পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

aర్చి কারণ, শ্রাদ্ধকালে তালবদ্ধ মন্ত্রধবনির স্পদন (vibration) ভুবলোকে সঙ্কল্পিত প্রেতদেহে আঘাত করিয়া, তাহ ভাঙ্গিয় দেয় ; আর, পিণ্ডদানকালে গোধূম্যদিকে আধার *foil of fo (will force) & Moffo (sound force ) প্রভাবে ঐ বিনষ্টদেহকে উহার মধ্যে ন্যাস করিয়৷ স্বলোকবাসী পিতৃগণের উদ্দেশে যে বিসর্জন করা ইয়—তাহাতে ( পিতৃগণের দিব্য তেজদ্বারা ) ঐ খোসা ভস্মীভূত হইয়া যায় । [ একটা গৃহে কয়েকটি বাদ্যযন্ত্র এক স্বরে বাধিয়া, একটিতে আঘাত করিলে অপরগুলিও স্পন্দিত হয় ;–ইহাতে আমরা sound forceএর প্রতিঘাত করিবার শক্তি কথঞ্চিং বুঝিতে পারি। আমরা আরও জানি যে, সেনানায়করা অদৃঢ় সেতুর উপর দিয়া সৈন্যগণকে কুচ করিয়া লইয়া যান না ; কারণ, তালবদ্ধ পদধ্বনির স্পন্ন উহাকে ভগ্ন করিতে পারে । ] আমরা এক্ষণে সাধারণ মমুষ্যের উৎক্রমণপ্রণালী কিঞ্চিৎ বর্ণনা করিব। মৃত্যুকালে জীব তদেহের অভিমান ভুলিয়া যায় এবং বাগাদি ইন্দ্ৰিয়সমূহ গ্রহণ করিয়া হৃদয়ে অবস্থান করে । তখন সে তাহার আজীবনের ঘটনাবলী, বায়স্কোপের চিত্রাবলীর মত, চকিতে মানসচক্ষুর সম্মুখ দিয়া চলিয়া যাইতে দেখিতে পায় ; তদনন্তর, সে ভাবীদেহের ( পরজন্মে যে-দেহ ধারণ করিবে ) ভূতস্থক্ষ্মে সংশ্লিষ্ট হইয়া তাহাতে আত্মভাব করত: ( অর্থাৎ, আমি স্ত্রী কি পুরুষ ~অথবা মৃগইত্যাদিরূপ একপ্রকার ভাবনায় দৃঢ় অমৃভাবিত হইয়া ) পিণ্ডিতেন্দ্রিয় হয় ; অর্থ ং, ইন্দ্রিয়সমূহ নিৰ্ব্ব্যাপার হইয়। মনে লয় , এবং মন প্রাণে ও প্রাণ জীবে লয় হয়। তখন অমনি হৃদয়ছিদ্রের অগ্রভাগ প্রদ্যোতিত হয় এবং জীব তাহার কৰ্ম্ম তুযায়ী নবদ্বারের যে কোন এক দ্বার দিয়া উৎক্রান্ত হয় । উৎক্রান্তি সময়ে তাহার সংবিৎ থাকে না ; সে মূচ্ছিতাবস্থায় তদদেহ ও এতল্লোক পরিত্যাগ করিয়া যায়। সংজ্ঞাপ্রাপ্ত হইলে সে আপনাকে ভুবলেণকে প্রেতদেহে দেখিতে পায় ; ঐ অবস্থা শাস্থে, "আকাশস্থে নিরালম্বো বায়ুভৃতে। নিরাশ্রয়" বলিয়া উক্ত হইয়াছে। প্রেতদেহাবসানে মনোময়কোষ বিকশিত হয় এবং ঐ কোষাধিকারীও তখন প্রবাসী-ভাদ্র, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড স্বলোকে প্রস্থান করে এবং স্বীয় কৰ্ম্মাকুযায়ী তথায় স্বল্প বা দীর্ঘকাল অবস্থানান্তর পুনরায় ভূলোকে জন্মগ্রহণ করিতে আইসে। সাধারণ মানবের এই অবধিই সীমা । যাহারা নিষ্কাম, তাহীদের প্রেতাবস্থা হয় না । বেদান্তে বিবেকবুদ্ধিইষ্টকারীদিগের পরলোক-গমনের দুইটি মার্গ কথিত হইয়াছে ; উত্তরমার্গ বা দেবযান এবং দক্ষিণমার্গ বা পিতৃধান। স্বলোক অবধি যাহাদের সীমা, তাহার পিতৃধানে গমন করে ; জ্ঞানী প্রভৃতি যাহাদিগকে তদূদ্ধে যাইতে হইবে, তাহাদিগের জন্যই দেবযান প্রশস্ত। আর যাহার বিবেকবুদ্ধিশূন্ত ও ঘোরতর অনিষ্টকারী তাহারা চন্দ্রলোক নামীয় স্বলোকের অংশবিশেষে যাইতে পারে না এবং তাহারা রেতঃসিকৃভাব প্রাপ্ত হয় না। পরজন্মে তাহারা সচরাচর স্বেদজাদি অবস্থা প্রাপ্ত হয়। পিতৃযানগামীকে আতিবাহিকী দেবতারা (সুক্ষ্মশরীরী ) এক স্থান হইতে অন্য স্থানে লইয়া যায়ু । তাহাকে প্রথমে ধূমদেবতা রাত্রিদেবতার নিকট লইয়া যায় ; তখন রাত্রি-দেবতা ক্লষ্ণপক্ষ-দেবতার নিকট, কৃষ্ণপক্ষদেবতা দক্ষিণায়ণদেবতার নিকট লইয়া যায়। ঐরুপে ক্রমান্বয়ে সে পিতৃলোক দেবতা, আকাশ-দেবতা এবং পরিশেষে চন্দ্রলোক দেবতা কর্তৃক চন্দ্রলোকে নীত হয়। " তথায় সে তাহার কৰ্ম্মাতুযায়ী ফলভোগ করে ; ভোগাবসানে তঃসার ভোগীয়তন বিলীন হইয়া যায় এবং সে তখন কিঞ্চিৎ আভুক্ত-কৰ্ম্মের (অমুশয়ের ) সহিত অবরোহণ করে । [ সম্পূর্ণরূপে কৰ্ম্মক্ষয়ে মোক্ষ বলিয়া, পিতৃঘানগামী অকুশয়যুক্ত হইয়াই অবতরণ করে । ] দেবধানগামীকে প্রথমে অৰ্চিদেবতা আহদেতার নিকট লইয়া যায় ; তৎপরে সে পূৰ্ব্বোক্তপ্রকারে শুক্লপক্ষ দেবতা, উত্তরায়ণদেবতা, সংবৎসরদেবতা, দেবলোকদেবতা, বায়ুদেবতা, আদিত্যদেবতা, চন্দ্রদেবতা, বিদুদেবতা, বরুণদেবতা, ইন্দ্রদেবতা ও প্রজাপতিদেবতার নিকট হইতে ব্ৰহ্মলোকবাসী কোন অমানৱ পুরুষকর্তৃক সত্য বা ব্রহ্মলোকে নীত হয় এবং তথায় কল্পান্ত অবধি অবস্থান করে। দেবযানগামী বৰ্ত্তমানকল্পে আর ইহলোকে