পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S88 প্রবাসী SNB89 কাহারও পৌষ মাস হইয়াছে বলিয়া ভ্রম হইলেও, সমগ্র দেশের ও জাতির পৌষ মাস কেবল নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার ফলেই হইতে পারে। সমগ্র ব্রিটিশ-ভারতের অধিবাসীর সংখ্যা, ১৯৩১ সালের সেন্সস অনুসারে, ২৫,৬৭,৮৪,০৫২ । তাহার মধ্যে হিন্দু প্রায় ১৮ কোটি, মুসলমান সাত কোটির কিছু কম। উভয় সমাজের লোকসংখ্যা বিবেচনা করিলে মনে হইতে পারে, যে, মুসলমান সমাজের পৌষ মাসটাই বেশী রকম হইয়াছে। কিন্তু সমাজের সকল মাতুষের মধ্যে স্বাধীনতাপ্রিয়তা, আত্মনির্ভরশীলতা ও স্বাধীন মনোবৃত্তির বিকাশ রূপ যে পরম মঙ্গল, তাহার কথা ছাড়িয়া দিয়া যদি কেবল আর্থিক উন্নতির দিকটাই দেখা যায় তাহা হইলে কয়েক জন সরদার মস্ত্রী ও অন্য মন্ত্রী ৬,৭০,২০,৪৪৩ জন মুসলমানের কি সুবিধা করিয়া দিতে পারিবেন ? মন্ত্রিত্ব গ্রহণ ও কংগ্রে কংগ্রেস, বর্তমান শাসনবিধি নষ্ট করিতে চাহেন, এই প্রঞ্জিী-ঘোষণা করিবার পর, আমাদের মতে কংগ্রেসের পক্ষে মস্থিত্ব-গ্ৰহণের সস্বল্প যে ঠিক হয় নাই তাই আমরা আগে আগে যাহা লিখিয়াছি তাহ হইতে পাঠকের বুঝিয়া থাকিবেন । কোন দলের লোকদের পক্ষেই যে মস্তিত্ব গ্রহণ ঠিক নয়, ইহাও আমাদের তাeার কারণও আগে অাগে যাহা লিথিয়াছি, তাহা হইতে বুঝা যাইবে । একটা বারণ এই, যে, নূতন ভারতশাসন মন্ত্রীদিগকে দায়িত্ব দিয়াছে, কিন্তু ক্ষমতা দেয় নাই । যে-কোন দিকে দেশের হিত হইবে ন! বা যথেষ্ট পরিমাণে হুইবে না, তাহার জন্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীর সাক্ষাৎভাবে মন্ত্রীদিগকে ও পরোক্ষভাবে ভারতীয় জনগণকে দায়ী ও দোষী করিবে ; কোন অনিষ্ট ও ক্ষতি হইলেও তাহাদিগকে দায়ী ও দোষী করিবে । কিন্তু বস্তুতঃ হিত করিবার ও অহিত নিবারণ করিবার মত যথেষ্ট ক্ষমতা নূতন আইন মন্ত্রীদিগকে দেয় নাই। ভদ্ভিন্ন ইহাও বিশেষ ভাবে বিবেচ্য, যে, আইনটা রাজস্বের অধিকাংশ টাকা ব্যয়ের উপর ব্যবস্থাপক সভাকে ও মন্ত্রীদিগকে অধিকার দেয় নাই। কাৰ্য্যতঃ টাকা সম্বন্ধে এবং তার সকল বিষয়েই গবর্ণরকে সৰ্ব্বেসৰ্ব্ব করা হইয়াছে। \ o মত । কাহারও পক্ষে উচিত হয় নাই। টাকার লোভে, মুরুবিব হইয়া পোষা পোষণ করিবার লোভে, ‘মান্তগণ্য হইবার লোভে, দেশহিত করিতে পারিবার ভ্রাপ্ত বিশ্বাসে, বা অন্ত অনিদিষ্ট কারণে র্যাহারা মন্ত্রী হইয়াছেন, আমাদের কথাগুলা তাহাদের ভাল লাগিবে না। মন্ত্রী হইয়া কেহ কোন ভাল কাজই করিতে পারিবেন না, ইহা আমাদের বক্তব্য নহে । ইচ্ছা থাকিলে অল্পস্বল্প ভাল কাজ কেহ কেহ কfরতে পরিবেন। কিন্তু দেশের মহত্তর ও প্রধান হিত সাধনের উদ্দেশ্যে এই অল্পস্বল্প হিত সাধনের লোভ সংবরণ করা কৰ্ত্তব্য । সকল রাজনৈতিক দলের লোকই মস্তিত্ব অস্বীকার করিলে ব্রিটিশ জাতি ও জগতের অন্যান্য জাতি বুঝিত, যে, নূতন শাসনবিধিটা একটা ফাfক—যাহা থাটি সত্য কথা । তাহা হইলে আমাদের স্বাধীনতাসংগ্রাম সফল হইবার, আমাদের স্বশাসন লাভ করিবার, সম্ভাবনা অধিকতর হইত। অবশ্ব, কতকগুলি লোক মন্ত্রী হইয়াড়ে বলিয়াই যে স্বাধীনতাসংগ্রাম বিফল হইবে বা তাহা পরিত্যাগ কfণতে হইবে, তাহা মতে । স্বাধীনতালাভপ্রচেষ্ট খুব জোরে চালাইতে হইবে। এখন ইংলণ্ড ও ভারতে ইংরেজরা এবং ইংরেজভক ভারতীয়ের যে কংগ্রেস দ্বারা দরখাস্ত করাষ্টয়া বড়লাটের সহিত গান্ধীজীর দেখাসাক্ষাং করাইয়া একটা রফার চেষ্ট কfরতেছে, তাঙ্গ সফল হইলে দেশের পক্ষে তাঙ্গ অনিষ্টকর হইবে। নূতন শাসনবিধিটার সহিত কোন রফা হইতে পারে না। কংগ্রেস যদি রফা করে, তাহা হইলে উঠা আশ্রদ্ধেয় হইবে । মহাত্মাঞ্জী রফা করিলে সমাজতন্ত্রী দন্সের বিদ্রোহিতা আরও বাড়িবে। কংগ্রেসের চাওয়া উচিত সম্পূর্ণ স্বশাসনের অধিকার—নানকল্পে কেবলমাত্র ভারতীয় লোকদেরই মত অনুসারে নির্দিষ্ট অল্প কয়েক বৎসরে ক্রমবিকাশ দ্বারা সম্পূর্ণ স্বশাসনের অধিকার লাভ করিবার ক্ষমতা । এই সমস্ত কথা হাউস অব লর্ডসে ভারতসচিবের বক্তৃতার অাগে লেখা । ] কয়েকটি প্রদেশে মস্তিত্ব গ্রহণের সর্ত আমরা বলিয়াছি, কংগ্রেসের বা অন্ত কোন দলেরই গুরু এরূপ অবস্থায় নিমিত্তের ভাগী হইবার জন্য মন্ত্রী হওয়া"