পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* জাকিয়া হানিম্ অব দেল-হামিদ হলেমান ইনস্পেকূট্রেস্। যে-সমস্ত ভারতীয় নারী তাহীদের ভারতীয় ভগ্নীদিগের উন্নতি কামনা করেন তাহার। যদি এই মহিলার সহিত দেখা করেন তাহা হইলে হিতকর আলোচনা হইতে পারে । ৮ কবিরাজ যামিনীভূষণ রায় এমৃ, এ ; এমৃ, বি কবিরাজ যামিনীভূষণ রায়ের মৃত্যুতে দেশের বিশেষ ক্ষতি হইয়াছে । তিনি অষ্টাঙ্গ আয়ুৰ্বেদ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন ও উক্ত বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ছিলেন । তিনি কলিকাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ফেলো” ছিলেন । কবিরাজ যামিনীভূষণ রায় আয়ৰ্ব্বেদের প্রচার ও উন্নতির জন্য যথাসাধ্য করিয়াছিলেন এবং এ উদ্দেশ্যে অনেক অর্থ রাথিয়া গিয়াছেন । র্তাহার বিজ্ঞান-প্রীতি, একাগ্রতা ও ধৈর্য্যশীলতার অমুকরণ করিলে তাহার ছাত্রগণের দ্বারা দেশের, আয়ুৰ্ব্বেদের ও চিকিৎসা-বিজ্ঞানের অনেক উপকার হুইবে । - * পুলিশের অতিরিক্ত খরচ কলিকাতার পুলিশ দাঙ্গাহাঙ্গামার অতিরিক্ত খরচ বাবদ বাংলার ব্যবস্থাপক সভার নিকট ২,৫০,০ • • টাকা চাহিবেন । প্রথমতঃ দাঙ্গা-হাঙ্গামা ষথাসময়ে না থামাইয় পুলিশ দেশবাসীর অনেক ক্ষতি করিয়াছেন ; . তৎপরে চোর পালাইবার পর বুদ্ধি দেখাইবার মূল্য বাবদ আড়াই লক্ষ টাকা চাহিতেছেন । উত্তম ব্যবস্থা সন্দেহ নাই ; প্রবাসী—ভাদে, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড লর্ড বার্কেনহেডের আফগান প্রীতি সেদিন লর্ড বার্কেনচেড হঠাৎ বলিয়া ফেলেন যে যদি আফগানিস্থানে ইংরেজের স্বার্থবিরূদ্ধ কোন কিছুর সূচনা হয়, তাহা হইলে আফগানগণ যেন মনে রাখেন যে ইংরেজ আফগানিস্থানে নিজ স্বাৰ্থ বজায় রাখিতে অক্ষম নহে ইত্যাদি । কথাটা শুনিয়া সকলেরই মনে হয় যে আফগানিস্থানে এমন কি ঘটিল যাহাতে বার্কেনহেড সাহেবের মাথার টনক নড়িয়া উঠিল ? তাহাকে এবিষয় কেহ প্রশ্ন করায় তিনি জবাব দেন যে, ইংরেজের সঞ্চিত আমিবের সম্বন্ধ প্রীতি পূর্ণই রহিয়াছে। তাই। হইলে ঠিক কি হইল বুঝ। গেল না। কেনই বা বন্ধুকে শাসাইয়। এরূপ কথা বলা হইল, কেনই বা কোন ভয়ের কারণ থাকিলে তাহ চাপিয়া যাওয়া হইল ? ভয়ের কারণ ত এক সেই চিরপরিচিত রুশিয়াতঙ্ক । যদি বোলশেভিকগণ হঠাৎ আফগানিস্থান দখল কবিয়া ভারতে আসিয়া গোলমাল বাধায় তাহা হইলে ইংরেজ তাছা সহ্য করিবে না । কিন্তু আমিরের ন্যায় সৰ্ব্বেসৰ্ব্ব পুরানো-ফ্যাসনের রাজাও কি সেরূপ বন্দোবস্তের সমর্থন করিবেন ? তাহা করিবার সম্ভাবনা কম । তাহা হইলে ভয়ট। রুশিয়াকে না দেখাইয়। বেচারা আমিরকে দেখান হইল কেন ? কারেন্সী কমিশনের রিপোর্ট, কারেন্সী কমিশনের রিপোর্ট বাহির হইয়াছে। একদল সমালোচক এই রিপোটের মধ্যে নিছক শয়তানী দেখিতেছেন এবং অপর একজন দেখিতেছেন অতি মানবোচিত জ্ঞান ও অর্থনৈতিক বিচক্ষণতার প্রকাশ । আমাদের মতে রিপোটটি শয়তানী অথবা অতি-মানবীয় কোন দিক দিয়াই অসাধারণ কিছু নহে। ইহার ভিতর ভারতের অপকার করিয়| ইংলণ্ডের লাভ করাইয়া দিবার যে চেষ্টা আছে, তাহ নূতন বা অভিনব কিছু নহে। ভারতের করদাতার অর্থে এক্সচেঞ্চ ঠিক রাখিবার নাম করিয়া ইংরেজ বণিকৃকে কিছু পা ওয়াইয়া দেওয়ার পন্থী আজ প্রায় অৰ্দ্ধ শতাব্দী ধরিয়া চলিয়া আসিতেছে, সুতরাং তাহার ভিতর নূতনত্ব কিছুই নাই। “গোল্ড এক্সচেঞ্চ ষ্ট্যান্‌ডাৰ্ড” নাম দিয়া খোলাখুলি ভাবে কাজ হইত পূৰ্ব্বে, এখন হইবে “গোল্ড বুলিয়ন ষ্ট্যানডাড” নামে এবং by placing the currency authority under an obligation to buy gold and to sell gold or gold exchange at its option at appropriate prices. weirs, orca oftwaffa কৰ্ত্তাগণ সোনা অথবা সোলার এক্সচেঞ্জ