পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] আনুষঙ্গিক কমেরও উন্নতি চাই । পুব কালে প্রতোক কলাজীবী স্বাধীন ছিল । অস্তের অপেক্ষ না করিয়া নিজে নিজে সকল কম। করিতে হয় । এখন কৰ্ম্মভিাগ আবশ্যক হইয় পড়িয়াছে ; কিন্তু আমরা কাপাস বীজ কিম্বা কাপাস তুল দিয়া দেশের লোককে বলিতেছি, চরকায় স্থত কাটিবে, দেশের বস্ত্র-দৈন্ত ঘূচির যাইবে । আমার বিশ্বাস, তুলার পরিবর্তে যদি তুলার পাইজ দেওয়া হইত তাহা হইলে সুতীকাটনীর সংখ্য। বাড়িয় যাইত। ভেড়ার লোমে উল হয়, এই বাত প্রচার করিয়৷ বেড়াইলে কোনও মহিল৷ উল বুনিতে যাইতেন কি ? আমার চরক চর্চার একটু ইতিহাস দিই। লাট কার্জন সাহেবের বঙ্গচ্ছেদে বাঙ্গালাদেশে আগুন জলিং উঠিয়াছিল । তাহার অীচ বঙ্গের বাহিরের বাঙ্গালীকেও তপ্ত করিয়া তুলিয়া ছল। আমি তখন কটকে । সেখানে নিবাসী ও প্রবাসী বাঙ্গালীরাও চঞ্চল হইয়। উঠিয়াছিলেন । বিলাতী বস্ত্রবর্জনের অকাঙক্ষ জন্মিয়ছিল । ইহার প্রায় ছয় বৎসর পূবে কটকে কয়েকজন স্বদেশী ভক্ত দেশী জিনিস বিক্রির এক দোকান কবিয়ছিলেন । তাহার নাম ছিল “উদ্যোগী সমিতির ভাণ্ডাব’ তখন স্নেশে স্বদেশী ভাবের উদ্ভব হয় নাই। ভাণ্ডারে বিলাতী কাপড়ের স্থান ছিল না । বিলাতী তখন সস্ত । দেশী তাত্তের ও কলের কাপড় আক্র । তথাপি র পিরিবর্তনের আশায় এই ভাণ্ডারের জন্ম হইয়াছিল। এ ক উকিল ভাণ্ডারের অধ্যক্ষ ছিলেন । তিনি বঙ্গচ্ছেদের সময় দেশী কাপড় যোগাইতে পারলেন না। কাপড়ের কল নাই, তাত ধরিলেন । এখন ঠক্‌ঠকৗ তাত সেখানে তেমন চলিত ছিল না । তিনি গ্রাম বরেন্দ্র কৈবর্ত-নায়ক ভীমের রাজধানী Գ:Տ) মনে আছে, চল্লিশ নম্বর স্বঠার প্রমাণ ধুতী চারি টাকা চারি আনায় পাওয়া যাইত । পুঞ্জার সময় একদিন অধ্যক্ষ মহাশয় আমার সংবাদ দিলেন, এবং তাহার তাতশীল দেখাইবার জন্ত লইয়া গেলেন । পুৰে তিনি আমার ছাত্র ছিলেন । দেখিলাম সব ঠিক, কোন তাতী কাপড় বুনিতেছে, কেহ ব তুলিতেছে, কেহ পুরণী করিতেছে, ইত্যাদি। জিজ্ঞাস BBBDSEK BBSBBBBB BBSB BB B BDD SAAAA “তাইত এ যে আধ। দেশী ।” সে সময়ে সুতার দেশী কল তত ছিল না । কটকে দেশী সুতা প্রায় পাণ্ডৱ যাইত না । আমার প্রশ্ন শুনিয়া তিনি আকাশ হইতে পড়িলেন, এবং আমায় সুত্রচিন্তা করিতে বলিলেন । সে চিন্তু আমার যে কি দুশ্চিন্ত হইয়াছিল, তাহার বর্ণনা অনাথপ্তক । সে বাহ হউক, চরক চর্চা করিতে গিয়া যাহা বুঝিয়ছিলাম তাহার বৃত্তাপ্ত প্রবাসীর ষষ্ঠভাগে ( ১৩১৩ সালে) চিত্র সহ প্রকাশ করা গিয়ছে। তুলার রোয় টানিয়া সমান করিবার নিমিত্ত কাপাস খাইর তুল্য তুল থাক্সই করাইয়।ছিলাম। দেখিয়াছি, তেমন প্যাজ পাইলে দু-টেকে। চরকায় দু-খাই স্থত একদা কাটিতে পারা যায়। জিজ্ঞাহ পাঠক প্রবাসী দেখিবেন । যদিও চরকার সহিত উক্ত র্তগতশালার সম্বন্ধ নাই, তথাপি তাহার পরিণাম লিখি । গ্রামের উর্তিী কখনও সহরে আসে নই, এমন বাধা উপার্জন কখনও করে নাই। ফলে নুতন অবস্থায় উষ্ঠীর আপনাদিকে সমূলাইতে পারিল না। কেহ গ্রামে চলিয়া গেল, আর আসিল না, কেহ বা দুশ্চরিত্র হইয় শোচনীয় অবস্থায় ফিরিয়া গেল। তাতশালী বন্ধ হইল এবং নীতিও শিক্ষণ হইল। কাহারও অবস্থান্তর হঠাৎ হইতে তাতী আনাইলেন এবং আট দশ খান তাত বসাইলেন। উৎসাহ ঘটাইলে কুফল উৎপন্ন হয়। দেখিয় কটকের এক মহন্ত তহঁর মঠে থান করেক চাল ছাড়িয় خطع و দিলেন। কাপড় বোন হইতে লাগিল । শ্রী যোগেশচন্দ্র রায় پیچ بجے بیج یعs=a= বরেন্দ্র কৈবর্ত-নায়ক ভীমের রাজধানী অধ্যাপক শ্রী রাধাগোবিন্দ বসাক আজ প্রায় পনর-ষোল বৎসর অতীত হইতে চলিল— বাঙ্গালীর গৌড়-কবি সন্ধ্যাকর-নন্দি বিরচিত “রামচরিত” নামক অপূৰ্ব্ব শ্লিষ্ট কাব্যের সহিত পরিচিত হইয়া আসিতেছেন। এই গ্রন্থখানি কাব্য হইলেও-ইহাকে কেবল কাব্য বলিলে ইহার মর্য্যাদার লাঘব হয় । ইহা একাধারে কাব্য ও ইতিহাস কথা । এই গ্রন্থ দ্ব্যর্থবোধক নানাপ্রকার আর্য্য+ছন্দে রচিত । চারিটি পরিচ্ছদে সমাপ্ত এই গ্রন্থখানিতে কবি-প্রশস্তির শ্লোকগুলিসহ সৰ্ব্বসমেত ২১৫টি শ্লোক আছে। দ্বিতীয় পরিচ্ছেদের ৩৫শ শ্লোক পৰ্য্যস্ত ইহার একটি প্রাচীন ( সম্ভবতঃ, গ্রন্থ সমসাময়িক ) টকাও পাওয়া গিয়াছে। অনেকেই জানেন ধে, মহামহোপাধ্যায় পণ্ডিত শ্ৰীযুক্ত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী এমএ, সি-আই-ই, মহাশয় এই মূল্যবান গ্রন্থের আবিষ্কৰ্ত্তা ও প্রকাশক । ১৮৯৭ খৃষ্টাব্দে নেপালে ইহ আবিষ্কার করিবার পর ১৯১০ খৃষ্টাবে শাস্ত্রীমহাশয় ইহা বঙ্গীর এসিয়াটিক সোসাইটীর মেমোয়ার-রূপে ( Memoirs of the Asiatic Society of Bengal, Vol. III, No i ) প্রকাশিত করিয়া কেবল বাঙ্গালী জাতির কেন, সমগ্র ভারতবর্ষের কৃতজ্ঞতাভাজন হইয়াছেন । এই একখানি গ্রন্থের আবিষ্কার জন্তই যে কোন ব্যক্তি জাতির