পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

جسb প্রষণসী $weg 8 নিখিল বলিল, “এদের কি কোন কাজ নেই ?” তপন বলিল, “গ্রামের মান্তষ কাজ করতে চায় না । ষত ক্ষণ পেটে এক মুঠো ভাত আছে, তত ক্ষণ ওরা বসে থাকবে । তবু ত আমাদের পাল্লায় পড়ে অনেকে কাজে নেমেছে ।” অন্ধকার ঘনাইয়া আসিতেছিল, সুধারা বাড়ীর পথে ষ্টেশনে চলিল । গ্রাম দেখিয়া তাহার ভাল লাগিল বটে, কিন্তু মন অস্বাভাবিক বিষণ্ণ হইয়া গেল। জীবনে বড় আদর্শের প্রতি তাহার অদ্ভুত টান ছিল । আমাদের এই হতভাগ্য দেশেই আদর্শ বড় হওয়ার প্রয়োজন বেশী, ইহা সে বুঝিতে শিখিয়াছিল। ভ্যাগের আনন্দ তাহার কাছে মস্ত আনন্দ ছিল, তাই তাহার দুঃখ হইতেছিল এই দুর্ভাগ্য দেশের জন্য সে ত কিছুই ত্যাগ করিতে পারিতেছে না। দুঃখ হইতেছিল ওই দেবমূৰ্ত্তির মত স্বন্দর যুবাটির ত্যাগের আদর্শের কাছে সে ত পৌছিতে পারিতেছে না। মনে হইতেছিল ইহাকে তাহার প্রাণপ্রিয় কাজে একটুখানি সাহায্য করিতে পারিলে যেন সুধার নিজের জীবনটা ও ধন্য হইয়া যায়, অথচ তাহার করিবার উপায় নাই । [ ক্রমশ: } প্রণাম শ্রীশৈলেন্দ্রকৃষ্ণ লাহ। তোমার কবিতা গানে ধ্বনিয়া উঠেছে প্ৰাণে তোমার আনন্দচ্ছন্দ পুষ্পে আনে নব গন্ধ, নব নব স্বর ; শম্পে শুামলতা, বেজেছে তোমার বাণী, খুলেছে গুণ্ঠনপানি সে স্বর নারীর মনে একটি পরম ক্ষণে প্রকৃতি-বধূর । আনে কোমলতা । তোমার সঙ্গীত-রাগে জীবনে জোয়ার জাগে সে কবিতা কি যে কঙ্গে ! তীব্র স্রোতে রক্ত বহে প্রখর দুৰ্ব্বার ; বীরের হৃদয়ে । ছুটি সাগরেব পানে, উঠি আকাশের পানে, আর সব সাধারণ, আর সব পুরাতন, এই ধরণীর ধূলি ভুলি বার বার। তুমি তাহী নহে। তোমারি যে কাব্য ধরি’ জীবনের অর্থ করি শুনি গাথা, শুনি গান, সে-সব তোমারি দান, তোমার গানের স্বরে স্বৰ্গ ছোয় ভূমি। বিশ্বের হৃদয় চেন, আমরা তোমারি জেনে, আমাদের তুমি । লই তব নাম ; আছে তারা, তুমি রবি, ওগো জীবনের কবি, তোমারে প্রণাম । [ রবীন্দ্রনাথের আহবানে শাস্তিনিকেতনে ‘রবি-বাসরের অধিবেশন উপলক্ষে পঠিত ]