পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓ» • প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩৩ { ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড ডাঙ্গা জমী আছে, যেখানে হয়ত অন্য ফসল হইতে পারে না, কিন্তু গবাদির খাদ্য গিনি ঘাস প্রভৃতি হইতে পারে। জুয়ার, ভুট্টা, বাজরা প্রভৃতির চাষ করিলে, দানাগুলি মানুষ ও পশু উভয়েৱই কাজে লাগে এবং অধিকন্তু গাছ ও পাতাগুলি গোরুর উৎকৃষ্ট খাদ্য হইতে পারে। গরুর খাদ্যের চাষ যে ডাঙ্গা জমিতেও বেশ চলিতে পারে, তাহা বিশ্বভারতীর স্বরুল গ্রামস্থিত শ্ৰীনিকেতনের কৃষিক্ষেত্রে পরীক্ষা করিয়া দেখা হইয়াছে। এই ক্ষেত্র ব্রহ্মডাঙ্গ ছিল, কিন্তু এখানে অন্যসব ফসলের সঙ্গে গিনি ঘাস, জুয়ার প্রভৃতিও বেশ জন্মিতেছে । ভারতবর্ষে যে যথেষ্ট গবাদি পশু নাই, তাহ কয়েকটি সংখ্যা হইতে সহজেই বুঝ। যাইবে । প্রতি এক শত মামুষের জন্য কোন দেশে কত গবাদি পশু আছে, নীচে তাহার একটা তালিকা দিতেছি । দেশ শত মানুষ প্রতি গবাদির সংখ্যা ভারতবর্ষ \ՖՃՏ ডেন্মার্ক ግ8 আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্র ግ፭ কানাডা b... কেপ কলোনী ১২ ০ নব জীল্যাণ্ড S4 o অষ্টিয়া R(?。 আগেণ্টিন সাধারণতন্ত্র Vరి: 5 ইউরুগোয়ে & о о ভারতবর্যের প্রায় ২২,৮০,০০,০ ০০ একার অর্থাৎ প্রায় ৭০ কোটি বিঘা জমীর চাযের জন্য কেবল ২,৪০,০ ০০ ০০ গবাদি পশু আছে ; অর্থাৎ এক জোড়া বলদকে ১৯ একর বা প্রায় ৬০ বিঘা জমী চষিতে হয় । তাহ ভাল করিয়া করিবার সাধ্য তাহাদের নাই। তাহার জন্য ৪ জোড়া বলদ সাধারণতঃ দরকার হয় । অতএব দুগ্ধাদির কথা ছাড়িয়া দিয়া কেবল চাষের জন্যই গবাদির সংখ্যা বৃদ্ধি দরকার ও তাঁহাদের খাদ্য উৎপাদন আবশ্ব ক । বিদেশে গোরু এবং শুষ্ক বা অন্যবিধ গোমাংস রপ্তানী আইন দ্বারা বন্ধ করা উচিত । ভারতবর্যে ও খাদ্যের জন্য দুগ্ধবতী ও দুগ্ধবতী হইবার বয়সের গাভী এবং গোবৎস বধ না হইলে ভাল হয়। গবাদির খাদ্য উৎপাদনের কথা আগেই বলিয়াছি । গ্যালেটি সাহেবের মতে মানুষের খাদ্যশস্তের পাশাপাশি গবাদির খাদ্য উৎপাদন করা যাইতে পারে ; তাহাতে মানুষের খাদ্যশস্তের ফসল কম হয় না । আকবরের সময় গুজরাটের গোরু শ্রেষ্ঠ বিবেচিত হইত। তথাকার বলদ ২৪ ঘণ্টায় ১২০ মাইল যাইতে পারিত । কোন কোন গাভী প্রত্যহ অাধ মণের উপর দুধ দিত। এক টাকায় প্রায় ৪৪ সের দুধ পাওয়া যাইত। ঘি টাকায় প্রায় ১০ সের পাওয়া যাইত । স্বামী শ্রদ্ধানন্দ তাহার লিবারেটার নামক কাগজে লিখিয়াছেন, “হিন্দুরা যে মুসলমানদের গোরু কোরবানী লইয়া এত গোলমাল করেন, ইহা আমার কখন যুক্তিসঙ্গত মনে হয় নাই। সমগ্র ভারতে এই কারণে গোবধ বৎসরে ত্রিশ হাজারের বেশী হয় না, মনে করি । এবং মুসলমানদের আস্তরিক ধৰ্ম্মবিশ্বাস এই, যে, একটি গোরু কোরবানী করিলে তাহা ৭ জন মোমিনকে স্বর্গে লইয়া যাইতে পারে। অন্যদিকে ইংরেজ গোর-বারিকে গোরাদের খাদ্যের জন্য বৎসরে অনূ্যন দশলক্ষ গোরু জবাই হয়, মুসলম ন ও খ্ৰীষ্টিয়ান সাধারণ লোকদের খাদ্যের জন্য জবাই হয় প্রায় ১৫ লক্ষ, এবং বিদেশে চামড়া ও গোমাংস রপ্তানীর ব্যবসার জন্য প্রায় ৪০ লক্ষ গোরু বধ করা হয় ।” স্বামী শ্রদ্ধানন্দের অভিপ্রায় এই, যে, এত লক্ষ গোবধ যে হয়, তাহাতে হিন্দুরা বাধা দিতে পারেন না, কিন্তু বকুরীদের সময় ত্রিশ হাজার গোরু কোরবানীর জন্য কতই না সাংঘাতিক দাঙ্গা মারপিট এবং তজ্জনিত মনোমালিন্ত ও সাম্প্রদায়িক বিরোধ-বিদ্বেষ ঘটে। ত্য বটে, কোরবানীর গোরু অনেক সময় রাস্ত দিয়া প্রদর্শন করি লইয়া যাওয়া হয়, এবং তাঁহাতে হিন্দুর মনে আঘাত লাগে কিন্তু খাদ্যের জন্য বধ করিবার নিমিত্ত যে-সব গোরু কসাইখানায় লইয়া যাওয়া হয়, তাহাও প্রকাশু রাস্ত দিয়া লইয়া যাওয়া হয়। এইজন্য স্বামী শ্রদ্ধানন্দ বলেন, যে, এই কারণে মুসলমানদের সহিত ঝগড়া না করিয়া বরং ভগবানের নিকট এই প্রার্থনাই করা উচিত, যে, তিনি তাহাদের মনে এই বোধ২ জন্মাইয়া দিউন, যে, মামুষের সমুদয় কুপ্রবৃত্তি ও রিপু, বলিদান দিলেই তিনি সন্তুষ্ট হন, রক্তমাংসের বলি তাহার গ্রহণীয় নহে । এইরূপ কথা গত বকুরীদের সময় কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক খুদা বখশ ইংরেজী দৈনিক কাগজগুলিতে লিখিয়াছিলেন । বঙ্গে ও ফিলিপাইন্সে শিক্ষ। বিস্তার ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জ ১৮৯৯ খৃষ্টাব্দে আমেরিকার হাতে আসে। ১৯১৮ সালের সেন্সস্ অনুসারে উহার লোকসংখ্যা ছিল এক কোটি তিন লক্ষ ১৪৩১০ । ১৯২৩ সালে উহার ছাত্রসংখ্যা ছিল ১১,২৮,৯৯৭। অর্থাৎ আমেরিকার অধীন হওয়ার ১৪ বৎসরের মধ্যে শিক্ষার বিস্তার এইরূপ হইয়াছে। বাংলা দেশের লোকসংখ্যা মোটামুটি চারি কোটি সাতষট্টি লক্ষ । ১৯২৪-২৫ সালে বঙ্গের মোট ছাত্রসংখ্যা ছিল ২১,৫৩,৯৪২ । ফিলিপাইন্সে ২৪ বৎসরে