পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

y"ల్చి যুবরাজ দানিয়েল ও উtহর পত্নী জন বেগম (সমসাময়িক মুঘল চিত্র ) জায়:রাথ হয়েছে তা নম্ন, প্রত্যেক ছবিতেই গোবৰ্দ্ধন সি নামে কাংড়ার একজন রাজাকে নায়ক হিসাবে fাকা হয়েছে । এবারে এমন একটি জিনিষের কথা বলব যা আমাদের রের হয়েও নিজের হতে পারেনি। আমি বাংলার রানো ধরণের পটের কথা বলছি। পট দু'রকমের ছে—রংয়ে ও রেখায়। রেখাঙ্কিত পট গত শতাব্দীর [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড মাঝামাঝি অবধিও বেশ আদর পেতে । কিন্তু এখন এরূপ পটের কথা বলতে যেয়ে আমাদের ভয় হয় শিল্পের ব্যাপারীদের কাছেও খুব নতুন গোছের শোনাবে। রেখা টানার বাহাদুরীতে, অঙ্কন-সৌন্দর্য্যে, আর মূৰ্ত্তি আকার হিসাবে দেখলে বাংলার এই প্রাচীন শিল্পটি বাংলার একটি গৌরব ছিল বলতে হবে। অন্ত যে-সব চিত্র-পদ্ধতি এতদিন সম্মানের আসন পেয়ে এসেছে তাদের ভাল ভাল নিদর্শনগুলির সঙ্গে তুলনা করলে বাংলার এ শিল্পটিকে কেউ হেলা করতে পারে না । দুর্ভাগ্যক্রমে বাংলার শিক্ষিত সামাজিকর—যারা বরাবর বিদেশী কদৰ্য্য ছবি দিয়ে ঘরবাড়ী সাজিয়ে এসেছেন—এরূপ ছবির কথ। ভুলেই গিয়েছেন ; তাই এর রেওয়াজ ও উঠে গিয়েছে। সাধারণ ভাবে বলতে গেলে বাংলার শিক্ষিতদের অনাদর হতেই বাংলার শিল্পের সর্বনাশ হয়েছে । তাই এখন লোকদের বুঝান শক্ত যে, এখন আমরা যে “কালিঘাটের পটের” নাম শুনে নাক সিটকাই কালে তারও গৌরব কবৃবাব কিছু ছিল । কোনোএক সময়ে শ্ৰীযুত ঘোষকে এইসব পটের প্রশংসা করতে যেয়ে আমাদেরই একজন মাননীয় নেতাগোছের ব্যক্তির কাছ থেকে এরূপ প্রশ্ন শুনতে হয়েছিল— “আপনি কালিঘাটের পটে কোনো শিল্প-সৌন্দর্ধ্য আছে ব’লে মনে করেন ?” কিন্তু কালিঘাটের পুরানো যে সব ছবি এই সংগ্রহে একত্র করা হয়েছে তা দেখে এই ভদ্রলোকের মতো আরও বহু লোকের চোখ ফুটুবে, যারা ভাব তেও পারেন না যে, কোনো কালে কালিঘাটের পটে