পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ? প্রবাল ዓቕU সেবা হাসিমুখে বললে,—“ত দেখলেই বা ছেলেধরা তোশয় যে ধ’রে নিয়ে যাবে।” ঘাটে জয়া মুখ ধুচ্ছিল, রমাদের বাড়ীর আর নন্দাদের বাড়ীর ঝি জলে নেমে কাপড় কাচছিল। তারা খিলখিল ক'রে হেসে উঠে বললে—“ছেলে-ধরা নয়গো ঠাকুরেণ, এ গায়ে আমাদের মেয়ে-ধরার ভারী ভয়।" “সত্যি ?” ব’লে সেবা মীনার হাত ধ’রে বাড়ীর ভিতর চলে এল । প্রিয় তখন বললে—“দেশটা বেশ সই, কিন্তু এখানকার মানুষগুলো যেন সব কী । রাত-দিন সব এণ্ডর ঘরের চর্চা নিয়েই আছে। কার বাড়ীর মেয়ে, কার বাড়ীর বউ দেখতে কেমন, কি কবৃলে, কি বললে, এইসব জটলা পুরুষে পৰ্য্যস্ত করছে।” সেবা বললে—“সে সব গায়েই আছে সই। এ-গাঁকে শুধু দেব দিলে হবে কেন ? মাহুষের যে স্বভাবই এই বোন, আমরা ওদিকে কাণ না দিলেই হ’ল।” কেদারের সঙ্গে সেবার মোটে দু’বার দেখা। কেদারের এখন চেহারার যথেষ্ট পরিবর্তন হয়েছে ; স্বতরাং পুকুরপাড়ের রাস্ত দিয়ে যখন কেদারকে দেখা গেল তখন নারীস্বলভকৌতুহল নিয়ে সেবা জিজ্ঞেস করে উঠল, “ও মাচুষটি কে সই, বাঙ্গালী সাহেব—” প্রিয় চোখের কোলে কৌতুক নাচিয়ে বললে, “আচ্ছা সই, মানুষটি দেখতে কেমন ব’ল দেখি।” সেবা বললে, “এই দ্যtখ সই, এই মাত্র পুরুষ বেচারীদের নিন্দে করছিগি ; আর নিজেরাকি ক’রে পুরুষমানুষের রূপের বিচার করতে চাইছিল ? আমরা ঘোমটার আড়াল থেকে উকি দিয়ে ওদের দেখি, আর ওরা আড়ালের পর্দা-ফর্দ না মেনে দু’ চোখ মেলে স্পষ্ট ক’রে দ্যাথে, এতেই ত বেচারীদের যত দোষ, এই না ? চোখের সাম্নে যা পড়ে তার দিকে মাস্থ্য চোখ না দিয়ে পারে কি ? তার ওপর চোখের ঘদি সেটা দেখতে ভাল লাগে তা হ’লে ঘু দণ্ড ফিরে ফিরে দেখবেই।” কেদার এগিয়ে আসছিল, প্রিয় সইকে ঠেলা দিয়ে বললে, “যা জিজ্ঞেস করছিলাম তার ত জবাব দে।” সেবা কেদারের দিকে আর-একবার দৃষ্টি বুলিয়ে বললে, “মদ কি, তবে ঐ cइ फूक्लिन्न क्रिरू, भैर ग३ cमांप्रौदे डॉक्ल ना । नाभादमब्र দেশে দু' রকমের চেহারা বাধা ধরা। এক হয় পিলে-রোগ হাত পা, পেটটি ডাগর ; ম্যালেরিয়া যেন আজুরের রসটি নিঃশেষে চুসে খোলসটি রেখে দিয়েছে। আর নয় ত ঘি-দুধে চিকণ-চাকণ দেহ আর সেই দেহে একটি মস্ত তুড়ি”— প্রিয় হেসে উঠে বললে, “তুই আবার এত টপ্প নী কাটুতে শিখলি কবে, সই ? মাকুষটি দেখতে কেমন জিজ্ঞাসা করলাম, তা তুই এখন দেশ-গুদ্ধো লোকের তুলনা স্বরু কর্লি।” * সেবা বললে, “ভুল হয়ে গেছে সই, মাপ করে। একজনের জায়গায় বহুবচন স্বরু করেছি। লোকটি দেখতে দিব্যিটি, তবে মুখখানা কামিয়ে-জুমিয়ে নেহাৎ গুলের মতন ক’রে ফেলেছে তাতেই—“ মীনার এতঃক্ষণ নজর পড়েনি যে বাব আসছে ; এইবার নজর পড়তেই “মা বাবা আসছেন, বাবা আসছেন” ব’লে ছোট দুটি পায়ে ঘুমুর-গাথা মল বাজিয়ে তখনি রাস্তায় ছুটে বেরিয়ে গেল। সেবা প্রিয়র গালে ঠোন মেরে বললে, “আচ্ছা দুষ্ট নিজের বরের রূপ শোনবার ইচ্ছে হয়েছিল, তা বললি না কেন, আমি সাতখানা ক'রে ব্যাখ্যান করতাম ?” প্রিয় হেসে বললে,-“তুই যে একেবারেই চিনতে পারলি না, দেখছিলাম চিনতে পারিস কি না।” সেবা বললে—“সেই ত বিয়ের সময় আর তার মাস পাঁচ ছয় পরে ষা একবার দেখা। এখন আবার জুড়ি হয়েছে, গোপ কামিয়ে মুখের ছিরিটিও বদলানো হয়েছে, তা চিন্‌ব কি ক’রে ? গোফে বিছে-টিছে না পোকা মাকড় লুকিয়েছিল যে সব নিন্মুল করতে দিয়েছিল ?” প্রিয় উত্তর না দিয়ে মুখে কাপড় দিয়ে হাস্তে লাগল। “তুই হাঁস দাড়িয়ে আমি সরে যাই" বলে সেবা ঘরের মধ্যে গিয়ে ঢুকল। কেদারকে ছুটে গিয়ে মীন তার সই-মার আসবার খবর দিয়েছিল। কেদার বাড়ী ঢুৰেই প্রিয়কে বললে—“কই গো, মীনার সই-মা কই ?” প্রিয় বললে—“তোমায় সে চিনতেই পারেনি। অনেক দিন দেখা-সাক্ষাৎ নেই, লঙ্গার ঘরে লুকিয়েছে। কেদার বললে—“হুঁ হুঁ, একেবারে লুকোচুৰী খেলা !