পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] . . गश्द्र-ब्रसू-फ़ैल-इब्रांन ase ষ্ট্রশকে তিনি একবার মক্কা নগরে তীর্থ করিতে গিয়াছিলেন। নয় বৎসর পূৰ্ব্বে তিনি অন্ধকারে একমাত্র বন্ধুকে সঙ্গে হইয়া প্রাণরক্ষার্থ মক্কা ত্যাগ করিয়াছিলেন, কিন্তু এখন ৩০,০ • • দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মুসলমান তাহাকে প্রাণ দিয়া রক্ষা করিতে র্তাহার সঙ্গে চলিয়াছিল। ৬৩২ ঈশাদে তিনি দেহরক্ষা করিলেন । হজরং মহম্মদ ৬১২ ঈশাকে ধৰ্ম্মপ্রচার করিবার জন্ত ঈশ্বর-আজ্ঞা পাইবার অল্পকাল পরে একদিন আপনাদের জ্ঞাতিদের সভাতে "ঈশ্বর ও ধৰ্ম্ম” সম্বন্ধে বক্ত তা করিবার পর বলিলেন, “আমার একটি সাহায্যকারী খলীফার প্রয়োজন । আমি দেখিতেছি আমার যাহ করা উচিত তাহা একা করিয়া উঠিতে পারিতেছি না।” যখন কেহই সাহায্য করিতে স্বীকৃত হইল না, তপন বালক অলী সাহায্য করিতে প্রস্তুত হইলেন, মহম্মদও তাহাকে “খলীফা” রূপে স্বীকার করিলেন । সে-সময়ে এরূপে সাহায্য করিতে স্বীকৃত হওয়া কম সাহসের কার্য্য ছিল না । মহম্মদ যখন ধৰ্ম্ম ও ঈশ্বর-বিষয়ে বক্ত তা করিতেন তখন দর্শকের। তাহাকে ইট পাথর মারিয়া রক্তাক্ত করিয়া ছাড়িয়া দিত, ধৰ্ম্মকথা কেহই শুনিতে চাহিত না । তাহার যে দশা হইত তাহার খলীফেরও সেইরূপ দশা হওয়া সম্ভব ছিল। ৬৩১ ঈশাদে মক্কা হইতে ফিরিবার পথে ( শিয়ারা বলেন ) মহম্মদ আবার আলীকে “খলীফা” রূপে প্রচারিত করিলেন। কিন্তু সুন্নীরা এ কথা স্বীকার করেন नां । ৬৩২ ঈশাবো হজরৎ মহম্মদের কাল হইলে যখন আলী তাহার অস্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় বাস্ত ছিলেন তখন অন্য প্রধানের র্তাহাকে সংবাদ না দিয়াই আবুবকরকে খলীফ। নিৰ্ব্বাচিত করিলেন। খাদীজার গর্তে মহম্মদের একমাত্র কন্যা ফাতিমার জন্ম হইয়াছিল। এই ফাতিমার গর্ভে অলীর ঔরসে তিনটি পুত্র উৎপন্ন হইয়াছিল, একটি শৈশবেই মরিয়া যায়, বড়র নাম অলহসন ও ছোট অলহুসেন । এই ছোট পুত্ৰ অলহুসেনই মহরমের লোমহর্ষক কাণ্ডের নায়ক। খদীজার মৃত্যুর পর মহম্মদ আর দশটি বিবাহ করিয়াছিলেন, কিন্তু আর সস্তান হয় নাই । অতএব ' মরিবার সময়ে তিনি দুই দৌহিত্র, কন্যা ফাতিমা ও জামাতা আলীকে আপনার উত্তরাধিকারী রূপে রাখিয়া গিয়াছিলেন । ৬৩২ ঈশাব্দে হজরৎ মহম্মদ স্বর্গারোহণ করিলে মুসলমান-প্রধানেরা তাহার প্রায় সমবয়স্ক বন্ধু, ও তাহার প্রিয়তমা পত্নী আয়েশার পিতা আবুবকরকে তাহার “প্রতিনিধি” বা “খলীফ” নির্বাচিত করিলেন । এই নির্বাচনে মুসলমানদের দুইটি দল হইয়া গেল ; তাছা ভবিষ্যতে শিয়া ও স্বল্পী রূপ ধারণ করিয়াছে। যে দলের এখন নাম স্বল্পী, তাহার বলিল, হজরত মহম্মদ ঈশ্বরপ্রেরিত “রসুল” ছিলেন, তাহার প্রতিনিধি কেহ হইতে পারে না, পৃথিবীতে কেহই তাহার আসনে বসিবার অধিকারী নহে ; বিশেষতঃ তিনি স্বয়ং বহুবার বলিয়াছেন তিনিই “খাতিম-উল-মুরসলেন” অর্থাৎ প্রেরিত পুরুষ মধ্যে শেয ব্যক্তি, ভবিষ্যতে কোনও কালে আর প্রেরিত পুরুষ আসিবে না। তবে তিনি যেমন পেশনমাজ রূপে মুসলমানদের নমাজ পাঠ করাইতেন, সকলের রক্ষক ছিলেন, সেইরূপ রক্ষকের যদি প্রয়োজন হয়, তবে তাহার শিয্য মধ্যে উপযুক্ততম ব্যক্তিকে আমরা নিৰ্ব্বাচন করিয়া লইব, সেই প্রয়োজন অনুসারে আমরা আবুবকরকে [ জন্ম ৫৭৩, মৃত্যু ৬৩৪ ] নির্বাচিত করিলাম। অন্ত দল বলেন, হজরং আপনার জীবিতাবস্থায় একাধিকবার আলীকে আপনার “খলীফ” বলিয়। স্বীকার করিয়াছিলেন, তবে এখন অলীকে ছাড়িয়া অন্য লোক নিৰ্ব্বাচন করিবার প্রয়োজন কি ? একজন খলীফের অস্তিত্ব সত্ত্বে অন্তকে খলীফ বলা অন্যায় হয় । ইহা ছাড়া, মুসলমানদের রক্ষকের উচ্চ আসন হজরত মহম্মদের সস্তানের উত্তরধিকার স্বরূপ প্রাপ্য, সন্তানের অবর্তমানে নিকট আত্মীয় ও জ্ঞাতির প্রাপ্য। উপস্থিত ক্ষেত্রে অলীর অধিকার সৰ্ব্বাপেক্ষা বেশী, তাহার অবর্তমানে দুই ভাই হসন ও ফুসেনের প্রাপ্য। এই কথা লইয়া অনেক তর্কবিতর্ক হইয়াছে, কিন্তু ইহার মীমাংসা হয় নাই । স্বল্পীরা বলিলেন, হজরতের ব্যক্তিগত ভাবে নিজের যদি কোন ও স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি থাকে, তবে তাহা তাহার সন্তানের—পুত্র বা কন্যার-প্রাপ্য। কিন্তু “রস্থল” ভাবে কোনও সম্পত্তি থাকিলে তাহ সমাজ বা সঙ্ঘের প্রাপ্য। কিন্তু গুরুর