পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] এক-একজন গল্প বলতে এত ওস্তাদ যে, সমস্ত দিন তার ঘরে তার গল্প শুনবার জন্যে লোকের ভিড় জমে থাকে । এই পৰ্ব্বদিনে ঘরে কোনো-রকম ময়লা জমলে কি ভাঙা ফাট পুতুল দেখালে মেয়েদের ভারী নিন্দার কথা ; সেজন্যে জাপানী মেয়েরা খুব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা অভ্যাস করে ; আর প্রত্যেকেই নিজের পুতুলগুলির যাতে কোনো রকমে ক্ষতি না হয় সেদিকে ভারী নজর রাখে । এই পরিচ্ছন্নতা ও সাবধানত বেশী বয়সে তার অনেক সুবিধার কারণ হয় । মোমে কথাটির আরো অর্থ আছে । মোমো বলিতে দীর্ঘজীবন, সৌন্দর্য্য ও মাতৃত্বের বিকাশ বুঝায়। জাপানী মেয়ের ছেলেবেলা থেকে সুন্দর হবার, ভালো গৃহিণী ও মা হবার আকাজ করে। জাপানের এই দ্রুত ও আশচয্য উন্নতিতে জাপানী মেয়েদের বারো-আনা রকম হাত আচে । টাঙ্গোনে সেন্ধু শুধু ছেলেদের উৎসব, জাপানী বছরের পঞ্চম মাসের পঞ্চম দিনে এই উৎসব হয়। এই দিন বাড়ীর সব-চাইতে কনিষ্ঠ ছেলেকে নিয়ে উৎসব করা হয় ; সেদিন তার ভারী গতির । সেদিন রাস্তার বার হ’লেই চারদিকে পতাকা আর কাগজের রুই মাছ উড়তে দেখা যায়। রুই মাছ মাছের রাজ ; গায়ের জোরের জন্তে রুই মাছের খ্যাতি আছে । রুই মাছের মতে৷ ছেলের গায়ের জোর হোক, প্রবল স্রোতের বিরুদ্ধেও যেন সে লড়তে পারে এইরূপ কামনা ক’রেই কাগজের রুই মাছ উড়ানো হয় । তানাবাত উৎসবে ছেলেমেয়ের একসঙ্গে যোগ দেয় । জাপানী বছরের সপ্তম মাসের সপ্তম দিনে এই উৎসব হয় । এই উৎসব মহাসমারোহে জাপানের সর্বত্র করা হয় । উৎসবের আগের দিন ছেলেমেয়ের শিশির কুড়িয়ে কাগজ কেটে, গান আর কবিতা লিখে প্রস্তুত হ’য়ে থাকে ; এইসব নিয়ে তানাবাত অর্থাৎ তাতের অধিষ্ঠাত্রী দেবীর পূজো হবে । আগের দিন সমস্ত রাত্রি নানা রঙের আলো জালিয়ে রাখা হয়, টেবিলে নানা ধরণের ফলমূল, পিঠে, সন্দেশ ইত্যাদি সাজিয়ে রাখা হয় তানাবাতার জন্যে । ছেলেদের পাত তাড়ি—সবচেয়ে বড় জানোয়ার b->Q উৎসবের দিনে ভোরের আলো দেখা যাবার আগেই ছেলেমেয়ের কাছাকাছি কোনো নদীতে গিয়ে রঙীন কাগজে মোড় বংশের কঞ্চি ভাসিয়ে দেয় আর প্রার্থনা করে যেন তারা লেখাপড়ায় ভাল হয় । মোমো-নো সেকু জাপানে ছেলেমেয়েদের ঘথেই সম্মান করা হয় ব’লে তার ছেলেবেলা থেকেই আত্মমৰ্য্যাদা শিখতে পারে। নান। উৎসব আর পর্বের মধ্যে দিয়ে তাদের মনে দেশগীতি এমন ভাবে জাগিয়ে তোলা হয় যাতে ক’রে দেশের জন্যে প্রাণ দিতে ভবিষ্যতে তাদের মুহুর্তের জন্যে দ্বিধা করতে হয় না। আমাদের এই হতভাগ্য দেশে দেশের প্রাণস্বরূপ এই শিশুরাই জীবন্মত অবস্থায় আছে। পাঁচ বছর বয়সেই তাদের শৈশব শেষ হইয়া যায়। স সবচেয়ে বড় জানোয়ার এখন পৃথিবীতে হাতীই ডাঙ্গার সবচেয়ে বড় জন্তু, তিমি মাছ ছাড়া ইহা অপেক্ষ বড় জন্তু আর নাই। কিন্তু হাজার হাজার বৎসর পূৰ্ব্বে এই পৃথিবীতে একপ্রকার জানোয়ার ছিল ; তাহার হাতী অপেক্ষা বড় । তাহদের দেহ ছিল হাতীর মত, গলা উটের গলার মত আর ল্যাজ প্রকাগু গোসাপের ল্যাজের মত । ইহার আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াইওমিং নামক স্থানে বাস করত বলিয়৷ বৈজ্ঞানিকগণ অহমান করেন, কেননা এই স্থানেই ইহাদের দেহের প্রকাণ্ড কঙ্কাল পাওয়া গিয়াছে ।