পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিষিদ্ধ দেশে সওয়া বৎসর t রাহুল সাংকৃত্যায়ন > ૨ বৌদ্ধধৰ্ম্মে চারিটি প্রধান দার্শনিক মত বা “বাদ” প্রচলিত আছে ; বৈভাষিক, সৌভ্রান্তিক, যোগাচার ও মাধ্যমিক । বৈভাষিকদিগের প্রধান গ্রন্থ কাত্যায়নাপুত্র লিখিত 'জ্ঞানপ্রস্থান"। এই শাস্ত্রের ছয় অঙ্গ ; এতদ্বাতীত বস্তুবন্ধুর অভিধৰ্ম্মকোষের উত্তরে লিখিত সঙ্ঘভদ্রের ন্যায়ামুসার গ্রন্থও ইহাদের শাস্ত্রের অন্তর্গত। সোঁত্রান্তিকীদিগের প্রধান গ্রন্থ আচাৰ্য্য বস্তুবন্ধু রচিত ‘অভিধৰ্ম্মকোষ'। বৈভাষিক দর্শনের পরিচয় চীন ভাষায় এবং চৈনিক লিপিতে মাত্র পাওয়া যায়। বস্তুবন্ধুর অভিধৰ্ম্মকোষ কয়েকথানি টীকা ও ভাষ্য সহ ভোট ভাষায় বর্তমান । যোগাচারিগণ বিজ্ঞানবাদী ও মাধ্যমিক শূন্তবাদী, যোগাচারের প্রধান আচাৰ্য্য অসঙ্গ । তিনি বম্ববন্ধুর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা; অসঙ্গ পেশওয়ার নগরে জন্মগ্রহণ করেন। শূন্তবাদের প্রধান আচাৰ্য্য নাগাৰ্জ্জুন। এই দুষ্ট মত মহাযানের অন্তভুত। চীন জাপানের বৌদ্ধের বিজ্ঞানবাদী ও ভোটিয়ের শূন্তবাদী ; শূন্তবাদ বজ্রধানের সহায়ক, স্বতরাং ভোটদেশে তাঙ্গার প্রভাব স্বাভাবিক। আচাৰ্য্য শাস্তরক্ষিত যদিও মাধ্যমিক সিদ্ধান্তের উপরে মধ্যমকালঙ্কাররূপ জ্ঞানগর্ভ গ্রন্থ লিপিয়াছিলেন, তথাপি তিনি বিজ্ঞানবাণীই ছিলেন। ভোট ভাষায় লিখিত র্তাহার জীবনীসংলগ্ন তত্ত্ব সংগ্রহের দ্বারা ইহা প্রমাণিত হয়। শাস্তরক্ষিত র্তাহার সমসাময়িক ও পূৰ্ব্বকালের সর্ববিধ দার্শনিক মতের গম্ভীর বিচার-সংগ্রহ যে অপূৰ্ব্ব গ্রন্থে রাখিয়া গিয়াছেন, তাহা তাহার অগাধ পাণ্ডিত্যের পরিচায়ক । এই গ্রন্থে ৩৬৪৬ শ্লোক যড়বিংশ অধ্যায় বা পরীক্ষা” অাছে। 髒 籌 難 ভোটদেশে ভারতীয় আচাৰ্য্যদের মধ্যে শাস্তরক্ষিত ও দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান সমধিক সম্মানিত। দীপঙ্করের তিব্বতীয় নাম “অতিশ,”, “জোবে” ( স্বামী), বা "জোবো-জে” ( স্বাধী ভট্টাবক) । ইগরা দুষ্ট জনেই সহোর প্রদেশের রাজবংশে উদ্ভূত। বাঙালী তিতগণ অতিশাকে বাঙালী প্রমাণ করেন। বৌদ্ধ গান ওদোহ” নামক পুস্তকের ভূমিকায় হামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী এইরূপে জালন্ধরী কাহ্ন সরঞ্জ আদি কবিদের ও বাঙালী দাড় করাইয়াছিলেন । যাহ। হউক, সঙ্গোর বঙ্গদেশে নয় বিহারে, বিক্রমশিলার নি টবর্তী অঞ্চলে ; মুসলমানদিগের আগমনের পূৰ্ব্বে এ অঞ্চল ভাগল’ নামে প্রসিদ্ধ ছিল । সহোর মা গুণিক রাজ্য ছিল ; উহার রাজধানী ছিল বর্তমান কহল গ্রামের নিকটস্থ কোন স্থানে ; দশম শতাব্দীতে রাঙ্গা কল্যাণশ্রী ঠতার শাসক ছিলেন । ঐ সময় বঙ্গের পালবংশের বিজয়ধ্বজ বঙ্গ ও বিহার উভয় প্রদেশেই উড়িতেছিল, রাজা কল্যাণশ তাঙ্গাদের অধীন ছিলেন। তাহার রাণী শ্রীপ্রভাবর্তী "কাঞ্চনধ্বজ” রাজপ্রাসাদে ভোটীয় জল-পুরুষ-অঙ্গ বর্ষে ( ৯৮২ খ্ৰী: ) এক পুত্রংয়ের জন্মদান করেন, উত্তরকালে ইনিই ইতিহাসে দীপঙ্কর শ্ৰীড়ান নামে প্রসিদ্ধ হন। রাজা কল্যাণশ্রীর পদ্মগর্ড, চন্দ্রগর্ভ ও শ্রীগর্ভ নামক তিন পুত্রের মধ্যে ইনি মধ্যম। তিন বৎসর বয়সে কুমার চন্দ্রগর্ভ “নাতিদুর" বিক্রমশিলায় অধ্যয়ন করিতে গেলেন এবং এগার বৎসর বয়সে গণিত ও ব্যাকরণ উত্তমরূপে আয়ত্ত করিলেন। أمه প্রারম্ভিক অধ্যয়ন সমাপ্ত হইলে কুমার ভিন্ধু হইয়া নিশ্চিন্তু মনে বিদ্যার্জন করিতে সঙ্কল্প করিলেন। একদিন' ভ্রমণকালে জঙ্গলের মধ্যে এক পাহাড়ে গিয়া শুনিলেন সেখানে মহাবৈয়াকরণ পণ্ডিত জেতারি বাস করেন। কুমার তাহার নিফুট গেলে তিনি প্রশ্ন করিলেন, “फूमि কে ” কুমার উত্তর দিলেন, “আমি এই দেশের স্বামীর পুত্র।” জেতারির নিকট এই উত্তর অভিমানীর বাক্য