু বলিতে পারিলাম না । কিন্তু দেখিলাম, আগ্ৰা-অযোধ্যার কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি পরীক্ষায় শতকরা ৫০ এর কিছু বেশী ছাত্র উত্তীর্ণ হইয়াছে এবং আলীগড়ের ঐ পরীক্ষায় শতকরা নব্বই জনের উপর ছাত্র পাস্ হইয়াছে । আলীগড়ের মুসলমান ছাত্রের খেলোয়াড় ভাল ইহা সবাই জানে, কিন্তু লেখাপড়ায় ভারতীয় অন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়কে পরাস্ত করিয়াছে বলিয়া শোনা যায় নাই । এরূপ ও আমরা বিশ্বস্তসূত্রে শুনিয়াছি, যে, আলীগড়ের কোন একটি পরীক্ষায় একটি বিষয়ে সব ছাত্রই ফেল হয়, কিন্তু যখন পরীক্ষার ফল বাহির হইল, তপন দেখা গেল যে, তাহারা সবাই পাস হইয়াছে ! বাংল। দেশে এরূপ একটি বিশ্ববিদ্যালয় হইলে মুসলমানদের পক্ষে পাস করিবার সুবিধা বেশী হইবে বটে, কিন্তু বিদ্যা বাড়িবে না । তা ছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করিতে হইলে অনেক টাকার দরকার । এত টাকা মেদিনভী ও গ জন ভীরা দান বা সংগ্ৰহ করিতে পরিবেন কিনা সন্দেহস্থল। স্যার সৈয়দ আহম্মদ বুদ্ধিজীবী চতুর লোক ছিলেন। তিনি আলীগড়ের জন্য হিন্দু এবং শিখ