পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯২৬ দিন আমেরিকা হইতে অস্তৰ্হিত হইতেছে । সেখানকার শ্বেতাঙ্গ জাতির প্রকৃতিতে বোধ হয় কোনরূপ ব্যাধির বীজ প্রবেশ করিয়াছে। নিউইয়র্ক সহরের ডাক্তারী কলেজের নিউরোপ্যাথলজির অধ্যাপক ও স্নায়বিক ব্যাধি সম্বন্ধে বিশেষজ্ঞ wstątą Uten, fx xitat", (D. Max G. Schlapp ) বলেন যে, এইপ্রকার অপরাধ-প্রবণতা এবং তাহার সহিত স্বায়বিক দৌৰ্ব্বল্য ও উন্মাদ রোগাদির প্রকোপ আমেরিকার জাতীয় চরিত্রে ভাব-বিপৰ্য্যয় ঘটাইবে । প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৩ যখন [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড কোন জাতি প্রকৃত অগ্রসর হইতে থাকে তখন তাহাদের সকল দিকেই উন্নতি হয় । কিন্তু জাতীয় জীবনে এমন একটা সময় উপস্থিত হয় যখন অতিরিক্ত ঐশ্বৰ্য্য-বৃদ্ধি ও বিস্ততি জাতীয় চরিত্রে ভাববিপৰ্য্যয় আনয়ন করে । তাহা সেই জাতির অধঃপতনের স্বচনা করে এবং তাহার ফলে দেশে অপরাধ প্রবণতা, উন্মাদ রোগাদি বৃদ্ধি পায়। ডাক্তার স্ক্যাল দৃঢ়তার সহিত মত প্রকাশ করিয়াছেন যে, আমেরিক বর্তমানে সেই অবস্থায় উপনীত হইয়াছে। প্রবাল শ্ৰী সরসীবালা বসু চোদ অনেক দিন প্রবালের কোনো খোজ নেওয়া হয-নি। একবার তার সন্ধান নেওয়া দরকার। প্রবাল অনেক চেষ্টা-যত্ন ক’রেও বাপের অসুখ সারাতে পারলে না । কাশীনাথ-বাবু রুগ্ন ভগ্ন দেহ নিয়ে প্রায় পাচ বৎসর ধ’রে ভুগে ভুগে তার পর গঙ্গালাভ করলেন। যশোদা স্বামীশোকে একেবারে ধরাশয্যা নিলেন । যথাসময় দেবীর মা প্রভৃতি প্রতিবাসিনীদের সাহায্যে মৃতের অশৌচান্তে শ্রাদ্ধ-ক্রিয় ইত্যাদি শেষ হ’লেও তার আর শোক সাম্লাবার মতন অবস্থা দেখা গেল না। কেদারের মা ‘সবারি অদূঃে সুখ-দুঃখ আছে: ব’লে নিজের রাজরাণী হ’তে কাঙালিনীর অবস্থা ইত্যাদি দৃষ্টান্ত দেখালেও যশোদা মোটেই ধৈৰ্য্য ধরতে পারলেন না। প্রবাল ইতিমধ্যে মাষ্টারীর অবকাশেই দুটো এগজামীন দিয়ে পাশ ক’রে নিয়েছিল ; সেজন্যে তার পদোন্নতিও হয়েছিল। নিজে খুব হিসাবী ও স্ববুদ্ধি হ’য়ে খরচ-পত্ৰ ক’রে এতদিনে সে পৈত্রিক ঋণ সব শোধ ক’রে ফেলেছিল। তার পর বাপের বাড়াবাড়ি অস্থখ দেখে সে ছ’মাসের ছুটি নিয়ে নিজের সাধ্যমত বাপের চিকিৎসার ত্রুটি করে-নি। কিন্তু সে-চেষ্টা যখন বিফল হ’য়ে গেল, তখন সে বিধতার বিধানকে মাথা নত ক’রে মেনে নিলে ; কিন্তু মা’র অধৈর্য্য-অবস্থা দেখে বড় মুস্কিলে প’ড়ে গেল। যশোদার শরীর ও মনের অবস্থা এমন হ’য়ে দাড়িয়েছে যে, তাকে একণ রেখে প্রবালের ও একদণ্ড বাইরে যাবার উপায় ছিল না ; অথচ এভাবে দিনরাত্রি ঘরের মধ্যে বদ্ধ থেকে আর শোকার্ভ জননীর অশ্রান্ত বিলাপ শুনে-শুনে তারও মন-প্রাণ পীড়িত হ’য়ে উঠল। শেষে সে নিজেও অস্বস্থ বোধ কবৃতে লাগল। তার মানমূৰ্ত্তি দেখে কেদারের মা বড় দুঃখ পেলেন। তিনি প্রবালকে দিনকতক ঠাইনাড়া হ’বার জন্তে উপদেশ দিলেন ; বললেন, তাতে মা ও ছেলের দু’জনারই মন ও শরীর দুই দিকেই উপকার হবে। কেদার যে-জায়গায় আছে সেখানকার জল-হাওয়া ভাল ব’লে তিনি প্রবালকে কিছুদিন সেইথানে গিয়ে বাস করবার জন্যে অনুরোধ করলেন । প্রবাল অনেক দিন থেকেই বন্ধুর বিরহ ভোগ ক’রে আসছে। অতি শৈশবকাল হ’তে দু’জনে হাত-ধরাধরি ক’রে যৌবনের পথপ্রাস্তে এসে পৌছেছিল। তার পরই