পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ]; বিবিধ প্রসঙ্গ—রবীন্দ্রনাথের সহিত শক্রতা Ե-86է দ্বিতীয় কথা এই যে, ভারতের চরমপন্থী কাগজগুলিতে বৃটিশ কৰ্ম্মकॉन्नैौश्रt*ब्र दिब्रक जांथमांब्रिक कणश् दांक्षाद्देश्यां★ cफ़हे ७ सोशिएल খামাইবার যথাযথ চেষ্টার অভাবের যে বীভৎস অভিযোগ আনয়ন করা হয় তাহ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন | আমরা এ অভিযোগ সত্য কি না ও গভর্ণমেণ্ট, নিরপেক্ষ কি না তাহার আলোচনা করিতে চাই না; শুধু বলিতে চাই যে, যে-গভর্ণমেণ্টের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনয়ন করা হয় সেই গভর্ণ মেণ্টেরই একজন সভোর পক্ষে অভিযোগটি ভিত্তিহীন বলার কোন মূল্য নাই। আসামীর পক্ষে বিচারকের মত কথা বলা নিম্প্রয়োজন। গভর্ণমেণ্ট, যদি নিজের সাম্প্রদায়িকতা বজায় রাখিবার চেষ্ট করেন না প্রমাণ করিতে চান তাহা হইলে সে-প্রমাণ আল, উইনটারটনের বক্ততায় দিলে চলিবে না—তাহা কার্ধ্যে দেওয়া প্রয়োজন । আর্ল উইনটারটনের বক্ততা ও কারেন্সী কমিশন একথা সৰ্ব্বজনগ্রাহ যে, টাকার বিনিময়ের হার দেড় শিলিং ধার্য্য করার ফলে ভারতের পক্ষে ইংলণ্ডের দ্রব্যসপ্তার আমদানী করা অপেক্ষাকৃত সহজ হইয়া যাইবে । ইহার অন্যান্য কুফলের কথ! এস্থলে আলোচ্য নহে। আমরা নীচে আল উইন্টারটনের বক্তৃতার এক অংশ উদ্ধৃত করিয়া দিলাম। উহা হইতে দেখা যাইবে যে, ইংলণ্ডের নিকট হইতে ভারতের আমদানী সম্প্রতি বিশেষ কমিয়া গিয়াছে এবং এই আমদানী যে-কোন উপায়ে বাড়াইতে না পারিলে ইংলণ্ডের বিশেষ ক্ষতির সম্ভাবনা । The exports for 1925-26, valued at 385 crores of rupees, were slightly lower than , the figure of the previous year which constituted a record. Imports in 1925-26 also show some decline from the figure of 1924-25. To appreciate the figures, however, it is necessary to consider them in...the light of the changed level of prices since 1913-14 when the figures of exports and imports were about 250 crores of rupees and 180 crores, respectively. If the figures for 1925-26 are recalculated with reference to the pre-war level, of prices exports work out, at approximately 260 crores of rupees and imports at 120 crores of rupees. অর্থাৎ ১৯২৫-২৬ খৃঃ অকের ৩৮৫ কোটি টাকার রপ্তানীর কার্বার তাহার পূর্ব বৎসরের রপ্তানী হইতে কিছু কম হইয়াছিল। পূৰ্ব্ব বৎসর রপ্তানী চূড়ান্ত হইয়াছিল। ১৯২৫-২৬ সালে আমদানীও পূর্ব বৎসর অপেক্ষা কিছু কম হইয়াছিল। এসকল হ্রাসবৃদ্ধির কথা ভাল করিয়া বুঝিতে হইলে ১৯১৩-১৯১৪ এর সহিত তুলনায় বর্তমানে টাকার জবা-ক্ষয়-ক্ষমতার পরিবর্তনের কথা বুঝা প্রয়োজন। ১৯১৩-১৪ খৃঃ আৰো রপ্তানী ও জামৃদ্ধানী যথাক্রমে ২৫০ কোটি ও ১৮০ কোটি হইয়াছিল। ১৯২৫-২৬ খৃঃ অব্দের টাকার মূল্য (দ্ৰব্য-ক্রয়-ক্ষমতা) ১৯১৩-১৪এর সমান করিয়া কষিয়া দেখিলে দেখা যায় যে, এই বৎসর রপ্তানী ও আমদানী যথাক্রমে ২৬০ কোটি ও ১২° কোটি টাকা পরিমাণ হইয়াছে । এইরূপ ব্যাপারের কারণ অনুসন্ধান করিলে দেখা যায় যে, ভারতের রপ্তানীর মাল কৃষিজাত দ্রব্যসমূহের মূল্য যুদ্ধের পরে যত বাড়িয়াছে ইংলণ্ডের রপ্তানীর মাল, অর্থাৎ আমাদিগের আমদানী মালের মূল্য তাহা অপেক্ষা অনেক অধিক বাড়িয়াছে। ফলে, আমাদের রপ্তানী যুদ্ধের পূর্বের মতই হইতেছে, কিন্তু আমৃদ্ধানী বিশেষ কমিয়া গিয়াছে। এই আমদানী বাড়াইতে হইলে হয় ইংলণ্ডজাত দ্রব্যের মূল্য কমাইতে হইবে, নয় অন্ত কোন উপায়ে আমদানীর কার্য্য স্ববিধাজনক করিয়া দিতে হইবে । ইংলণ্ড হইতে ভারতের আম দাঙ্গীর কার্য্য সহজ ও অল্পব্যয়সাধ্য করিয়া দিবার জন্য বৃটিশ গভর্ণমেণ্ট ভারতবাসীর খরচে পাউণ্ড সস্তা করিতেছেন ; অর্থাৎ ভারতবাসী সাক্ষাৎ ভাবে যাহা অল্প মূল্যে পাইবে পরোক্ষভাবে তাহার বাকি মূল্যটুকু কারেন্স ঠিক রাখিবার খরচ হিসাবে খরচ করিতে বাধ্য হইবে । উচিত পন্থ। ইহাই হইত যদি ইংলণ্ডের শ্রমিকগণের মজুরীর হার কমাইয়া ইংলণ্ডজাত দ্রব্যের মূল্য কমান হইত ; কিন্তু তাহা না হইয় তাহাদের মজুরী ঠিক রহিল এবং এই ভারি মজুরী দিবার ভার বহন করিল দরিদ্র ভারতীয় করদাতা । ইহা পরাধীনতার ফল । রবীন্দ্রনাথের সহিত শত্রুত এবার কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় ইতালিতে উক্ত দেশের রাষ্ট্রনেতা মুসোলিনির অতিথিরূপে অবস্থান করেন। মুসোলিনি ইয়োরোপের একজন মহা ক্ষমতাশালী লোক ও তাহকে ইতালি-সম্রাট, বলিলেও চলে। এহেন ব্যক্তির অতিথি হওয়া একজন বাঙালীর পক্ষে বিশেষ গৌরবের কথা, সন্দেহ নাই । মুসোলিনির শত্রু অনেক এবং রবীক্সনাথেরও শক্রর অভাব নাই । এইসকল কারণে আমরা জনসাধারণকে রবীন্দ্রনাথ ও মুসোলিনি সংক্রাস্ত খবরাখবর বিশেষ সাবধানতার সহিত পাঠ ও বিচার করিতে অনুরোধ করি । দুইজনেরই জীবন, আদর্শ, পরম্পরের সম্বন্ধে মতামত প্রভৃতি নানা দিক দিয়া মিথ্যার সাহায্যে ঘুর্ণাম রটাইবার চেষ্টা হইতেছে। এচেষ্টা যাহার করিতেছে তাহারা ভারতের বন্ধু নহে। আমাদের পক্ষে কবি ফিরিয়া আসার পূৰ্ব্বে এসকল বিষয়ে কোন মতামত পোষণ না করাই শ্রেয়। ஆம்_.