পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] মৃত্যু-দূত - ھ ہسb হইল যে, সে ওই ঘরে আসিয়াছে ; সম্ভবত আগন্তুক ঠিক প্রকৃতিস্থ নাই বলিয়া তাহাকে তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে দিতে মা আপত্তি করিতেছেন । হয়ত মা ভাবিতেছেন, উহার সহিত দেখা হওয়ায় কিছু ফল হইবে না; মৃত্যুকালে তাহার সহিত দেখা হওয়া না-হওয়ায় আমার কিছু যাইবে আসিবে না। অনেক ভাবিয়া সে একট। চমৎকার উপায় স্থির করিল। “মাকে বলব, আমাকে ওই বড় ঘরে নিয়ে গিয়ে শুইয়ে দিতে, মরার আগে ঘরটি আর-একবার দেখতে চাইব, মা তাহলে আর আপত্তি করতে পারবে না।” সে মাকে उशब्र ইচ্ছা জ্ঞাপন করিয়া ভাবিতে লাগিল, মা তাহার চালাকি বুঝিতে পারিলেন কি না । সে ঘর পরিবর্তন করিতে চায় বটে, কিন্তু হাঙ্গাম কম নয় । মা বলিলেন, “এখানে কি খুব কষ্ট হচ্ছে, ঈডিথ ? অন্য দিনত তুমি এখানে থাকতেই ভালবাসতে মা ।” পীড়িত সস্তানের খেয়াল পরিতৃপ্ত করাটা তিনি যুক্তিযুক্ত মনে করিলেন না। ঈডিথ মনে করিল, মা তাহাকে শিশু মনে করিয়া অবহেলা করিতেছেন । সেও শিশুর মত আন্ধার করিয় তাহার ধৈর্য্যচুতি ঘটাইতে চাহিল । . সে বলিল, “মা, বড় ঘরে যেতে আমার বডড ইচ্ছে করছে। সিসটার মেরী আর গুস্তাভসন আমায় ব’য়ে নিয়ে যেতে পারবে। তুমি তাদের ডাকনা। আমি বেশীক্ষণ ওখানে থাকৃব না।” মা বলিলেন, “তুমি ও ঘরে গেলেই আবার এখানে আসবার জন্য ছটফট করবে,” তিনি তাড়াতাড়ি উঠিয়া গিয়া পাশের ঘরে উপবিষ্ট গুস্তাভসনু ও সিস্টার মেরীকে সঙ্গে লইয়া আসিলেন। সিস্টার ঈডিথ শৈশবাস্থায় যে ছোট চৌকীখানিতে শুইত আজ তাহাতেই শায়িত ছিল বলিয়া সিস্টার মেরী গুস্তাভসন ও তাহার মা অনায়াসে তাহাকে তুলিতে পারিলেন। বড় ঘরে প্রবেশ করিয়াই .সে রান্নাঘরের দরজার দিকে দৃষ্টিনিক্ষেপ করিল। সেখানে সে কাহাকেও দেখিতে পাইল না। মৰ্ম্মাহত হইয়া ভাবিল, সে ঠিক দেখিতেছে কি না। হতাশায় তাহার চিত্ত ভরিয়া উঠিল। আশৈশব পরিচিত মধুর স্থতিরঞ্জিত ঘরখানির দিকে একবারও ন চাহিয়া সে চক্ষু মুদিল, এবং সঙ্গে-সঙ্গে তাহার বোধ হইল যেন দরজার পাশে কেহ দাড়াইয়া আছে । সে ভাবিল, “ন, অসম্ভব, আমার ভুল হয়নি। ওখানটায় নিশ্চয় কেউ আছে—সে কিম্বা আর কেউ ।” সে ক্ষুধিত দৃষ্টি লইয়া পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে ঘরটি পরীক্ষা করিতে লাগিল । বহুক্ষণ স্থিরদৃষ্টিতে চাহিয়া চাহিয়া তাহার বোধ হইল যেন দরজার পাশে কি একটা দাড়াইয়া আছে ; ছায়ার মতনও পরিস্ফুট নয়, এ যেন উপচ্ছায়া । মা অত্যন্ত স্নেহের সহিত তাহার উপর ঝুঁকিয়া জিজ্ঞাস করিলেন, “এখানে এসে একটু আরাম পাঁচ্ছ ঈডিথ ?” ঈডিথ মায়ের গলা জড়াইয়া তাহার কানে কানে বলিল, সে অত্যন্ত খুলী হইয়াছে। ঘরখানিকে বিশেষ লক্ষ্য না করিয়া সে রান্নাঘরের দরজার দিকে একদৃষ্টি চাহিয়া রহিল । কিছুতেই ভাবিয়া স্থির করিতে পারিল না, দরজার পাশে সে কিসের ছায়। দেখিল ; অথচ এটা বাহির করিতেই হইবে—এ যে প্রায় তাহার জীবনমরণের সমস্যা। সে ভাবিতে লাগিল । তিনজনে ধরাধরি করিয়া চৌকীখানি ঘরের অপর প্রান্তে বসিবার ঘরে রাখিলেন। সেই অস্পষ্ট ছায়ামূর্তিটি যেখানে দণ্ডারমান ছিল চোকিটি তাহার দূরতম স্থানে ब्रकिङ श्हेल । छेउिथ. झक्ष्ल श्रेग्न उठेल । किङ्घक्रम স্তন্ধ থাকিয়া ঈডিথ, অস্ফুটম্বরে মায়ের কানে কানে বলিল, “এখানটা দেখা হয়েছে মা ; এবার আমায় ওধারটায় নিয়ে চল না।” ঈডিথ, লক্ষ্য করিল, মাতা ব্যথিত দৃষ্টি লইয়৷ অন্ত দুইজনের মুখের পানে চাহিলেন ; তাহারাও বিষন্ন হইলেন। ঈডিথ, ভাবিল চৌকাঠের পাশ্বস্থিত ছায়ামূৰ্ত্তির নিকটে তাহাকে লইয়া যাইতে ইহারা ইতস্ততঃ করিতেছেন। সে মূৰ্ত্তিটি কাহার সে-বিষয়ে ক্রমশঃ তাহার ধারণা স্পষ্টতর হুইতেছিল ; কিন্তু তাহার মনে