পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ) বঙ্গের বাহিরে নব্য-বঙ্গীয় কলাশিল্পী স্ত্র অসিতকুমার হালদার বঙ্গের বাহিরে ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশে এতদূর আদৃত ও ব্যাপ্ত হইত না । দুই দশাকা ধরিয়া “প্রবাসী” ও “মডার্ণ রিভিউ”র চিত্র ও চিত্রপরিচয়ের ভিতর দিয়া বাহিরের ও অস্তরের চক্ষু বুলাইয়। আসিতে আসিতে বাঙ্গালীর এবং পরে ভারতবাসীর দৃষ্টিকোণ পরিবর্তিত হইতে আরম্ভ করিয়াছে। বঙ্গীয় রীতি বঙ্গের সীমা অতিক্রম করিয়। "নব্যভারতীয় চিত্রকলায় পরিণত হইয়াছে। প্রতীচ্যের শারীরতান্ত্রিক নৈসর্গিক, ছায়াচিত্রায়ুপদিক কলাজগতেও স্বীকৃত ও মৰ্য্যাদা প্রাপ্ত হইতেছে । বাঙ্গালীর এই জাতীয় শিল্পে "পুরাতন যে আধুনিকতায় পরিণত এবং আধুনিকতার মধ্যে পুরাতন পরিসমাপ্ত” হইতে চলিয়াছে তাহা এখন অভিজ্ঞগণের দ্বারা মুক্তকণ্ঠে স্বীকৃত হইতেছে। বঙ্গের এই গৌরব এখন ভারতের নিজস্ব হইতে চলিয়াছে। ভারতীয় কলাশিল্পে ইহা নব অভু্যদয়ের যুগ। এই যুগপ্ৰবৰ্ত্তনের মূল ঠাকুর-ভ্রাতৃদ্বয় আচাৰ্য্য অবনীন্দ্রনাথ ও গগনেন্দ্রনাথ, শান্তিনিকেতন কলাভবন, গবমেণ্ট আর্টস্কুলের ভূতপূৰ্ব্ব অধ্যক্ষ মিষ্টার ই, বি, হাভেল, এবং অবনীন্দ্র-শিষ্য ও প্রশিষ্যমণ্ডলী, যাহাঁদের নাম অধুন বাঙ্গালীর স্থপরিচিত এবং র্যাহাদের কীর্তিনিদর্শন আজি গৃহে গৃহে বিরাজিত । বর্তমান ভারতীয় চিত্রকলার এই প্রাণ প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে র্যাহারা বঙ্গের বাহিরে ইহার প্রচার ও মর্য্যাদা বৃদ্ধি করিয়াছেন, বঙ্গের সেই বৈশিষ্ট্যসংস্থাপক জাতীয় গেীরব-সংবৰ্দ্ধক কয়েক জনের সংবাদ অদ্য আমরা “প্রবাসী”র পাঠকপাঠিকগণের গোচরে আনিব । যাহার এই নবীন চিত্রকলার ইতিহাস অধ্যয়ন করিয়াছেন, নব্য শিল্পীদের চিত্রের আলোচনা ও সমালোচনায় যোগ দিয়াছেন এবং *Modern Indian Artists” গ্রন্থমালার দ্বিতীয় খণ্ড পাঠ করিয়াছেন, তাহারা জানেন, জাপানের কীও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতপূৰ্ব্ব সাহিত্যাচাৰ্য্য জেমস কজিনস্ সাহেব শ্ৰীযুক্ত অসিতকুমার হালদার অঙ্কিত ২৮ খানি চিত্র অবলম্বনে চিত্র-শিল্পে নবীন শৈলীর সমালোচনা করিয়া কলাজগতে শিল্পীর স্থান কোথায় তাং নির্দেশ করিয়াছেন। উক্ত গ্রন্থমালার bጭም¢ সম্পাদক কলাকোবিদ অৰ্দ্ধেন্দ্রকুমা গাজুলী মহাশয় সেইসকল চিত্রের পরিচয় ও ভাব-ব্যঞ্জনাব ভিতর দিয়া শিল্পীর মৰ্ম্মস্থান যে-ভাবে উদঘাটন করিয়াছেন, তাহাতে আমরা শিল্পীর চিত্ত-চিত্রশালায় প্রবেশ করিয়া রূপের ভিতর যেভাবটি তার আত্মাস্বরূপ বিরাজ করিতেছে এবং সেই ভাবরূপী আত্মাকে দেহবদ্ধ করিবার যে-প্রেরণা চিত্রপটে রূপ দিয়াছে তাহার সন্ধান পাই । শিল্পীকে কবি বলিয়া চিনিতে পারি। কবির হাতে শিল্পীর তুলিক বর্ণে ও রেখায় ভাব কেমন ফুটাইয়া তুলে, আমরা এই চিত্র-কবির “বীণাবাদিনীর” চিত্রে তাহ দেখি এবং “কি সুর বাজে আমার প্রাণে, আমি জানি আমার মনই জানে” মৰ্ম্মী a goo লরেী গভর্ণমেণ্ট কারু ও চারু শিল্প বিদ্যালয়ের এক অংশ মহাকবির এই অন্তরের রাগিণী রূপের ভিতর দিয়া দর্শকের হৃদয়-তন্ত্রীতে কেমন করিয়া বাজে, তাই অনুভব করি । ভগিনী নিবেদিতা একদা মুক্ত আকাশতলের সৌধচত্বরে নির্জনবাসিনী বীণাবাদিনীর স্বপ্নাবেশজড়িত মুখমণ্ডল, অনুভূতিমগ্ন নয়নতার এবং করধত বীণার তারে করসঞ্চালন ভঙ্গিমার ভিতর দিয়া এই চিত্রাপিতারই প্রাণের স্বরের ক্ষীণ মধুর ধ্বনির স্পশাহুভব করিয়া afotsiosa, “We can almost hear the faintest sweet notes of the Wina in her hand as she seeks for the song of the heart.” Atoll wife সেই মধুরধ্বনির প্রতিধ্বনি শুনিতে পাই। তেমনি “কুণালের” চিত্র বৌদ্ধ-ভারতের কতটা ইতিহাস কত অশ্রধারাপূত ঐতিহ, কত বড় লোকের মুক্তি বুকে করিয়া