পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা 1, শিশুপাল-বধ ఇసి ঝরিবে কোন ক্ষণে একটু বিকাশের শুকায়ে নেবে বায়, একটা মৃদ্ধ বুলি— শিশির-ফোটা হেন মায়ের দেহে শিরা শিশুরে রাখে মায় । পরাণ উঠে ফুলি । চাদের মত শিশু এমন ক’রে কেও মায়ের স্নেহে বাড়ে, পরাণ রয় মেলে ? অমৃত হাসি-রেখা স্নেহের সবটুকু রঙীন ঠোট-অাড়ে । झुमाएङ नििहे ८झरन । -E== শিশুপাল-বধ শ্রী অনাদিন "থ সরকার কহাকবি মাঘ বিরচিত শিশুপাল্প-বধ কাব্য সম্বন্ধে কোন পরিবেন। আমার স বিনয় অনুরোধ, পুস্তকগুলি নূতন তথ্যের সন্ধান দিবার জন্য এই প্রবন্ধের অবতারণা নহে ; সমগ্র বঙ্গদেশে শিক্ষাদান নামে যে বিরাট শিশুপাল-বধ অভিনখ চলিতেছে তাহারই দুই-চারিটি অঙ্ক সাধারণের দৃষ্টিগোচর করাই লেখকের উদেশ্ব। যোগ্যতর ব্যক্তিগণ এই বিষয়ে মনোনিবেশ করিয়া ইহার প্রতিকার করিলে এই অভাগ্য দেশের পরম উপকার সাধিত হইবে। ভোক্তার পরিপাক-শক্তি বিবেচনা করিয়া খাদ্যের প্রকার ও পরিমাণ স্থির না করিলে ষেমন ভোক্তার স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা আছে, শিক্ষার্থীর শিক্ষাগ্রহণের শক্তি বিবেচনা না করিয়া তাহার পাঠ্য স্থির করিলেও ঠিক সেইরূপই তাহার অনিষ্টের সম্ভাবনা আছে। দুর্ভাগ্যবশতঃ এই সহজ সত্যটি প্রায় কোন বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষই বিবেচনা করেন না ; অন্ততঃ জামাদিগের বিদ্যালয়সমূহের পাঠ্যতালিকাগুলি দেখিলে ধারণা হয় যে, তাহারাশিক্ষাথীর পরিপাক-শক্তি সীমাহীন বলিয়াই মনে করেন। পাঠকপাঠিকাগণ নিজ নিজ পুত্রকন্যাগণের পাঠ্য পুস্তকগুলি একবার লইয়া দেখিলেই আমার কথার সার্থকতা বুঝিতে দেখিবার সময় সেগুলি যে পুত্র বা কন্যার পাঠ্য তাহাকে সম্মুখে রাখিয়া মনে মনে এই প্রশ্ন করিবেন, সেইসমস্ত বিষয় ও পুথি আয়ত্ত করিবার শক্তি তাহার জন্মিয়াছে কি না । - বিদ্যালয়ের যে-শ্রেণী হইতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিকুলেশনের ( প্রবেশিক পরীক্ষার ) নিৰ্দ্ধারিত পাঠ্যপুস্তক পড়ান হয় তাহার নিম্নশ্রেণী পৰ্য্যন্তই এই শিশুপাল-বধ অবাধে চলিতেছে। কেন চলিতেছে তাহীও সহজেই বুঝা যায়। বিশ্ববিদ্যালয় ম্যাটিকুলেশনের যে পাঠ্য নিৰ্দ্ধারণ করিয়া দিয়াছেন তন্মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজের তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত বহি কতকগুলি আছে, এবং অবশিষ্ট বহিগুলিও কয়েকজন ভাগ্যবান মহাত্মার বহি, স্বতরাং উচ্চ কয়েকটি শ্রেণীতে ট্র্যান্‌শ্লেশন, কম্পোজিশন, এসে রাইটং, হোম ষ্টাডি প্রভৃতি অতি অল্প বিষয়ে নিজ ইচ্ছামত পাঠ্য নিৰ্দ্ধারণ করিবার ক্ষমতা প্রধান শিক্ষক মহাশয়ের আছে। এই কয়েকটি বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মহাশয় নিজের বা আত্মীয়ের বা ক্ষমতাশালী ব্যক্তির ( গ্ৰন্থরচনায় নহে—যস্মিন তুষ্টে স্বার্থসিদ্ধি: )