পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳՓ օ গোপাল ও গাষ্ঠীগুলির অযস্থ আরও শোচনীয় হইয় পড়িবে। একেই ত এদেশে গরু এবং গে৷শালার রীতিমত যত্নের অভাবে গব্য পদার্থের উৎপাদন কমিয়া আদিতেছে। এরূপ স্থলে বদি উদ্ভিজ্জ পদার্থ আসিয়৷ খিয়ের স্থান অধিকার করিয়| লয় তবে গব্য উৎপাদন-প্রচেষ্ট যে আরও কমিয়। যাইবে তাহাতে সন্দেহ কি ? অতএব সরকার হইতে যদি ইহার অীমদামী কমাইবার জন্য সত্বর চেষ্টা না করা হয় তবে ফল যে কি হইবে তাহা চিন্তাশীল ব্যক্তি মাত্রই অনুভব করিতে পারেন । কিন্তু কেবল আইন স্থষ্টির আশায় সরকারের মুখ চাহিয়া বসিয়া থাকিলে আমাদের চলিবে না। যাহাতে আমাদের গোশালার অবস্থা উন্নত করিয়া প্রচুর পরিমাণে দুধ খি উৎপন্ন করা যাইতে পারে তাহার জন্য সরকারের সাহায্যে ও বেসরকারী ব্যক্তিগত ভাবে প্রাণপণ চেষ্টা করিতে হইবে । স্থানীয় মিউনিসিপালিটারও লক্ষ্য রাখা উচিত যে, এই ভেজিটেবল প্রডাক্ট যেন ঘি নামে ও ঘিয়ের পরিবর্তে বাজারে প্রচলিত না হয়। অধিকন্তু ভেজাল দেওয়ার কুপ্রখা যাহাতে সমূলে বিনষ্ট হয় অবিলম্বে এরূপ আইন স্বষ্টি কর ও তাহা কার্য্যে পরিণত করিবার চেষ্টা করা সরকারের একান্ত কৰ্ত্তব্য। ( আবাদ, বৈশাখ ১৩৩৩ ) নারীগণের আত্মরক্ষার উপায় প্রতিদিনই খবরের কাগজে নারীনির্যাতনের সংবাদ যাহির হইতেছে, তবু লোকলজ্জার স্তয়ে কত সংবাদ প্রকাশই হয় না । দেশের মেয়েদের এই অপমান ও লাঞ্ছনার কথা যখনই মনে হয়, তখনই মন বিষাদে ও লজ্জায় অভিভূত হয়। নিজেকে উন্নত করিবার, বিপদ হইতে মুক্ত হইবার, এবং অপরকে মুক্ত করিবার বুদ্ধি ও শক্তির বিকাশ করিতে হইলে দেশের মেয়েদের প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে-সঙ্গে শারীরিক বলের চর্চ করা দরকার, ধৰ্ম্ম ও নীতি শিক্ষা বিশদরূপে দেওয়া কৰ্ত্তব্য। জগতে পাশব বল কি ? তদ্বারা নারীরা কিরূপে বিপন্ন হয় এবং কিরূপেই বা আত্মরক্ষণ করা যায় তাহ। তাহাদিগকে ভাল করিয়া বুঝান উচিত। মেয়ের যদি দৈহিক ও নৈতিক বলে বলশালিণী হয় তবে জগতে এমন কোন পাশবিক শক্তি নাই যাহ। তাহারা জয় কৰিতে না পারে। এই অত্যাচারের প্রতীকারের উপায় আমাদের মেয়েদেরও চিন্তা করা কৰ্ত্তব্য । যেসকল মেয়ে, উচ্চশিক্ষা দ্বীয় সৰ্ব্বপ্রকার যোগ্যতা ও সাহস অর্জন করিয়াছেন উহাদের উচিত প্রতি পল্লীতে মেয়েদের উন্নতির ও শিক্ষার জন্য স্কুল স্থাপন করা ও উহাদের সর্বপ্রকারের শক্তির বিকাশ সাধন কর । এই অতি প্রয়োজনীয় বিষয়ে প্রত্যেক নারীশিক্ষ-প্রতিষ্ঠানের অবস্থিত হওয়া কৰ্ত্তব্য। শারীরিক, মান িক ও নৈতিক শিক্ষা দানই বখন প্রকৃত শিক্ষা-পদবাচ্য, তপন উহাদের মেয়েদের ব্যায়াম-শিক্ষার ব্যবস্থ করাও প্রয়োজন। আত্মরক্ষায় সমর্থ ন হইলে কোন শিক্ষণই কাৰ্য্যকরী হইবে 미 || বাংলা দেশের মধ্যে কলিকাতায় নারী-শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলিই সৰ্ব্বাপেক্ষ উন্নত। কাজেই, বেথুন কলেঙ্গ, ব্রাহ্ম বলিক শিক্ষালয়, ভিক্টোরিয়া স্কুল প্রভৃতির কর্তৃপক্ষগণ বদি এই বিষয় চিন্তা করিয়া দেখিয়া ইহার আt'হ্যকতা উপলব্ধি করেন এবং প্রথম পথপ্রদর্শন করেন তবে অপরাপর স্থানেও এই পন্থ। নিশ্চয় অনুস্থত হুইৰে । এবিষয়ে যরোদার বালিকা-বিদ্যালয়-সংক্রান্ত বায়াম বিদ্যালয় দৃষ্টান্তস্বরূপ উল্লেখযোগ্য। তথাকার স্কুলে বোম্বাই প্রেসিডেন্সি হইতে প্রবাসী—ভাদে, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড আগত একজন মনস্বিনী নারীর মনে প্রথম এই বিষয়ের আবশ্বকত। উপলব্ধি হয় এবং তিনি তাহীর ভাইকে বরোদার ব্যায়াম-বিদ্যালয়ে পাঠাইয় তাহার নিকট হইতে নিজের শিক্ষা করিয়৷ বালিকা-বিদ্যালয়ে ব্যায়াম শিক্ষা দেওয়া আরস্ত করেন। প্রথমে কেহই মেয়েদের এই শিক্ষা দরকার মনে করিতেন না, বরং রীতিমত বিরুদ্ধে ছিলেন, পরে সকলেই ইহার উপকারিত বুঝিতে পারিয়াছেন। এখন বরোদার মহারাজাই ইহার প্রধান পৃষ্ঠপোষক। ঐ বিদ্যালয়ের মেয়ের শিক্ষায় ও স্বাস্থ্যে অসাধারণ উন্নতি লাভ করিতেছে। জাতীয় জীবনের মুলস্বরূপ মাতৃজাতি বদি সৰ্ব্বশক্তিসম্পন্ন হয় তবে তাহদের সন্তানগণও শিক্ষায়, স্বাস্থ্যে, জ্ঞানে ও কৰ্ম্মে নিশ্চয় উন্নত হুইবে । ( মাতৃমন্দির, জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৩) শ্ৰীমতী শুামমোহিনী দেবী বেগম লুৎফ-উন্নিসা অভাগিনী লুৎফ-উন্নিসার সম্বন্ধে কেহই বিশেষ কিছু লিপিবদ্ধ করিয়া যাওয়া আবখ্যক বোধ করেন নাই। সিরাজচরিত্রের জটিল অধ য়গুলি পরিস্ফুট করিতে উহার যে শ্রম স্বীকার করিয়াছেন, তাহার শতাংশের একাংশও যদি তদীয় প্রিয়তম বেগম লুৎফ-উল্লিসার চরিত্রাঙ্কনে ব্যয়িত হুইত, তবে হয়ত আজ আমরা সিরাজের নৈতিক ও পারিবারিক বিবরণ সম্বন্ধে অনেক অপরিজ্ঞাত বিষয় জানিতে পরিতাম । যিনি প্রেমে, ভক্তিতে, পৌরভে, গৌরবে ও আত্মসন্ত্রমে এবং নবাব সিরাজউদ্দৌলার প্রতি বিশ্বস্ততায় জীবনের শেষ দিন পর্য্যস্ত অটল ছিলেন সেই মহিয়সী রমণী-রত্নই বেগম লুৎফ.উন্নিসা। বেগম লুৎফ-উল্লিস প্রথমে সিরাজ-জননীর বাণী-রূপে হারেমে পদার্পণ করেন। জনশ্রুতি এই যে, তিনি বঙ্গদেশীয় কোন হিন্দুরাজনন্দিনী ছিলেন । আবার কেহ কেহ তাহাকে সন্ত্রস্তু মোসলেম দুহিত বলিয়াও নির্দেশ করিয়াছেন । - সিরাজের জাগ্রহ দেখিয় সিরাজ-জননী স্বীয় পেয়ারের বাদী লুৎফউল্লিসকে স্বীয় পুত্রের হস্তেই সমৰ্পণ করিলেন। বেগম కాళ్ల গর্ভেই সিরাজের একটি কস্ত জন্মগ্রহণ করিয়াছিল। সম্পর্ণের সময়ে লুৎফ উল্লিস যেরূপ ছায়ার স্কায় স্বামীর অমুবষ্টিনী ছিলেন, বিপদের সময়েও তেমনি তিনি তাহার পাশ্ব ত্যাগ করেন নাই । সিরাজ মীরজাফরকে প্রথমে চিনিতে পারেন নাই ; পরে যখন চিনিতে পারিয়াড়িলেন, তখন প্রতিকারের আর কোনই উপায় ছিল না। সুতরাং এই মহাপাপিষ্ঠের বিশ্বাসঘাতকতার ফলেই এই তরুণ নবাবের ভাগ্য ভাঙ্গিয় পড়ে। রণক্ষেত্রে জয়ের আশা নাই দেখিয়া शशन डिनि भूर्लिलांबांझ र! भन्श्ब्रशtg यिब्रिग्न श्रांमिरलन, उर्थन তাহার ভাগারবি ডুবিয়া গিয়াছে। সুতরাং আত্মীয়স্বজন ও অনুচরগণ কেহই উহাকে কোনরূপ আশা-ভরসা দিলেন না । এমন-কি উহার শ্বশুর মোহাম্মদ ইরিজ খী পৰ্য্যন্ত এই দুর্দিনে তাহাকে সাহায্য করিতে অস্বীকার করিলেন। সিরাজ চারিদিক অন্ধকার দেখিতে লাগিলেন। অবশেষে মুর্শিদাবাদ ছাড়িয়া একাকী পলায়ন করাই স্থির করিলেন। কিন্তু সাপী সহধৰ্ম্মিণী পতিগতপ্রাণী . বেগম লুৎফ-উল্লিস কোন মতেই তাঁহাকে একাকী পরিত্যাগ করিতে সম্মত হইলেন না। বারবার তাহার পদপ্রান্তে লুটাইয়া কাতরভাবে উহাকে সঙ্গে লইবার জন্ত অনুমতি প্রার্থনা করিতে লাগিলেন। সিরাজ উহাকে প্রথমে পথের কষ্টের কথা জানাইলেন, কিন্তু কোন ফল হইল না।