পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bや8 প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড একটি ইন্দ্রিয়ের কার্য্য হইয়া থাকে, অপরাপর ইন্দ্রিয় নিজেদের কার্য্য না করিয়া ঐ ইন্দ্রিয়েরই অনুগমন করে এবং উহারই কাৰ্য্য করিয়া থাকে—এইরূপে যখন যেইন্দ্রিীয়র নেতৃত্ব, তখন কেবল সেই ইন্দ্রিয়েরই কাৰ্য্য হইয়া থাকে ) । যখন বাগিন্দ্রিয় বাক্য উচ্চারণ করে, তখন অপরাপর ইন্দ্রিয় ইহার আহ্ববৰ্ত্তী হইয়া উচ্চারণ করে । যখন চক্ষু দর্শন করে, তখন অপরাপর ইন্দ্রিয় ইহার অতুবৰ্ত্তী ইষ্টয় দর্শন করে। যখন শ্রোত্র শ্রবণ করে, তখন অপরাপর ইন্দ্রিয় ইহার অসুবত্তী হইয়। শ্রবণ করে । যখন মন চিন্ত করে, তখন অপরাপর ইন্দ্রিয় ইহার" অতুবর্তী হইয়া চিন্ত করে। যখন প্রাণ নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসাদির কার্য্য করে, তখন অপরাপর ইন্দ্রিয় ইহার অতুবন্ত্ৰী হইয়া নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসাদির কার্য্য করে” ( ৩২ )। প্রাণের শ্রেষ্ঠত্বের বিরুদ্ধে এই আপত্তি হইতে পারে । উত্তর ইঙ্গর উত্তরে ইন্দ্র বলিতেছেন – “ইহা সত্য, কিন্তু ইন্দ্রিয়-সমূহের মধ্যে (মুখ্য ) প্রাণের শ্রেষ্ঠত্বও রহিয়াছে” ( ৩২ ) । এবিষয়ে এই প্রকার যুক্তি দেওয়া হইয়াছে :– “বাকশক্তিবিহীন ব্যক্তি ও জীবন ধারণ করে, কারণ আমরা মূক দেখিতে পাই। চক্ষুবিহীন ব্যক্তিও জীবন ধারণ করে, কারণ আমরা অন্ধ লোক দেখিতে পাই । শ্রোত্রবিহীন ব্যক্তিও জীবন ধারণ করে, কারণ আমরা বধির দেখিতে পাই । মনবিহীন ( অর্থাং চিন্তা-শক্তিবিহীন ) ব্যক্তিও জীবন ধারণ করে, কারণ আমরা বালক দেখিতে পাই । ছিন্ন বাহু ও ছিন্নোর ব্যক্তিও জীবন ধারণ করে, কারণ আমরা এরূপ ব্যক্তি দেখিতে পাই । এই প্রাণরূপী প্রজ্ঞাত্মাই শরীর পরিগ্রহ করিয়া ইহাকে চালিত করে ।” ( ৩৩ ) । এস্থলে বলা হইতেছে যে, চক্ষু, কর্ণ, মন, হস্ত, পদ না থাকিলেও মানব জীবিত থাকিতে পারে ; একমাত্র প্রাণই দেহকে সীবিত রাখে এবং চালিত করে। স্ব রাং প্রাণ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর কিছু নাই । * \ প্রাণ=প্রজ্ঞা ইহার পরে প্রাণ ও প্রজ্ঞার একত্ব স্থাপন করা হইয়াছে । "খাহা প্রাণ, তাহাই প্রজ্ঞা ; এবং যাহা প্রজ্ঞ, তাহাই প্রাণ। এতদুভয়ে একত্রে এই শরীরে বাস করে এবং একত্রেই শরীর হইতে উৎক্রমণ করে” (৩৩ ) ! এস্থলে দুইটি কথা বলা হইল ঃ– (১) প্রাণ ও প্রজ্ঞা দুইটি পৃথক বস্তু ; ইহার একত্র অবস্থান করে এবং একত্র প্রস্থান করে । (২) প্রাণ ও প্রজ্ঞ। পৃথক হইলেও ইহার একই । ইহাদিগের একত্ব প্রমাণ করিবার জন্য কয়েকটি দৃষ্টান্তও দেওয়া হইয়াছে – ( ক ) “এই পুরুষ যখন স্বপ্ত হয় এবং কোন স্বপ্ন দেখে না তখন সে প্রাণে একীভূত হয়। তখন বাকু সমুদায় নামের সহিত তাহাতে (অর্থাৎ প্রাণে একীভূত পুরুযে ) গমন করে, চক্ষু সমুদায় রূপের সহিত, শ্রোত্র সমুদায় শব্দের সহিত, মন সমুদায় চিন্তার সহিত তাহাতে গমন করে। আবার যখন জাগ্ৰং হয় তখন, যেমন জলন্ত অগ্নি হইতে বিস্ফুলিঙ্গ-সমূহ সৰ্ব্বদিকে গমন করে, তেমনি এই আত্মা হইতে প্রাণ-সমূহ যথাস্থানে গমন করে ; এবং প্রাণ-সমূহ হইতে দেবগণ এবং দেবগণ হইতে লোক-সমূহ ( নিৰ্গত হয় ) । ( ৩৩ ) ! ( -१ ) दिउँौग्न मूंछेख् ७झे : যখন এই পুরুষ আৰ্ত্ত,ও মুমূযু হইয়া দুৰ্ব্বলতাবশতঃ সংমোহ প্রাপ্ত হয় তখন লোকে বলে—চিত্ত উৎক্রমণ করিয়াছে, সে শুনিতে পায় না, সে দেখিতে পায় না, সে বাক্য উচ্চারণ করে না, সে চিস্ত করে না। তখন সে প্রাণে একীভূত হয় ; তখন বাক্য সমুদায় নামের সহিত ইহাতে গমন করে, চক্ষু সমুদায় রূপের সহিত ( ইহাতে ) গমন করে, শ্রোত্র সমুদায় শব্দের সহিত ( ইহাতে ) গমন করে, মন সমুদায় চিন্তার সহিত ( ইহাতে ) গমন করে। যর্থন প্রতিবুদ্ধ হয় তখন, যেমন জলন্ত অগ্নি হইতে বিস্ফুলিঙ্গ-সমূহ সৰ্ব্বদিকে গমন করে, তেমনি এই আত্মা