পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S్సకా సిరీ স্পেনের গণতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট অজানা ফ্রান্স, কখনও ভুলিতে পারে নাই । এই কারণ তাহাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বাধিয়া রাখার জন্য কোন চেষ্টারই ক্রটি হয় নাই । কিন্তু যখন সে হিটলারের অধীনে সঙ্ঘবদ্ধ হইয়া ও রাষ্ট্রসঙ্ঘ ত্যাগ করিয়া সমরশক্তি বাড়াইতে লাগিয়া গেল তখন সকলেই ভীতসম্বস্ত হইয়া উঠিল, রাষ্ট্রসঙ্ঘের মারফত তাহাকে জবা করিবারও চেষ্টা চলিতে লাগিল । এমন সময় এরূপ একটি ঘটনা ঘটিল যাহা পরবর্তী যাবতীয় আলাপআলোচনার মোড় ফিরাইয়ু দিল । এই ব্যাপারটি হইল ১৯৩৫ সনের ১৮ই মে অন্যনিরপেক্ষ ভাবে ব্রিটেন ও জাৰ্ম্মানীর মধ্যে ১• • : ৩৫ আনুপাতিক নৌচুক্তি। এই নৌচুক্তির কথা প্রকাশ হইবা মাত্র সকলেরই টনক নড়িল । জাৰ্ম্মানীর চিরশত্র ফ্রান্স বিচলিত হইল সকলের চেয়ে বেশী। যাহাকে সে এতকাল পরমাত্মীয় বলিয়া মনে করিয়াছে সেই ব্রিটেনকে ছাড়িয়া অতঃপর সে ইটালীর দিকে মুখ ফিরাইল, ইহার কর্ণধার মুসোলিনীকেই বন্ধু বলিয়া গ্রহণ করিল। ব্রিটেনজাৰ্ম্মানীর নৌচুক্তির বিরুদ্ধে এই যে ফ্রাঙ্কে-ইটালীয়ান আঁতাত, এক কথায় বলিতে গেলে ইহাই ইটালীর আবিসনিয়া বিজয়ের মূলে, রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিক্রিয়তা তথা ব্যর্থতার মূলে, আবার ইহাই পরবর্তী স্পেন-বিদ্রোহ ও অন্যবিধ ব্যাপারগুলি সম্ভব করিয়া দিয়াছে। মহাসমরের পর বিজিত জাৰ্ম্মানীর ন্যায় বিজয়ী ইটালীও গণতন্থের সমর-সচিব লারগে কাবালেরে মিত্ৰশক্তিগুলির চক্রান্তে পড়িয়া কম নাজেহাল হয় ধাই মুসোলিনী ইটালীর কর্ণধার হইয়া বার-তের বৎসরের মধ্যে ইহাকে একটি প্রথম শ্রেণীর রাষ্ট্রে পরিণত করিলেন। র্তাহার শক্তি যতই বাড়িতে লাগিল ততই তিনি বিদেশে সাম্রাজ্য-প্রতিষ্ঠার জন্য উদগ্রীব হইলেন । এখন ফ্রান্সকে হাতে পাইয় তাহার এই উদ্দেশ্য সাধন সহজ হইয়া গেল মুসোলিনী এই স্থযোগে আবিসনিয়া অভিযান আরম্ভ করিয়া দিলেন। এক দিকে ব্রিটেন ও অন্য দিকে ফ্রান্স— ১৫ই এপ্রিল ১৯৩১ । গণতন্ত্রবাদের প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে উল্লসিত বালিকাদিগের শোভাযাত্র