পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

气曾粤 প্রবাসী-ভান্দ্র, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ডত স্বতরাং বংশলোপ হ’বেই" বাপপিতামহর পিগুলোপ হওয়াটা মোটেই উচিত না ; কাজেই বাবা বিয়ে করতে রাজী হলেন। আমি লাজ লজ্জার মাথা খেয়ে তবু একদিন বললাম, “ই বাবা, এবারেও যদি তোমার ছেলে না হয়” । বাবা বললেন, “না হ’লেও তোমার একজন অভিভাবক হবে তো।” আমি সেটা অস্বীকার করতে পারলাম না ! বাবার বউ—খুড়ি—নতুন-ম। আমার চাইতে বছর তিনের ছোট। মাস দুয়েক হ’ল তিনি তার নতুন ঘরকল্পায় এসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। আমি চোখের জল নিশীথ রাতের আঁধার ঘরের জন্য পুজি রেখে, হাসিমুখে আমার স্বর্গগত মার ত্যক্ত অধিকারের প্রত্যেকটি জিনিব নতুন মার হাতে সপে দিয়েছি। যাক এসব কথা। আমার যা লিখতে ভাল লাগছে না তোমার ষে তা পড়তে ভালো লাগবে না তা আমি বিশ্বাস করি । “এখন দিন কতকের জন্যে আমি একটু মুক্তি চাই । তুমি বলবে, “তুমি কি জেলে পচে মর্চ যে, মুক্তির জন্যে ইাফিয়ে উঠছ ?” কে জানে সই সত্যিই বডড হাফিয়ে উঠেছি। কিন্তু জগতে আমার এমন ঠাই নেই যেখানে ছুদিনের জন্যে গিয়ে হাফ ছাড়ি। কাল সন্ধ্য-বেলা ধ"সে বসে বড়ই কান্না পাচ্ছিল । পুকুর-পাড়ে জল জানতে গিয়ে ঘাটের সিঁড়িতে বসে কতবার তোমার কথা মনে পড়ল। তোমার ছেলে-মেয়েদের কখা মনে হতেই বুকটা যেন জুড়িয়ে যেতে লাগল। আজ তাই নিজে হতেই লাজ-লজ্জার মাথা খেয়ে লিখছি যে, দিন কতকের জন্যে পোড়ামুখী সইকে ঠাই দিতে পার কি ? সয়া কি মনে করবেন তা জানি না। যাই হোক আমি ত জাজ্জা পেশ করলাম ; তার পর যা হয় হবে। নতুন দেশে নতুন ঘরকন্ন সাজিয়ে কেমন গিরি হ’য়ে বসেছ তা দেখতে ভারী ইচ্ছে হচ্ছে। আর ছুটি সোনার চাদ ছেলে-মেয়ে কেমন ঘর আলো ক’রে তোমাদের ‘বাবা মা’ বলে ডাক্‌ছে তাও শুনতে লোভ কিছু কম হচ্ছে না। আজ জাসি। পঞ্জ পাঠ खबांय निe ॥ • - . . cष्ठांभांब्र अछांग्रेौ नहे চিঠিখানা পড়তে পড়তে প্রিয়র ছুটি ; চোখে श्रृंख्ब्र भउ इ िअड्य-दिबू प्लेग फ्रेण क' ७ुण। সেই সময় কেদার এসে ঘরে ঢুকে বলে উঠল, “কার চিঠি গো, প্রিয়ার প্রিয়র না কি ?” অন্য সময় হ’লে প্রিয় এর উত্তর যা দিত তা কিছু নীরস হত না । এখন কিন্তু সে শুষ্ক স্বরে বললে,—“সই লিখিছে গো, দেখন প’ড়ে। আহা কী কপাল ক’রেই সে পৃথিবীতে এসেছিল । দু পাচ দিনের জন্যে আমাদের কাছে এসে থাকৃতে চায়।” চুড়াধড়াগুলো খুলতে খুলতে কেদার বলে উঠল, “বেশ ত, আনিয়ে নাও না। সইএর বাবাকে লিখে দাও, তিনি মত করেন ত আমাদের জয়া আর চৌবে গিয়ে নিয়ে আসবে।” s প্রিয় সহজেই কেদারের মত পেয়ে বেশ একটু আশ্বস্ত হ’য়ে কেদারের স্বানাহারের বন্দোবস্ত করতে গেল। আহারাদির পর প্রিয় নিজেই সইএর বাবাকে তার এখানে দিন কতকের জন্যে সইকে পাঠাবার কথা বার বার করে লিখে পাঠাল। সইএর বাবা যথাসময়ে চিঠি পেয়ে এতে অমতের কিছু দেখলেন না। স্বতরাং যথা-সময়ে সেবা সইএর প্রেরিত লোকজনের সঙ্গে সইএর বাড়ী এসে হাজির হল। প্রিয় সইকে এতকালের পর কাছে পেয়ে বুকে চেপে ধ’রে চোখের জল ফেলতে লাগল, দেব। কিন্তু কান্না-টান্না ভুলে খোকাকে বুকে তুলে নিয়ে চুমোয় চুমোয় তার টেবে। গাল দুটি রাঙা করে তুললে । মীনা একদণ্ডের দেখাতেই সই-মার সঙ্গে আলাপ | জমিয়ে নিলে । কেদার তখন বাড়ী ছিল না । সেবা খিড়কীর দরজা খুলে পুকুর-পাড়ে দাড়িয়ে চারিদিক্কার লাল কাকরের রাস্তার পাশে সবুজ গাছের সারি, আর এদিকে গ্রামবাসীদের ঘরবাড়ীগুলি দেখে আনন্দে বলে উঠল, “বেশ দেশটি ত সই, খুব ভাল লাগছে আমার ” আসল কথা মনটায় তখন তার আনন্দের রঙ ধরেছিল, কাজেই চোখে তার আমেজ না লেগে যায় কোথা ? প্রিয় ভিতরে ছিল, সে খিড়কীর দরজায় উকি মেরে বললে, “সৰ্ব্বনাশ, করেছিস কি ?পুকুর-পাড়ে গিয়ে দাড়িয়েছিল, এখন যে বাবুরা সব কাছারী যাচ্ছে, এখনি দেখে ফেলবে ।” ‘. . . . . .