পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓፃbo সঙ্গে আলাপ হ’ল ও এইখানে প্রাতরাশ সারা গেল। গ্র্যাণ্ড ট্রাঙ্ক রেডে বরাবর পাঞ্জাব অবধি আট দশ মাইল অন্তর চট দেখতে পাওয়া যায়। চটতে মোটামুটা রকমের খাওয়া-দাওয়ার জিনিষ-পত্র মেলে ও ভাল জলের বন্দোবস্ত আছে । এছাড়া রাস্তার ধারে ধারে কিছুদূর অস্থর কুয়াও দেখা যায়। প্রত্যেক চটতেই প্রায় পনেরে ফিট উচু দুটি স্তম্ভ থাকে। এইগুলিই চটর এইসমস্তই নিদর্শন ও এদের নাম ‘কোশমিনার" । সেরশা’র অমর কীৰ্ত্তির সাক্ষ্য দিচ্ছে ।

- - t

|- - 宗 - :ויח ציב" .." è ત્યને ને?-- -حممیه ممم مبه ه x. గుప్తా-3 or IP r* Cl - *a ) عf به ۲۰ مه 3 لای تا به آن প্রমণপথে বিহার এই অঞ্চল থেকে রেলওয়ে দূর ব’লে চটগুলির প্রয়োজনীয়তা বেশ অনুভব করা যায়। সেইজন্তে এইগুলির অবস্থা পূর্বের মতই আছে । কিন্তু যেখানে রেল, কারখানা ব। অ পর কোনে। কারণে রাস্তার আশে-পাশে সহর গ’ড়ে উঠেছে সেখানে এর নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারেনি। কেবল কেশমিনারগুলি অতীতের চিহ্ন-স্বরূপ দাড়িয়ে আছে । পোষ্ট অফিস থেকে বেরুতেই দেথি পুলিশ হাজির । নাম ধাম অন্য খোজ-খবর দিয়ে রওনা হ’য়ে পড়লাম । রাস্তায় বেরিয়ে পুলিসের সঙ্গে এই প্রথম পরিচয় । তখন বেলা প্রায় আটটা । রোদ বেশ চন্‌চনে । রাস্তাও অসম্ভব রকমের উচু নীচু । ছোট ছোট চটতে ঘন ঘন জল খাওয়া ও বিশ্রাম নেওয়া স্বরু হ’ল । মোটরের টায়ার ফাটাতে এক সাহেবকে বিশেষ ব্যস্ত হ’য়ে পড়তে হ’য়েছে। রোদে তার অবস্থা আমাদেরই মতন । আসার পর গোবিন্দপুরে পৌঁছলাম। পোষ্ট আফিস, থানা ও ডাক্তারখানা ছাড়া পাকা বাড়ী দু’চার থানা প্রবাসী—ভাদে, ১৩৩৩ আটাশ মাইল । [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড আছে । খাবারের দোকানে পুরী ভাজার গন্ধে ক্ষিদেটাও বেড়ে উঠল । জায়গাটি বেশ ছায়া-ঢাকা ও খাওয়দাওয়ার সুবিধা হবে ব’লে এইখানেই এবেলার মতন ছাউনি ফেলা গেল । এখানকার বাঙালী ডাক্তার-বাবুর সঙ্গে পরিচয় হ’তে দেরী হ’ল না । তার বাড়ীতে চা থাওয়ার পর ট্রাঙ্ক রোডের ব্যদিকে পুরুলিয়ার রাস্তার ওপর একটি বড় পুকুরে স্নান করা হ’ল । এখান থেকে পুরুলিয়া মাত্র ৪০ মাইল দূর । যখন রওনা হ’লাম তখন বেলা তিনটা । বৃষ্টির দরুন রাস্তার পাশে একটা পোড়ো গোয়ালের মধ্যে আশ্রয় নিলাম। পাশের গ্রামে নবমী পূজার ঢাক ঢোল বাজ তে গুরু হ’ল। কতকগুলি ছেলে-মেয়ে আমাদের পোষাক-পরিচ্ছদ ও যান-বাহনের সরঞ্জাম দেখে আমাদের বিষয় গভীর আলোচনা আরম্ভ ক’রে দিলে। ঘণ্টাখানেক পর বৃষ্টি থামলে আমরা আবার বেরিয়ে পড়লাম । আকাশ বেশ পরিষ্কার হয়ে গেল। স্বমুখে দুরে পরেশনাথ পাহাড়টি নীল আকাশের গায়ে আঁক-বাকা-লাইন-টানা একখানা ছবির মতন দেখাতে লাগল। বাংলা-বিহার ও উড়িষ্যার মধ্যে পরেশনাথ সব-চেয়ে উচু পাহাড় ( ৪৪৫০ ফিট) ও জৈনদের একটি মহাপীঠস্থান । দূরবীণ দিয়ে পাহাড়ের ওপরের জৈন মন্দিরটি বেশ স্পষ্ট দেখা গেল। আমরা ক্রমেই পরেশনাথের কাছে এগিয়ে আসতে লাগলাম। : রাস্তা বেজায় উচু নীচু ব’লে আমরা পরস্পর ছাড়াছাড়ি হ’য়ে পড়তে লাগলাম। দেখতে ভারী মজা লাগছিল— কেমন ক’রে মাঝে-মাঝে একজন হেলতে-কুলতে অতি কষ্টে চড়াইয়ের উপর উঠছে আবার সমুদ্রের জাহাজের মতন প্রথমে পিছনের চাকা, কম্বল,পরে পিঠ ও শেষে টুপি অদৃশ্ব হ’য়ে যাচ্ছে। সন্ধ্যার ছায়া ক্রমে ঘনিয়ে এল । পরেশনাথ তার সমস্ত কবিত্ব মুছে অন্ধকারে বিরাট দৈত্যের মতো দাড়িয়ে আছে । নীচে তোপচাচির বাংলোতে আমরা রাত কাটাবার ব্যবস্থা করলাম। একদল সাহেব মেম এখানে চড়ুইভাতি ক’রে পাত তাড়ি গুটাবার বন্দোবস্ত করছিল। তাদের সঙ্গে আমাদের আলাপ জমে উঠল। তাদের