পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰৈশশখ জাত বৃদ্ধ আমাকে ব্যঙ্গ করিতেছে। ঈষৎ রুক্ষ স্বরে বলিলাম—“আমি কোথায়ু যাইব না-যাইব তাহা আমার ইচ্ছাধীন। তুমি সেজন্য ব্যস্ত হইও না।’ ততু আমার পানে একটা চকিত-গুপ্ত চাহনি হানিয়া আবার কাধ্যে মন দিল । কিয়ংকাল পরে বলিল—“ভাল কথা, পত্তি-নায়ক, আপনি ত যোদ্ধ ; শত্রুর উপর অসির ধার নিশ্চয় পরীক্ষা করিয়াছেন ?" গম্ভীর হাসিয়ু বলিলাম—“ত করিয়াচি । দুই বৎসর পুৰ্ব্বে দেবপাদ বাসুদেব কfণস্ক যথন তোমাদের এই উজ্জয়িনী নগরী অধিকার করেন, তখন বহু নাগরিকের কণ্ঠে আমার আসির ধার পরীক্ষা কfরয়াছি।’ ততুর চক্ষু দুটা ক্ষণেক আমার মুপের উপর নিম্পলক হইয় রঃিল ; তার পর শংকারের মত স্বর তাহার কণ্ঠ হইতে বাহির হ’ল—‘পত্তি-মায়ুক আপনি বীর বটে। কিন্তু সেজন্য কৃতিত্ব কারার ? ‘কাতার ? “আমার-—এই হীনজন্ম অসিধাবকের । কে আপনার অসিতে ধার দিয়াছে ? আমারই মাচিত অঙ্গের সাহায্যে আপনার আমার ভ্রাত-পুত্রকে হত্য করিয়াছেন, স্ত্রীকস্তাকে অপহরণ করিয়াছেন ।" আমার মুখ উত্তপ্ত হইয়া উঠিল। বলিলাম—“শকজাতি বর্বর নয়। তাহারা যুদ্ধ করিয়াছে কিন্তু নারীহরণ কদাপি করে মাই " তণ্ডু কণ্ঠে থলতার বিষ মিশাইয়া বলিল—“ত হইতে পারে। তবে বোধ হয় শকজাতি পরস্ত্রীকে চুরি করিতেই পটু। ক্রোধের শিখা আমার মাথায় জলিয়া উঠিল। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে তণ্ডুর অভিপ্রায়ও বুঝিতে পারিলাম ; সে আমার সহিত কলহ করিতে চাহে—যাহাতে আমি আর তাহার গৃহে না আসি। রল্লার লালসায় আমি তাহার গৃহে আসি ইহা সে বুঝিয়াছে। কিন্তু বুঝিল কি করিয়া ? কষ্টে ক্রোধ দমন করিয়া বলিলাম—তও, তুমি বুদ্ধ তোমার সহিত বাগবিতও করিতে চাহি না। আমার আসি যদি তৈয়ার হইয়া থাকে, দাও।” সেতু ఫ్రెNరి সে অসি জলে ডুবাইয়। আবার অঙ্গুলির সাহায্যে ধার পরীক্ষা করিল। বলিল—“আসি ভৈয়ার হইয়াছে।’ তণ্ডুর সহিত কলহ করিয়া আমার লাভ নাই । তাহাকে তুষ্ট করিবার অভিপ্রায়ে আমি পাঁচটি স্বর্ণমুদ্র তাহার সম্মুখে ফেলিয়া দিয়া বলিলাম—‘এই লণ্ড পঞ্চ নাণক—তোমার পুরস্কার ' e তণ্ডুর দুই চক্ষু সহসা তাহার অঙ্গারকুণ্ডের মতই জলিয়া উঠিয়; আবার নিবিয়া গেল । সে চেষ্টাকত ধীর স্বরে বলিল, “আমার পরিশ্রমের মূল্য এক নাণক মাত্র। বাকী চার লাণক আপনি রাখুন, অন্যত্র প্রমোদ ক্রয় করিতে পাfরবেন।—কিন্তু অfসর ধার পরীক্ষা কfরবেন না ? উদগত ক্রোধ গলাধঃকরণ করিয়া আমি বলিলাম, ‘করিব, দাও।” বfলয় হাত বাড়াইলাম । - ততু কিন্তু অসি দিবার কোনও চেষ্টাই করিল না, তিধ্যক চক্ষে চাহিয়ু বলিল, পত্তি-নায়ক, নিজের উপর কখনও নিজের অসির ধার পরখ করিয়াছেন ? করেন নাই ! তবে এইবার করুন।' -বুদ্ধের হস্তে আমার অসি একবার বিদ্যুতের মত ঝলসিয়ু উঠিল । আমার শিরস্থাণের উপর একটি শিখিপুচ্ছ রোপিত ছিল, দ্বিখণ্ডিত হইয় তাহ ভূতলে পড়িল । এইবার আমার অবরুদ্ধ ক্রোধ একেবারে ফাটিয়া পড়িল এক লম্ফে প্রাচীর হইতে খড়গ তুলিয়া লইয়া বলিলাম, তণ্ডু, বৃদ্ধ শৃগাল, আজ তোর কর্ণচ্ছেদন করিব।” জলস্ত ক্রোধের মধ্যে একটা fচস্ত। অকস্মাৎ স্বল্প সূচীর মত মস্তিষ্ককে বিদ্ধ করিল—তণ্ডকে যদি হত্যা করি তাহাতেই বা দোষ কি ? বরং আমার পথ পরিষ্কার হইবে । কিন্তু তাহাকে আক্রমণ করিতে গিয়া দেখিলাম— কঠিন ব্যাপার। বিস্ময়ে আমার ক্রোধ ডুবিয়া গেল। জরী-শীর্ণ তওর হস্তে অসি ঘুরিতেছে রথ-নেমির মত, অসি দেখা যাইতেছে না, কেবল একটা ঘূর্ণ্যমান প্রভ তাহাকে বেষ্টন করিয়া রাখিয়াছে । আমি হটিয়া গেলাম । গরলভরা স্বরে তও বলিল, পত্তি-নায়ক অহিদত্ত রখুল, লতা-মণ্ডপে লুকাইয়া চপল পরস্ত্রীর অঙ্গস্পশ করা সহজ, পুরুষের অঙ্গ স্পর্শ করা তত সহজ নয়।’ আবার তাহাকে আক্রমণ করিলাম। বুঝিতে বাকী