পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] অন্নপ্রাশনে, বিবাহে এবং ঠাকুর দেবতার পূজা পাৰ্ব্বণে • এই বস্ত্র শুদ্ধবস্ত্ররূপে ব্যবহৃত হয় । পলু-পোকার ভালরূপ চাষ করিলে আমরা যে আরও বেশী রেশম উৎপন্ন করিতে পারি তাহ নিঃসন্দেহে বলা পাচটা টাকা ዓዓ6: যায়। সুতরাং অবিলম্বে এই শিল্পগুলিকে দ্রুত উন্নতির পথে লইয়া যাওয়াই আবশ্যক । এইরূপ করিলে দেশ উন্নত হইবে এবং কাহাকেও উদরামের জন্য পরদ্বারস্ত ইন্ডে হুইবে না । マ。 ジ - を で ジ পাচটা টাকা শ্রী মন্মথনাথ ঘোষ S অশ্বিন মাসের ভোরের বেলা, শরতের সেই দিন ক'টি কত আশা নিয়ে কত স্মৃতি নিয়েই না মামুষের স্ম ভাঙ্গে ! সেও সেদিন একট। অজ্ঞাত পুলক নিয়ে চোখের পাতা মেলেছিল । থড়থড়ির মধ্য দিয়ে তিন চারটি আলোর রেখা দেয়ালের গায়ে আগুনের অাচড় কাটুছিল, ঘরের শূন্যতার ভিতর আলোর খেলা রামধন্থর জলি বুনছিল—চেয়ে আর পুলক পড়ছিল না । * পূজোর বাড়ীর প্রভাতী মুরের রেশ ভেসে আসছিল, সঙ্গে নিয়ে শরতের সেই স্থদুরের আবাহন, আর আগমনীর নববর্ষের নব আশীৰ্ব্বাদ । তার চোখের পটে ফুটে উঠ ছিল উৎসবের সেই আনন্দ-ছবি—লোকজন, হাসিগান, ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের রঙীন সাজে রঙীন প্রাণের রঙীন উল্লাস । গরীবের ছেলে, বীপের সাধ্য ছিল ন৷ পড়ার খরচ চালায় ; এক ধনী আত্মীয়ের বাড়ী থেকে মানুষ হ’য়েছে, র্তার খরচেই কলেজে পড়ে, থাকে হষ্টেলে । সেদিন ভোরে পিয়ন এসে জানাল, টাকা এসেছে— মাসে খরচ বাদে পাঁচটা টাকা বেশী । কড়া অভিভাবক ; বাধা নিয়মে টাকা পাঠানো একদিনও নড়চড় হয় না, কোনো মাসে বেশী ও না, কোনো মাসে কমও না ; পূজোর মাস, তাই পাচট টাক। বেশী পাঠিয়েছেন । চেয়ে তার কিন্তু যার কাছে টাকা এল, সে তো এতখানি আশ। করে নাই—তার চোখে ভেসে উঠল উৎসবের ছবি, পূজোর ব1জার, দোকান-পাট, বিচিত্র পণ্যসম্ভার । নাম সই ক’রে টাকাট। নিয়েই পিয়ন বললে, “বাবু পূজে। এসেছে, বকুশীস্ ।” তাইতে, বকশীসের খাতায় তারও নাম উঠোতে হবে, একথাট। তা তার মাথায় খেলেনি ! কত দেবে ভাবতে ভাব তে যেটায়ু একটা টাকা তুলে পিয়নের হাতে দিলে । পিয়ন চলে গেল । জানালাটা ভাল ক’রে খুলে দিতেই এক ঝলক আলো এসে মুখে চোথে ছড়িয়ে পড়ল । আশ্বিনের নীল আকাশ থেকে খানিকট হালকা হাওয়া এসে ঝির ঝির ক’রে ব’য়ে গেল। একটা বই টেনে নিলে, কিন্তু মন দিতে পারলে না, স্নান করতে বেরিয়ে গেল। ર স্বান ক’রে খেয়ে এসে কলেজের জন্যে বই গুছিয়ে নিচ্ছিল । পুজোর বন্ধ আসছিল, সেই শেষ দিন ; ঠাকুর এসে বললে “বাবু, পূজোর পরবী ।” বইগুলো টেবিলের উপর রেথে সে বিবর্ণ মুখে জিজ্ঞাসা করলে,-"কত ?” হেসে ঠাকুর বললে,”—তা ও কি ঠিক আছে বাৰু,কেউ দিচ্ছে চার আন কেউ আট আনা, আবার কেউ এক টাকা ।”