বৈশাখ নিষিদ্ধ দেশে সওয়া বৎসর ్సబిగీ বলিয়া মনে হওয়ায় তিনি বলিলেন, “আমার স্বামী নাই, দাস নাই, রক্ষকও নাই, তুই যদি ধরণীপতি তবে চলিয়া বা ” জেতারির কথা কুমার পূর্বেই শুনিয়াছিলেন; স্বত ত বিনয়ের সহিত নিজের সংকল্পের বিষয় তাহাকে নিবেদন করিয়া গৃহভাগের ইচ্ছা প্রকাশ করিলেন। জেতারি তাহাকে নালন থাইতে উপদেশ দিলেন । বৌদ্ধধৰ্ম্মে মাতাপিতার অতুমতি বিনা কেহ শ্রামণের অথবা ভিক্ষু হইতে পারে না। অতিকষ্টে অনুমতি লইয়া কয়েক জন আল্পচর সহ কুমার চন্দ্রগর্ভ নালন্দা চলিলেন । বিহারে যাইবার পূৰ্ব্বে তথাকার রাজার নিকট গেলে তিনি কুমারের পরিচয় প্রাপির পর বিক্রমশিল ছাড়িয়া এতদূরে আসিবার কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন । চন্দ্রগর্ত নালন্দার প্রাচীনত্ব ও অনু্যাগু গুণাবলী ব্যাখ্যা করায় রাজা পরম সমাদরের সহিত নালন্দায় কুমারের থাকিবার সুন্দর ব্যবস্থা কfরয় দিলেন । বিংশ বৎসর বয়সের পূৰ্ব্বে ভিক্ষু হওয়া সম্ভব নহে, কুমার সে সময় দ্বাদশ বৎসর বয়স্ক বালক মাত্র ; স্বতরাং নালন্দায় স্থবির বোধিভদ্র কুমারকে শ্রামণের দীক্ষা দান করিলেন, পীত বস্ত্র ধারণের সহিত তাহার নাম হইল দীপঙ্কর শঙ্কান। সে সময় আচার্ষ্য বোধিভঞ্জের গুরু অবধূতীপাদ ( অন্ত নাম অদ্বয়বজ, অবধূতীপ, মৈত্রীগুপ্ত বা মৈন্ত্রীপ ) রাজগৃহে কালশিলার দক্ষিণে নির্জনবাস করিতেছিলেন । তিনি মহাপণ্ডিত ও সিদ্ধ ছিলেন । বোধিভদ্র দীপঙ্করকে লইয়া আচাৰ্য্য অবধূতীপাদের নিকট লইয়া গিয়া তাহার অনুমতিক্রমে দীপঙ্করকে তাহার নিকট শিক্ষার জপ্ত ছাড়িয়া আসিলেন । ১২ হইতে ১৮ বৎসর বয়স পর্য্যন্ত সেখানে থাকিয়া তিনি উত্তমরূপে শাস্ত্র অধ্যয়ন করিলেন । অষ্টাদশ বৎসর বয়সে দীপঙ্কর মন্ত্র-শাস্ত্র শিক্ষায় দ্য সে সময়ের বিখ্যাত তান্ত্ৰিক, চুরাশী সিদ্ধের অন্যতম ও শিল৷ বিহারের উত্তর দ্বারের দ্বারপণ্ডিত, মারোপার ( মাড়পাদ ) নিকট গেলেন এবং একুশ বৎসর বয়স পৰ্য্যস্ত র্তাহারই শিষ্যত্ব গ্রহণ করিলেন । দীপঙ্কর ছাড়া প্রজ্ঞারক্ষিত, কনকশী ও মনকী ( মাণিক্য ) ইহারাও মারোপার প্রধান শিষ্য ছিলেম । তিব্বতের মহাসিদ্ধ হাকবি জেচুন মিন-রে-পার গুরু মর-রা লোচবাও ਆਿ শিষ্য ছিলেন । ঐ সময় বুদ্ধগয়ার মহাবিহারের প্রধান এক বিদ্বান छिछू श्रिणन। ईशद्र नाय चछ श्णि, क्रूि बखांनन দীপঙ্কর প্রজ্ঞান । তিব্বতী পট হইতে ) অর্থাং বুদ্ধগয়-বাসী ছিলেন বলিয়া ইনি বজ্রাসনীয় বলিয়াই খ্যাত। মারোপার নিকট শিক্ষা সমাপ্ত করিয়া দীপঙ্কর বজ্রাসন-মতিবিহার-নিবাসী মহাস্থবির মহাবিনয়ধর শীলরক্ষিতের সমীপে গিয়া তাহাকে শুরু করিয়া উপসম্পদ৷ ( ভিক্ষু-দীক্ষা ) লাভ করিলেন । একত্রিশ বৎসর বয়সে দীপঙ্কর তিন পিটক ও তন্ত্রে পণ্ডিত হইয়াছিলেন, কিন্তু তাহার জ্ঞানপিপাসা নিবৃত্ত হয় নাই। ઉછેર সুবর্ণদ্বীপের (স্থমাত্র ) আচার্ষ্য ধৰ্ম্মপালের মুখ্যাতি শুনিয়া শিক্ষালাভের আশায় তাহার নিকট যাইবার সংকল্প করিলেন । তখন ধৰ্ম্মপালের পাণ্ডিত্যগৌরবের খ্যাতি তাহার প্রসিদ্ধ ছাত্রবর্গ—রত্নাকরশাস্তি, জ্ঞানশ্রমিত্র, রতুকীৰে— এদেশে যথেষ্ট প্রচার করিয়াছিলেন । দীপঙ্কর তাহার ফলে বুদ্ধগয়া ছাড়িয়া সমুদ্রতটে ও সেখান হইতে চোঁদ মাস ধরিয়া সমুদ্রপথে ভ্রমণের পর বহু বাধাবিঘ্ন অতিক্রম করিয়া স্ববর্ণদ্বীপে উপস্থিত হইলেন । সেখানে শুনিলেন আচার্ধ্যদেবের সম্মুখে পৌছানই মুকঠিন ব্যাপার, স্বতরাং সে a চেষ্টা না করিয়া দীপঙ্কর বর্ষকাল এক নির্জন স্থানে