পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ বিবিধ প্রসঙ্গ—নুতন প্রাদেশিক মস্ত্রিসভাসমূহ $Btr গ্রহণ করা উচিত নয়। চৈত্রের ‘প্রবাসীতে আমরা দেখাইয়াছিলাম, যে, ছয়টি প্রদেশে মস্ত্রিত্ব লইলে দেশের সৰ্ব্বত্র কংগ্রেসের নীতি একবিধ না হইয়া দ্বিবিধ হইবে এবং তাহা অনিষ্টকর হইবে । যাহা হউক, যে কয়টি প্রদেশের ব্যবস্থাপক সভায় কংগ্রেসওয়ালার সংখ্যাগরিষ্ঠ হইয়াছেন, কংগ্রেস তথায় একটি সর্বে মস্থিত্ব গ্রহণের সঙ্কল্প করেন । সর্বটি এই, যে, গবর্ণর প্রধান মন্ত্রীকে এই প্রতিশ্রুতি দিবেন, যে, তিনি মস্ত্রিসভার শাসন-বিধানসঙ্গত কোন কাজে বাধা দিবেন না বা হস্তক্ষেপ কfরবেন না । কোন গবর্ণর এরূপ প্রতিশ্রতি দেন নাই । তাহাদের সকলের জবাব এক ছাচে ঢালা। তাহার কারণ, তাহাদিগকে উপরওয়াল ভারতসচিবের কুকুম তামিল করিতে হইয়াছে। তাহীদের কৈফিয়ং এই, যে, তাহারা শাসনবিধিট। অল্পসারে ওরূপ প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন না। এই কৈফিয়ংটা ঠিক কিন, তাহার বিস্তাবিত বিচার ইংলণ্ডীয় ও ভারতীয় অনেকে করিয়াছেন । কেহ বলিয়াছেন উহা ঠিকৃ, কেহ বলিয়াছেন উহ! ঠিক নয়। এরূপ আলোচনা যে একেবারেই মূল্যহীন, তাহা মনে করি না। আমরা যতটা জানি, আইনটার কোথাও এমন কোন ধারা নাই যেটা বলে, যে, গবর্ণর ঐক্লপ প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন ন। কিন্তু আমরা সংক্ষেপে ও সোজাসুজি ইহাই বুঝি, যে, আইনে এ-বিষয়ে স্পষ্ট কোন নির্দেশ না-থাকিলেও, গবর্ণরদের এরূপ প্রতিশ্রুতি না দিবার (উপহাদের দিকৃ হইতে) যথেষ্ট কারণ ছিল । নৃভনশাসনবিধিটা তাহাদিগকে স্বেচ্ছাকারী হইবার ক্ষমতা দিয়াছে, তাহাদিগকে নামত: না হইলেও কাৰ্য্যন্ত্ৰ: ডিক্টেটর করিয়াছে । সাম্রাজ্যবাদীদের নীতির অনুসরণ করিয়াই আইনটা এইরূপ করা হইয়াছে। গবৰ্ণরদের ক্ষমতার কোন সস্কোচ তাহারা স্বেচ্ছায় করিলেও তাহাতে সাম্রাজ্যবাদীদের নীতি ব্যাহত হয়। সুতরাং স্বেচ্ছাতেও র্তাহারা নিজ নিজ ক্ষমতা সঙ্কোচ করিতে পারেন না । কংগ্রেসের দাবী অমুসারে তাহাদিগকে নিজ নিজ ক্ষমতার সঙ্কোচ করিতে হইলে তাহাতে সাম্রাজ্যবাদীদের নীতি ত ব্যাহত হইতই, অধিকন্তু তাহারা নিজ নিজ যে প্রেষ্টিজ বজায় রাখিবার নিমিত্ত সৰ্ব্বদা অবহিত, তাহারও হানি হইত। "Sol কংগ্রেসের সর্তের মধ্যে এই রকম একটা অনুচ্চারিত প্রতিশ্রতি উত্ত্ব ছিল, “আমরা বলছি, আমরা খুব লখাখি ছেলে হব ; অতএব, হে লাটসাহেব, তুমিও বল, তুমিও খুব লখথি ছেলে হবে।” কংগ্রেস চান, নূতন শাসনবিধি আচল করিতে, ধ্বংস করিতে । তাহার মধ্যে রহিয়াছে দুর্দান্ত দস্থিাপনা' । লথ খি ছেলে সাজা তাহাদের পক্ষে বেমানন হুইবে । আমাদের মনে হয়, গবর্ণররা যে কংগ্রেসের সর্বে রাষ্ট্ৰী হন নাই, তাহা কংগ্রেসের পক্ষে বিধাতার বর (godsend) বলিয়া গ্রহণ করা উচিত । বেগতিক দেখিয়া ব্রিটিশ-পক্ষ ও তাঙ্গাদের ভারতীয় ভক্তের দল কংগ্রেসকে ভজাইবার চেষ্টা করিতেছে বা করিবে । তাঁহাতে কংগ্রেস-নেতাদের হৃদয় গলিলে বা একটুও মন ভিজিলে কংগ্রেসের মূল ও প্রধান উদেশ্ব সিদ্ধির পথে কণ্টক রোপিত হইবে । [ ভারতসচিবের বকুভার পূৰ্ব্বে লিখিত । ] - নুতন প্রাদেশিক মন্ত্রিসভাসমূহ যে পাচটি প্রদেশের ব্যবস্থাপক সভায় কংগ্রেসী সদস্তের সখ্যাগরিষ্ঠ নহেন, সেখানে অকংগ্রেস দলের মন্ত্রীদের নিয়োগে কোন প্রশ্ন উঠে নাই । কিন্তু যে-সব প্রদেশে কংগ্রেসী সদস্যেরাষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠ সেখানেও অন্যান্য দলের লোকদের দ্বারা, যাহার! সংখ্যালঘিষ্ট দলের লোক তাহদের দ্বারা, মন্ত্রিসভা গঠন করিবার নৃতমআইনসঙ্গত ক্ষমত গবর্ণরদের আছে কিন" এবং উপহার যে এইরূপ মন্ত্রিসভা গঠন করিয়াছেন তাহ আইনসঙ্গত হইয়াছে কি না, এই প্রশ্ন উঠিয়াছে। এক কথায় এই প্রশ্নের ই কিংবা না উত্তর দেওয় যায় না। আমাদের যতটা মনে পড়িতেছে, সংখ্যাগরিষ্ঠ দল মন্ত্রিসভা গঠন করিতে না চাহিলে গবৰ্ণর কি কfরবেন, ১৯৩৫ সালের আইনে সে বিষয়ে কোন নির্দেশ নাই। গবর্ণরদের FfE (T IfS-Fi T-two-»T (Instrument of Instructions ) আসিয়াছে, তাহাতে সাধারণত: গবর্ণরের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতাদের সহিত পরামর্শ করিয়া মন্ত্রিসভা গঠনের উপদেশ আছে । কিন্তু এরূপ দলের লোকের মন্ত্রী হইতে না চাহিলে সংখ্যালঘিষ্ঠদলের লোকদিগকে লইয়া গবর্ণর মন্ত্রিসভা গঠন করিতে পারিবেন না, এরূপ কোন নিষেধাত্মক ধারা নাই। তবে উপদেশ-পত্রে একটা খুব সান্ধায়ক কৰা আছে। আছে এই যে, গবর্ণরের কোন